উত্তর কোরিয়ায় কোভিড শনাক্ত হওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউন

উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত নিশ্চিত করেছে এবং দেশটির নেতা কিম জং উন দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়ে ‘ জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন।

পরমানু শক্তিধর দেশটি কখনোই কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা স্বীকার করেনি এবং সরকার ২০২০ সালে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির সীমান্তে কঠোর অবরোধ আরোপ করে।

সরকারী কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিজা নিয়েছে, পিয়ংইয়ং-এ জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের নমুনা টেস্টে ‘ওমিক্রন বিএ.২ ভেরিয়েন্টের সাথে মিলে গেছে।’

নেতা কিম জং উন সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারে আলোচনার জন্য পলিট ব্যুরোর সংকটকালীন একটি বৈঠক করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে তারা ‘সর্বোচ্চ জরুরি মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন করবে।
কিম ‘গোটা দেশের সমস্ত শহর এবং কাউন্টিগুলোকে তাদের এলাকায় লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ যদিও নিষেধাজ্ঞাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। কেসিএনএ এ কথা জানায়। কিম বৈঠকে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উৎস দ্রুত নির্মূল করা।

কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া ‘বর্তমান আকস্মিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে এবং জরুরি মহামারি প্রতিরোধের কাজে জয়ী হবে।’ তবে কতজনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে কেসিএনএ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

কারামুক্ত হলেও হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট

জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যায় হাসপাতাল ও তার ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে তাকে দেখতে ভিড় করেন তার অনুসারীরা। এসময় অনেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারা কর্মকর্তা জামিনের কাগজ নিয়ে গিয়ে বিএসএমএমইউ’র সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সম্রাটের কাছে নিয়ম-কানুন মেনে তাকে জামিনে মুক্ত করেন। এসময় তার পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে জামিনে মুক্ত করা হয়।

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। নতুন করে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তি পেলেন তিনি।

বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

শর্তসমূহ হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্য করা আগামী তারিখে জমা দিতে হবে।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার। আগের দিন ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

ডেসটিনির রফিকুলের ১২, হারুনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের মামলায় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৭ মার্চ আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনসহ আসামি ৪৬ জন। তাদের মধ্যে জামিনে রয়েছেন লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম, লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। কারাগারে আছেন এমডি রফিকুল আমীন ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। অন্য ৩৯ আসামি পলাতক।

পলাতক আসামিরা হলেন- ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার।

১০০০ টাকা মুল্যমানের লাল নোট অচল নয় : বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ১০০০ টাকা মুল্যমানের লাল নোট অচল ঘোষণা করেনি। আগামী ৩০ মে’র পর এই নোট অচল হিসেবে গণ্য হবে মর্মে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচারিত তথ্যকে গুজব এবং বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০০ টাকা মুল্যমানের লাল নোট বা অন্য কোনো নোট অচল হিসেবে ঘোষণা করেনি। কেন্দ্রিয় ব্যাংক জনসাধারণকে এ ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য আমলে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রীর শোক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আল জাজিরার প্রখ্যাত সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহ নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।

বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৫১ বছর বয়সী শিরীন আবু আকলেহ নিহতের সংবাদে মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতার দায়িত্বপালনরত অবস্থায় তার এ মৃত্যু অত্যন্ত দু:খজনক এবং উদ্বেগজনক। ড. হাছান বলেন,  প্রয়াত শিরীন আবু আকলেহ যুগে যুগে সাহসী সাংবাদিকতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।