নোয়াখালীর চাটখিলে খাওয়ার রেষ্টুরেন্ট থেকে এক কলেজ ছাত্রকে বান্ধবীসহ তুলে চাঁদা দাবি করে সংঘবদ্ধ বখাটেরা। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আশিক মুহুরী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে নূরুল ইসলাম (৩৮) একই গ্রামের হাজী বাড়ির নুর আলমের ছেলে অটো রিক্সা লাইনম্যান শিপন (১৯), একই বাড়ির নুরুল ইসলাম হাজীর ছেলে হাজী কলোনীর কেয়ারটেকার মো. স্বপন (২০)।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর গতকাল বুধবার (১ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়,গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে ও ঢাকা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল বাশার তারেক (২২) তাঁর বান্ধবী ফাতেমা আক্তারকে (১৮) নিয়ে চাটখিল বাজারের সেন্টার কাবাব হাউসে দুপুরের খাওয়ার খাচ্ছে। ওই সময় একই উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আশিক মুহুরী বাড়ির নুরুল ইসলাম (৩৮) একই গ্রামের হাজী বাড়ির শিপন (১৯) মো.স্বপন (২০) ও মো.আনোয়ার (২২) সহ আরো ২/৩ জন যুবক রেষ্টুরেন্টে খারাপ ভাষায় তারেকও তাঁর বান্ধবীকে বলে তোরা কোথা থেকে এসেছিস। পরে বখাটেরা কলেজ ছাত্র তারেককে ৫হাজার টাকা না দিলে তাঁর বান্ধবীকে রাস্তায় নিয়ে মানহানি করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাদেরকে মার্কেটের ভিতরের নিয়ে ১হাজার টাকা আদায় করে। শেষে অবশিষ্ট ৪ হাজার টাকা আদায়ের জন্য তাদেরকে সিএনজি স্ট্যান্ডে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চাঁদা আদায়ের ১হাজার টাকাসহ কলেজ ছাত্র ও তাঁর বান্ধবীকে উদ্ধার করে এবং ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন,এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ৩আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
Leave a Reply