নীলুর কণ্ঠে এলো ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’

নব্বই দশকের আধুনিক বাংলা গানের জনপ্রিয় গায়কদের একজন মখলেছুল ইসলাম নীলু। ‘সুখপাখি উড়ে গেছে’, ‘সাগরের নীল থেকে’, ‘তোমারই জন্যে’, ‘আমার যে দিকটায় তুমি’, ‘বরষার রিমঝিম’-এমন অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত এই শিল্পী তিন যুগের ক্যারিয়ারে ছয়টি একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। গেয়েছেন অসংখ্য অনুষ্ঠানে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) নতুন গান-ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছেন মখলেছুল ইসলাম নীলু। যার শিরোনাম ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’। গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।

সুর করেছেন শাওন গানওয়ালা। সংগীতায়োজনে আদিব কবির। গানের সঙ্গে মিল রেখে গল্প সাজিয়ে এর ভিডিও নির্মাণ করেন সৈকত রেজা। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তারেক তাজ ও সাথী।

গানটি নিয়ে মখলেছুল ইসলাম নীলু বলেন, ‘আমরা যখন গভীরভাবে কারো প্রেমে পড়ি তখন তাকে যতই ভালোবাসি না কেন তা অল্প মনে হয়। আরো আরো ভালোবাসার আকুলতায় ভরে ওঠে প্রেমিক মন। এমনই গল্পে ফুটে উঠেছে গানটির কথায়। ভিডিওটিও করা হয়েছে সে অনুযায়ী। শুদ্ধ ও সুরেলা গান যারা পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। ’ ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’ উন্মুক্ত হয়েছে ইউটিউবে ডেডলাইন মিউজিকের চ্যানেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২

ইসি সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ : নির্বাচন ব্যাবস্থার উপড়ে জনগন আস্থা হারিয়ে ফেলেছে

বর্তমানে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ট এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাবস্থা আছে বলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটের দলগুলো ব্যতিরেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ জনগন কেউই বিশ্বাস করে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন অভিমত প্রকাশ করেছে।

তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন ব্যাবস্থার উপড়ে রাজনৈতিক দল গুলোর পাশাপাশি জনগনও সম্পূর্ণ ভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এমতবস্থায়, নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে সর্বাগ্রে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত, গ্রহণ যোগ্য এশটি নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ব্যাবস্থায় জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ যে কোন মূল্যে, সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন।

সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করে। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসীমউদ্দিন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম রীবন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এখলাস হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম পেলাব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

এসময় দলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় যে, ভোটের মাধ্যমে নিজের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং সংবিধান এই মৌলিক অধিকার প্রয়োগের দায়িত্বটি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তাই
নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য হবে আগে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের আস্থা অর্জনে যাবতীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহান মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষে ১১দফা প্রস্তাবনা এবং পরামর্শ পেশ করে। এগুলো হলো : ০১. বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দারিয়ে বিশ্বের প্রায় সকল সংসদীয় গণতন্ত্রের রাষ্ট্র গুলোর মতই বাংলাদেশেও দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ আজ সময়ের দাবী। ০২. গত ৫০ বছরে দেশের জনসংখ্যা দিগুনের বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ০৩. বিদ্যমান আসন ভিত্তিক প্রত্যক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি দল বা জোটের সারা দেশে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। তাহলে সংসদে বেশী সংখ্যক দলের প্রতিনিধিত্ব ও তূলনা মুলক ভাবে যোগ্য ব্যাক্তিদের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ০৪. জাতীয় নির্বাচনের কমপক্ষে ৬ মাস আগে ভোটারদের হাল নাগাদ তালিকা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা প্রয়োজন। ০৫. দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা-প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত ও তাদের ভোট গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব করছি। ০৬. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি শর্তাবলি সহজ করা। যে সব শর্ত সংবিধানের মৌল গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অসঙ্গতি পূর্ণ আরপিও’র সে সকল ধারা বাতিল করা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একশতাংশ সমর্থনের বিধান রহিতকরার প্রস্তাব করছি। ০৭. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন লেভেল প্লেইংফিল্ড। সে ক্ষেত্রে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই লেভেল প্লে­ইং ফিল্ড তৈরী করা সম্ভব নয়। সেহেতু, নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার সাথে সাথে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। ০৮. অবসর প্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও তারকা ব্যবসায়ীরা নূন্যতম পাঁচ বছর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পরই কেবল তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। ০৯. একটি আধুনিক ইলেকটরাল ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ এশটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে। যেমন; ক) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজনকে রিটার্নিং অফিসার না করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা রিটারনিং প্যানেল তৈরী করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১জন সশস্ত্র বাহিনির সদস্যকে অবশ্যই এই প্যানেলে অর্ন্তভূক্ত করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ন্যাপ প্রস্তাব করছে। খ) প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার পৌঁছানো থেকে কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষ ব্যতীত প্রতিটি কক্ষে ও বুথে অনিয়ম রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে লাইভ স্ত্রিমিং, রেকর্ডিং এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের এই সিসিটিভি লাইভস্ত্রিমিং ও রেকর্ডিংএর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দিতে হবে যেন যে কোন অনিয়মের অভিযোগ তাৎক্ষনিক ভাবে নিষ্পত্তি করা যায়। গ) প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে পিপল কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে নির্বাচনের দিন মোট ভোটের যোগফল এর সহিত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণে আনতে হবে যাতে করে কোন ভাবেই একজন ভোটার একএর অধিক ভোট দিতে না পারে। ঘ) প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সমুক্ষে কেন্দ্রতেই ঘোষণা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টফিকেট ইস্যু বাধ্যতা মুলক হতে হবে। ১০. বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা। ভোটারদের মধ্যে ইভিএম’র বিষয়ে গ্রহন যোগ্যতা সৃষ্টি না করে ইভিএম চাপিয়ে দিলে সিদ্ধান্তটি একটি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে। ১১. বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখন সময় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের নির্বাচন ব্যাবস্থায় প্রধান সহযোগী শক্তি হিসেবে অর্ন্তর্ভুক্ত করা।

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৪২ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বিষাক্ত মদপানে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু ও প্রায় একশ’ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মদ আমদানি-রপ্তানি ও প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে গুজরাট রাজ্যের অনেক গ্রামে বিক্রি করা বিষাক্ত মদপান করার পর অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা অশোক ইয়াদেব এএফপি’কে বলেন, ওই মদপানের পর থেকে এ পর্যন্ত বোতাদ জেলায় ৩১ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাজে মদ্যপান ও মদ বিক্রি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।
পুলিশের আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা ভি চন্দ্রশেখর এএফপি’কে বলেন, পার্শ্ববর্তী আহমেদাবাদ নগরীতে অপর ১১ জনের মৃত্যু হয়।
রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সাংবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তারা বিষাক্ত মদপান করেছিলেন।’
তিনি বলেন, এ মদপানের ঘটনায় চিকিৎসার জন্য ৯৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি তকরা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৬ আসামীর মৃত্যুুদণ্ড

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার ছয়জনের মৃত্যুদন্ড দিয়ে আজ রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন-বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হফিজুল আলম।

দন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক। কারাগারে থাকা ৫ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪৮ তম রায়।
এর আগে গত ২২ মে খুলনার বটিয়াঘাটায় এ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় যে কোন দিন (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তিনি বলেন, এই মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট আটজন আসামি থাকলেও একজন মারা গেছেন। ফলে তাকে বাদ দিয়ে বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিনসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার পর মামলার আইও’র জেরার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়।

এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই অভিযোগ রয়েছে আসামি আমজাদ হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মন্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

চতুর্থ অভিযোগ: ’৭১ এর ২৯ নভেম্বরে এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মন্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থাকবে তেঁতুলিয়ায় ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৬ মিনিটে।

 নোয়াখালীতে দেড় শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী শহরে খাল ও সড়কের পাশে থাকা অবৈধভাবে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে যানজট নিরসনে শহরের সোনাপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে এর আগেও কয়েকবার সোনাপুর জিরো পয়েন্টের অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু প্রশাসন চলে গেলে আবার এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তা দখল করে দোকানপাট শুরু করে। এতে করে প্রতিদিন পোহাতে হয় তীব্র যানযট। বুধবার ২৭ জুলাই সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ দেড় শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।

একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন

আয়শা এরিন : চলচ্চিত্র ফলত সাংস্কৃতিক শক্তি। অন্যদিকে, কার্যত শক্তিশালী গণমাধ্যম। মুলত, মনুষ্য জীবনের  দৃশ্যমান বাস্তবতা  কাল্পনিক জগত তৈরি করে বার্তা রাখার প্রয়াসে যায়। বস্তুত, জনশ্রেণির বিনোদনের খোরাক হয়ে চলচ্চিত্র একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। প্রাসঙ্গিক দাবীতে মুখরিত হয়ে নির্মাতা তখন বলেন, নির্যাস নাও, অতঃপর মনে রেখো !

চলচ্চিত্র  বিশেষ একটি শিল্প মাধ্যম। মানুষ সভ্যতাকে আলিঙ্গন করতে যেয়ে চলচ্চিত্রের ধারণা একদা নিতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকেই এমন অভিযাত্রা শুরু। উপমহাদেশে বরেণ্য চিত্রশিল্পী রাজা রাভি বার্মার আধুনিক মানসিকতা ও ঝুঁকিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতায় দাদাসাহেব ফালকে উদ্যোক্তা পরিচালক হিসাবে চলচ্চিত্র মাধ্যমকে পরিচিত করান। তিনি ১৯১৩ সালে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চমক দেখান। এদিকে বাংলাদেশ প্রায় পঞ্চাশ বছরে এই শিল্পের অনগ্রসর জাহাজটিকে  প্রত্যাশিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেনি।

দু’একটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা ব্যতিত বাংলাদেশ এই শিল্পে সেরা কিছু প্রদর্শন করতে পারেনি। কিন্তু, মানুষ একসময় সিনেমা হলগুলোয় গিয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির বিস্তার যখন গ্রাস করেনি, সে পর্যন্ত মধ্যবিত্ত ও অতি অবশ্যই নিম্নবিত্ত মানুষ সিনেমা দেখতে যেত বলে ধরে নেয়ার সুযোগ আছে।

অন্যদিকে নির্মাতাদের অতি মাত্রায় বিদেশি সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল হয়েই এই দেশে সস্তা জনপ্রিয়তা লুফে নিতে হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাংলাদেশে রাজ্জাক, কবরী,ববিতা, শাবানা যারাই জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের অভিনীত অধিকাংশ চলচ্চিত্রই প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় চলচ্চিত্রের গল্প চুরি করেই নির্মিত। এবং, তেমন ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ অব্দি সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। মৌলিক গল্প লিখবার এখানে কেহ নেই। গীতিকার সুরকারেরাও অন্ধকার রাস্তায় যেয়েই পথিক হয়েছেন। মোদ্দকথা, বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যেয়ে নিজস্ব কৃষ্টির ওপর দাঁড়িয়ে থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি।

বক্স অফিস নেই, কিন্তু অধুনা সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট বিচারের আদ্যপান্ত যাচাইয়ে মনযোগি হলে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ধারার সংবাদমাধ্যম তথা ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন মাধ্যমগুলোর বিনোদন সংবাদকর্মীরা চলচ্চিত্রের বিকাশে বিপ্লব প্রত্যাশা করছেন। তাঁদের সাংবাদিকতার সাংস্কৃতিক মনবোধ তৈরি হোক বা না হোক, চলচ্চিত্র এবং এই শিল্পের সাথে থাকা অভিনয় শিল্পী, পরিচালকদের খবরাখবর দিচ্ছেন তাঁরা ঘন্টায় ঘন্টায়।

ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তিন সিনেমা; অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’, শরিফুল রাজের ‘পরাণ’ ও জিয়াউল রোশানের ‘সাইকো’। এবারের ঈদে সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’। বাংলাদেশের বিনোদন সংবাদকর্মীবৃন্দ তিনটি সিনেমারই প্রচারে থেকে দর্শকদেরকে বলতে চেয়েছেন, আপনিই বিচার করুন এবারের ঈদে কোন চলচ্চিত্রটি দেখতে পারেন !

দিনঃ দ্য ডে
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এতটা ভাল সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে কোন সিনেমা ইতোপূর্বে নির্মিত হয় নাই। সুস্পষ্টভাবে অনন্ত জলিল তাঁর পরিশ্রমী সাংস্কৃতিক পথচলাকে শুধুমাত্র রঙ্গিনই করেন নি, ধারা ভেঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। কারণ, বাংলদেশ এখন বলতে পারবে, ফিল্মিক ফ্রেম ধরাটা রপ্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। গল্পের নতুনত্ব, সম্পাদনা মিলিয়ে দিন দ্য ডে চলচ্চিত্রটির সাথে সত্যিকার অর্থে অন্যান্য সিনেমাগুলোর তুলনা করাটা ভুলই হচ্ছে। অসম প্রতিযোগিতার মত করে হয়ে যায় ! অনন্ত জলিল ও বর্ষা তাঁদের অভিনয় শৈলীকে ভবিষ্যতে আরো পরিণত করতে পারলে তাঁরা এক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবেও উৎরিয়ে যাবে বলে মনে করার সুযোগ আছে।

পরাণ
এই চলচ্চিত্রটির সেন্সর দেয়াটা সমীচীন হয়নি। সামাজিকভাবে চিন্তার উদ্রেকে মেতে উঠলে নয়ন বন্ড তৈরি হোক বা প্রজন্ম এমন ধরণের সাংস্কৃতিক সত্তায় সঁপে দিয়ে উগ্র মানসিকতায় ভর করুক, তেমন প্রভাবের আলোটিই কায়দা করে দর্শকদের চোখে পড়ুক— এটিই এই চলচ্চিত্রের ম্যাসেজ !

চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্যায়নে ক্লোজ শট ব্যতিরকে নাটকের ফ্রেম ধরা পড়েছে। যা খুবই দুর্বল ও চলমান বৈশ্বিক ধারাবাহিকতার সাথে যায় না। বিব্রতকর ! এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরকিয়া প্রেমকে সু স্বাগত বলার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা সমাজের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। তবে নবাগত রাজ অভিনয়টা ভাল করেছেন।

সাইকো
সাইকো চলচ্চিত্রটি তারুণ্য, ভিন্ন ভাবনায় প্রেমের উপস্থাপন ও কিছু বার্তার গল্পে নির্মাণাধীন বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসাবে প্রচারণায় থাকা হয়েছে। ট্রাডিশনাল ফিল্মের উপকরণের সম্ভার নিয়ে সিনেমাটি প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও মন্দের ভাল হিসাবেই দেখতে হবে। প্রধান দুই চরিত্রের বাইরে ছোট পর্দার শক্তিশালী অভিনেতা- অভিনেত্রীরা কাজ করার ফলশ্রুতিতে সিনেমাটিতে পেশাদারিত্ব ছিল।

নিজেদের উপযোগি শাসন ব্যবস্থার ওপর ভর করে যেমন রাষ্ট্রের গতির যান ও চালক নির্ধারণ করার দরকার—– ঠিক একইভাবে সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে স্ব-কৃষ্টি কষ্টি পাথরের মত করে জীবনকে ঘষুক। চলচ্চিত্র আসলে কি ? যখন তোমার নিত্যদিনের পথচলা তথা চলমান জীবনের ধারা ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে বা এনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে এবং সবিশেষ বার্তা রেখে সমাজ ও প্রকৃতিকেও জেতায়। সেরকম কিছু করতে পারছো কিনা ! পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশে দিন দ্য ডে কি গল্প নিয়ে এসেছে, সেটা বড় নয়, বড় হল, এই  চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন। সিনেমাটিক ছিল। সঙ্গত যুক্তিতে একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন। ধন্যবাদ তাঁকে !

লেখকঃ সাংবাদিক, প্রযোজক, বৈষ্টমি প্রোডাকশন

তিনশ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা আবিষ্কার

অ্যাঙ্গোলার খনি শ্রমিকরা বিরল ও খাঁটি এক গোলাপি হিরা আবিষ্কার করেছে। ধারনা করা হচ্ছে গত তিনশ’ বছরের আবিষ্কারের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় হীরা।

হীরাটির নাম দেয়া হয়েছে লুলো রোজ। এটির ওজন ১৭০ ক্যারেট।  দেশটিতে ব্যাপকভাবে হীরা পাওয়া যায় এমন উত্তরপূর্বাঞ্চলের লুলো খনিতে এটি পাওয়া গেছে।

লুকাপো ডায়মন্ড কোম্পানী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ যাবত পাওয়া সকল হীরার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
বিরল ও বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক পাথরের রূপের এই হীরার আবিষ্কারকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছে অ্যাঙ্গোলান সরকার। অ্যাঙ্গোলার সরকারও এই খনির অংশীদার।

আন্তর্জাতিক দরপত্রে হীরাটি চমকপ্রদ দামে বিক্রি করা হবে। এর আগে হংকংয়ে ২০১৭ সালে ৫৯.৬ ক্যারেটের একটি গোলাপি হীরা নিলামে ৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। এটি এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে দামী হীরা।

ফেনীতে ৬ মাসে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণের মাদক দ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেনী ব্যাটালিয়ন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিজিবির জায়লস্কর সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংস করা হয়।

এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মো. মারুফুর আবেদীন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম, উপ-অধিনায়ক মেজর মো. জাকির হোসেন, সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আলীউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্যাহ।

বিজিবি’র সূত্র জানায়, ধ্বংসকৃত মাদক দ্রব্যের আর্থিক মূল্যে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকা। ৬ মাসে উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ হাজার ৩৬৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬শ টাকা, ১৯ বোতল ইস্কপ সিরাপ আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার ৬শ টাকা, ৬৮৮ ক্যান ও বোতলজাত বিয়ার  আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ১৩ হাজার ২১১ বোতল হুইস্কি, আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৬ হাজার ৫শ টাকা, ৫১৫ দশমিক ৫ কেজি গাঁজা যার আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ১৬ হাজার ৪৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, আনুমানিক মূল্য ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ টাকা, ১৩ লাখ ৮৩ লাখ ৬৬২ পিস ভারতীয় সেনেগ্রা, টার্গেট ও অন্যান্য নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মূল্য ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ২শ টাকা, ৩৯ দশমিক ৫ লিটার বাংলা মদ মূল্য ১১ হাজার ৮শ ৫০ টাকা, ৯ বোতল রিকোডেক্স সিরাপ মূল্য ৩ হাজার ৬শ টাকা।

সাবেক ওসি প্রদীপের ২৮ বছর, স্ত্রী চুমকির ২৯ বছর কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ওসি প্রদীপের ২০ বছর এবং স্ত্রী চুমকির ২১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন চুমকি। গত ২৩ মে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।