যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫ মেরিনসহ বিমান বিধ্বস্ত

 যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বুধবার ৫ জন মেরিনসহ একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
হতাহতের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে মেক্সিকান সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে গ্লামিসের কাছে নেমে আসা বিমানটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ বহন করছিল বলে ছড়িয়ে পড়ার খবর অস্বীকার করেছে সামরিক বাহিনী।
একজন মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, থ্রিডি এয়ারক্রাফট উইং-এর একটি বিমান গ্লামিসের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিমানটিতে ৫ জন মেরিন ছিল এবং আমরা সকল ক্রুদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত খবরের অপেক্ষা করছি।’
মুখপাত্র বলেন, ‘সামরিক এবং বেসামরিক প্রথম উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিমানটিতে পারমাণবিক উপাদান ছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এটি সঠিক নয়।’
মেরিন কর্পস এয়ার স্টেশন ক্যাম্প পেন্ডলটনে অবস্থিত বিমান ঘাঁটির এমভি-২২বি অসপ্রে এয়ারক্রাফট হিসেবে এটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অসপ্রে বিমানগুলো ‘উলম্ব টেকঅফ এবং অবতরণ’ করতে পারে। এটিতে হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণমান পাখা থাকায় সরাসরি উপরে ও নিচে ওঠানামা করতে পারে। আবার বিমানের মতো চলতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন

বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মত চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এমন সময়ে তার চতুর্থ বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন যখন বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একইসাথে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার গতিও মন্থর।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারনেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাত।

বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো এবারের বাজেটের প্রধানতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে কর বাবদ আয়  ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। যে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যেখানে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।