চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে: ডিবি প্রধান

শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

আজ বুধবার (১৮ মে ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ১৫৮টি চোরাই ফোন উদ্ধার সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিককালে মোবাইল ফোন চুরি বা টান মেরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের নিকট যে ঘটনাগুলো আসে সেগুলো উদ্ধার করা হয় এবং আসামীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জামিনে এসে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। কারণ চোরাই মোবাইল বিক্রি করতে পেরে তারা এ কাজে উৎসাহ পায়। যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করবে তাদেরকেও প্রচলিত আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হবে।

চোরাই মোবাইল বিক্রির প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো ৩টি হাত বদল হয়। প্রথমত যে চুরি করে সে মোবাইলভেদে ৪-৮ হাজার টাকায় টেকনিশিয়ান বা কোন চোরাইফোন ক্রেতার নিকট বিক্রি করে দেয়। টেকনিশিয়ান বা চোরাই ফোন ক্রেতা ফোনের পার্সওয়ার্ড বা ফাইন্ড ইউর ফোন এ অপশনটি চালু থাকলে তার ডিসপ্লে ও কেসিং উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আর এসব অপশন চালু না থাকলে আইএমইআই পরিবর্তন করে আইফোনের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও অন্য ফোনগুলো ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

অল্প পয়সায় দামী ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করে গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুরাতন মোবাইল বিক্রির ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিকট চোরাই মোবাইল থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। যারা বিক্রি করে তারাও অপরাধী। বিক্রেতাদের এসব কাজ থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে চলাচল করতে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া রিকশা বা পাবলিক পরিবহনে চলাচলের সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে গাড়ির ভিতরের দিকে মোবাইল রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন ডিবি এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল উত্তরা ১০ নং সেক্টরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুপুরে ওযু করার সময় এক ব্যক্তির প্রায় দুইলক্ষাধিক টাকার একটি আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর মোতালেব প্লাজা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলটিসহ আরো ১৫৭ টি চোরাই মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ ও ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম এর নেতৃত্বে একাধিক টিম। এ ঘটনায় চোর ও বিক্রয়কারীসহ আটজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

সম্রাটের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের করতে নির্দেশ

ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

নিউ ইয়র্কে বন্দুক হামলায় শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যকে দুষলেন বাইডেন

নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যকে বিষবাষ্প বলে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৪ মে নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহতের ঘটনায় বাইডেন এই দায় আরোপ করেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
বাইডেন বলেছেন, ‘যারা আমেরিকাকে বোঝে না অথচ ভালোবাসার ভান করে তারাই ঘৃণা এবং ভীতি ছড়ায়। বিশ্বের ইতিহাসে আমরাই সবচেয়ে বেশি বর্ণের মানুষ নিয়ে গঠিত সবচেয়ে গতিশীল জাতি। এখন সময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমেরিকান হিসেবে কথা বলার এবং হোয়াইট সুপ্রিমেসিকে প্রত্যাখ্যান করার।’

বাইডেনের এই মন্তব্য ১৮ বছর বয়সী সাদা চামড়ার এক তরুণ কর্তৃক গুলি করে ১০ জন কালো গাত্রবর্ণের মানুষকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এল। পেটন গেন্ডরন নামে ওই তরুণ তাঁর নিজ শহর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরের নিউইয়র্ক শহরে এসেছিলেন স্রেফ কাল গাত্রবর্ণের লোকদের হত্যা করতে।

এর আগে, গত ১০ মে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের একটি সুপার মার্কেটে পেটন গেন্ডরন নামের এক তরুণের গুলিতে ১০ জন নিহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ১৮ বছরের ওই তরুণকে আটক করে নিউইয়র্ক পুলিশ। শনিবার বিকেলের দিকে ওই তরুণ একটি ব্যস্ত সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই তরুণ হামলার দৃশ্য লাইভ সম্প্রচার করার জন্য একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বলেছে, তারা এ ঘটনাকে ‘জাতিগত বিদ্বেষ থেকে উদ্বুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এফবিআইয়ের বাফেলো অফিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা স্টিফেন বেলঙ্গিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনাকে ঘৃণামূলক অপরাধ এবং জাতিগত বিদ্বেষ থেকে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার মামলা হিসেবে তদন্ত করছি।’

এদিকে, বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই তরুণকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তার অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা ওই সুপারমার্কেটে কাজ করতেন।

পরীমনির মামলায় নাসিরসহ ৩ জনের বিচার শুরু

ঢাকাঃ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার বিচার শুরু হলো।

বুধবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) মামলার বাদী চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ নম্বর আদালতে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, নাসিরসহ তিন আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এসময় তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পরীমনির আইনজীবী অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয় আদেশের জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন।

তারও আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জ গঠনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ওই বছরের ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি ও বনিসহ দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোটক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।

এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

সে সময় এক নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে জখম করেন।

এজাহারে পরীমনি আরও বলেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করেন। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব।