Breaking News
বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশীকে মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট এই সহিংসতায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাকড়ি গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে তিনি তার প্রতিবেশী শাহিন উদ্দিনকে দাওয়াত দেননি। দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়টি শাহিন উদ্দিন ও তার সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং শুক্রবার রাতেই এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরদিন শনিবার সকালে এই উত্তেজনার জেরে শাহিন উদ্দিনের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়।এ সময় রফিকুল ইসলামের লোকজনও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন।

সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও তাদের চিকিৎসা চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তীব্র আতঙ্কের মধ্যেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত না শুকাতেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। শুক্রবারের তীব্র কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে আবারও অনুভূত হলো ঝাঁকুনি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এটি একটি মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প বা ‘আফটার শক’ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে সাভারের বাইপাইল এলাকায়।

এর ঠিক একদিন আগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের আঘাতে বিপর্যস্ত হয় দেশ। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
শুক্রবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনটি স্থায়ী ছিল ২৬ সেকেন্ড।

শুক্রবারের ওই ভূমিকম্পে তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে এবং ভবন ধসে আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। রাজধানী ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং বেশ কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে।
পরপর দুই দিন ভূমিকম্পের ঘটনায় নগরবাসীদের মধ্যে চরম ভীতি বিরাজ করছে। অনেকেই আতঙ্কে বহুতল ভবন ছেড়ে খোলা জায়গায় অবস্থান করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ভূমিকম্পের পর সাধারণত এমন ছোট ছোট ‘আফটার শক’ বা অনুকম্পন অনুভূত হতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানে চাঁদের গাড়ি উল্টে ১১ পর্যটক আহত

বান্দরবানের কেওক্রাডং যাওয়ার পথে চাঁদের গাড়ি উল্টে ১১ পর্যটক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় কেওক্রাডং সড়কের পেঁপে বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত পর্যটকরা কুষ্টিয়ার বাসিন্দা হলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোর ৬টার দিকে বগালেক থেকে চাঁদের গাড়িতে করে গাইডসহ ১৩ জনের একটি টিম কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে গাড়িটি কেওক্রাডং সড়কের পেঁপে বাগান এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ১১ পর্যটক আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় ১১ পর্যটক আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা গুরুত্ব হওয়ায় তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লাইনে দাঁড়িয়ে আর টোল দিতে হবে না পদ্মা সেতুতে!

স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাঙ্গালীদের কাছে যেন এক অনন্য সফলতা। আর এই সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য এসেছে সুখবর। কারন এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দিতে হবে না কোন যানবাহনের জন্য। এমন পরিকল্পনা গ্রহন করার কথা জানিয়েছেন সেতু কর্তৃপক্ষ। 

প্রশ্ন আসতে পারে, তবে কি ফ্রিতে চলাচল করবে যানবাহন? নাকি রয়েছে বিকল্প কোন উপায়? সেই বিস্তারিত জানাতেই আমাদের আজকের প্রতিবেদন। 

বাংলাদেশ ডিজিটাল পথে হাঁটছে, গেল বেশ কিছু বছর ধরে। যেখানে গোটা বিশ্বের দেশগুলো প্রযুক্তিকে কাজে বিভিন্ন কাজ সহজ থেকে সহজত্বর করে তুলছে। সেইদিক থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।

পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যুক্ত হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি। চালু হতে যাচ্ছে চলন্ত অবস্থায় গাড়ির টোল আদায় পদ্ধতিআরএফআইডি। অর্থাৎ, সহজ হচ্ছে পদ্মা সেতুর টোল দেওয়ার প্রক্রিয়া। 

নগদ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি চালু হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসিএস)  আর নতুন এই পদ্ধতির জন্যই সেতুর দুই পাড়ে থাকছে আলাদা বুথ। এছাড়াও প্রক্রিয়াধীন হাইব্রিডটাচ এন্ড গো পদ্ধতি।

নতুন দুই পদ্ধতি চালু হলে জটলামুক্ত থাকবে টোল প্লাজা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে অর্থনীতিতে আরও গতি সঞ্চার হবে। চলুন জেনে নেই নতুন এই উদ্যোগের বিস্তারিত। 

এখন থেকে পদ্মা সেতুতে টোল দেওয়ার জন্য আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেই চালু হচ্ছে কার্ড সিস্টেম। যাতে আগে থেকেই টাকা রিচার্জ করে রাখা যাবে। 

টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে রোবোটিক ক্যামেরা সেই গাড়িকে শনাক্ত করবে এবং কার্ড থেকে টোল কেটে নেবে। কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন এই কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। সব ধরনের টোল আদায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ তাদের।

জানা গেছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হলে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ তিন সেকেন্ডে টোল দিতে পারবে। টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা কোরিয়ান কোম্পানি কেইসি জানিয়েছে, মাসেই চালু হবে নতুন প্রযুক্তি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক্সপ্রেসওয়ে সেতুর টোলের জন্য এক কার্ড এক পেমেন্ট সিস্টেম চালু রয়েছে। এখন বাংলাদেশে সময় এসেছে পদ্ধতি চালুর। এতে একাধিক টোল কার্ড ব্যবহারের ভোগান্তি থেকে বাঁচবে গ্রাহকরা।

কেইসি প্রকল্প পরিচালক জিনউ পার্ক জানিয়েছেন, সেবা নিতে হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) আরএফআইডি ট্যাগ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট দেওয়া যাবে। 

এদিকে পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের জন্য আধুনিক ব্যবস্থার সবশেষ প্রস্তুতি দেখতে মাওয়ায় যান দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। 

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশিদার হতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। দেশের অগ্রযাত্রায় আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আগে শুধু পোশাক শিল্পে অবদান রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া, এখন অবকাঠামো খাতেও বিনিয়োগে আগ্রহী আমরা।

টোলের কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে কাউন্টার থাকছে। এই কার্ড টোল মেশিনে ছোঁয়ালেই টাকা কেটে নেবে। 

ছাড়া গাড়িটি পদ্মা সেতু পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টোল আদায় করে নেবে। সাথে সাথেই দেখা যাবে কার্ডের ব্যালেন্স।  

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সেতু চালু হওয়ায় দেশের ২১ জেলার যাতায়াত সহজ হওয়ার পাশাপাশি গড়ে উঠছে নতুন শিল্পকারখানা। ফলে প্রসার ঘটছে ব্যবসাবাণিজ্যের, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।এরই সাথে গত বছর উদ্বোধনের পর থেকে গড়ে প্রতিদিন সেতু থেকে কোটি ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭০ টাকা টোল আদায় করা হয়ে থাকে। 

এখন থেকে ফেসবুক চালাতে হলে পকেট হবে ফাঁকা!

গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষ জড়িয়ে আছে এমনই একটি অ্যাপ ফেসবুক। বলা যায়, এই অ্যাপের মধ্য দিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটে মানুষের। অনেকেই আবার আছেন যারা এই ফেসবুকফ্রিক। অর্থা এই অ্যাপে আসক্ত। আর তাদের জন্যই চলে এসেছে দুঃসংবাদ। কারন এখন থেকে আর ফ্রিতে নয়, বরং টাকা দিয়ে চালাতে হবে ফেসবুক। 

শুধু ফেসবুকই নয়, পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম চালানোর জন্য টাকা দিতে হবে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। আর এমনই পেইড সিস্টেম পরিকল্পনা করেছে মেটা। 

প্রশ্ন আসতে পারে, হুট করেই কেন সামনে এসেছে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। এই পরিকল্পনায় বাংলাদেশের নাম নেইতো

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে মেটার। সমস্যা সমাধানে নতুন এক উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ইইউর দেশগুলোতে দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে পেইড সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মেটা। এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের চোখে যেই বিষয়টি সর্বাধিক চোখে পড়ে সেটি হচ্ছে বিজ্ঞাপন। যেকোন ভিডিও কিংবা রিলস দেখার ক্ষেত্রে কিংবা স্ক্রল করতে গেলেই হরহামেশাই ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুন বিজ্ঞাপন দেখতে হচ্ছে। 

কিন্তু জানা গেছে, বিজ্ঞাপনের কারণে অনেকেই ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম চালাতে গিয়ে বিরক্ত হন। আর এই কথা ভেবেইতো অনেক আগেই পেইড সিস্টেম চালু করেছিল ইউটিউব। এমনকি বাংলাদেশেও এই ফিচার যুক্ত হয়েছে। 

তাই এবার ইইউর দেশগুলোতে একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে মেটা। অনেকদিন দরেই এমন চিন্তা থাকলেও অবশেষে এখন পরিকল্পনা করেই ফেলেছে সংস্থাটি। 

মেটার উচ্চপদস্থ তিনজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সরকারি বিভিন্ন নীতির কারণে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। আমেরিকায় যে নিয়মে সহজেই ব্যবসা করা যাচ্ছে, ইউরোপে তেমনভাবে করা যাচ্ছে না। 

আর তাই, নিজেদের ব্যবসাকে সফল রাখতেই পেইড সিস্টেম এর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে মেটা। যার ফলে এখন থেকে ফেসবুক চালাতে গুনতে হবে টাকা। তবে কবে নাগাদ এই ফিচার যুক্ত হবে, বিষয়টি এখন পর্যন্ত মেটার কোন কর্মকর্তা জানাননি। 

এই ফিচার আনা হলে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে মেটায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে এই ফিচার নিলে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা অ্যাপে আর কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন না। 

পেইড সিস্টেম চালু থাকলেও ফ্রি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম চালানোর ব্যবস্থাও রাখবে মেটা। এছাড়া নতুন ফিচার পেতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে, ব্যাপারেও মেটার এই তিন কর্মকর্তা তেমন কিছুই জানাননি। 

মূলত বিজ্ঞাপনের কারণেই ইউরোপে একের পর এক মামলা হচ্ছে মেটার নামে। ফলস্বরুপ, কোটি কোটি ডলার গচ্ছা যাচ্ছে সংস্থাটির।  তাই লোকসান থেকে ঘুরে উঠতেই নতুন পথে মেটা। 

কিন্তু ব্যবহারকারীরা যদি বিজ্ঞাপন দেখতে না চান, তবে অর্থ খরচ করে বা ফেসবুক সাবস্ক্রাইব করে ফেসবুক চালাতে হবে। কিন্তু রাজি হবেন কয়জন?

অনেকেই হয়তো টাকা খরচ করে ফেসবুক চালাতে রাজি হবে না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও সেটি জানে। তাই বিষয়টি নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

কারন এখন ফেসবুক ব্যবহার করতে টাকা লাগে না বলে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ফেসবুকের বিশেষ সংস্করণ চালু হলে ব্যবহারকারী বাড়ানো যাবে কি না, সে বিষয়টিও বিবেচনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে!

জল্পনাকল্পনা শেষে এবং অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে অবশেষে উদ্বোধন হল দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেস। এরই মধ্য দিয়ে স্বস্তির মুখ দেখয়ার সুযোগ মিলেছে নগরবাসীর। 

২রা সেপ্টেম্বর, শনিবার এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতারা। 

বিকেল সাড়ে ৩টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধনের পর বিমানবন্দরফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। 

এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে না থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেস ওয়ে ব্যবহার করে যেতে পারবেন গন্তব্যে। আর এই পুরো সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন বিমানবন্দর , কুড়িল, বনানী, মহাখালীতে, বিজয় ফার্মগেটে যাতায়াতকারী জনসাধারণ।

তবে আপাতত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ায় এখন থেকেই নগরবাসীর জন্য এই স্বস্তি বাড়ছে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১. কিলোমিটার অংশটি উদ্বোধন হয়েছে ইতিমধ্যে, যা শহরের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কে বিকল্প রুট হিসাবে কাজ করবে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অংশটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে ১০ মিনিটেরও কম সময় লাগবে, যা সাধারণত নিয়মিত রাস্তায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সইয়ের এক যুগ পর আলোর মুখ দেখছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। 

এক্সপ্রেসওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের সামনে নামছে একটি র্যাম্প। 

এর মধ্যে বনানী মহাখালীর দুটি র্যাম্পের কাজ শেষ হয়নি। এজন্য আপাতত র্যাম্প দুটি বন্ধ থাকবে।

এদিকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ দুটি এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে যানবাহন, বিশেষ করে ভারী যানবাহনের জন্য একটিভার্টিকাল বাইপাসতৈরি করা।

অর্থাৎ, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েঢাকা ইপিজেড এলাকা থেকে আশুলিয়া আবদুল্লাহপুর হয়ে আসার পর বিমানবন্দর এলাকার কাছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত হবে। 

২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটিও ২০২৬ সালের জুনের সময়সীমা নিয়ে নির্মাণাধীন রয়েছে। ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পাশাআপ্সহি বেধে দেয়া হয়েছে নিয়ম।

সেই অনুযায়ী, থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।একই সাথে মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।

এর আগে সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।

ক্যাটাগরি এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দরফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক ( টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি এর অধীনে ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। 

যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সিটের বা তার বেশি) টোল রেট ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।

তবে স্বস্তির মুখ দেখার পাশাপাশি, জনসাধারনের মনে অন্য প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে যেমন স্বস্তির সুযোগ রয়েছে তেমনি নতুন ভোগান্তির কারন তৈরি হচ্ছে নাতো?

কারন প্রকল্পের শুরু থেকেই পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, শহরের মধ্যে নামার ্যাম্প বিশেষ করেবনানী, মহাখালী বিজয় সরণিতে গাড়ির চাপ তৈরি করবে।

পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা ভাগ হচ্ছে, কিন্তু গাড়ির পরিমাণ সেই একই আছে। ঢাকায় যে গাড়িগুলো এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে, সেগুলো সুবিধা পাবে। যে গাড়িগুলো নগরের বিভিন্ন ্যাম্পে নামবে, সেখানে তো আগে থেকেই গাড়ির একটা জট থাকবে। ফলে আরও জট হতে পারে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ দিনের ব্যবধানে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু!

বছরের সেপ্টেম্বর মাস। এখন পর্যন্ত যেন নগরবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় আতংকের নাম ডেঙ্গু। যেই আতংকের সাথে লড়াই করে কেউ পার পেয়ে যায়, কেউ আবার জীবন হারায়। 

আর সেই তালিকায় যোগ হয়েছে দুই ভাইবোনের নাম। দেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দিনের ব্যবধানে বিদায় নিয়েছেন একই পরিবারের ফুটফুটে দুই সন্তান। 

ডেঙ্গু! যা এবছর যেন দেশবাসীর কাছে কোন মহামারীর থেকে কম নয়। কারন বনছর বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যুর সংখ্যা। শহরের পাশাপাশিপাশি পার্বত্য এলাকা এবং গ্রামেও রয়েছে এর বিস্তার। 

ফলাফলস্বরুপ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এতই ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে, যা গেল কয়েক বছরের মধ্যে মানুষ কখনও দেখেননি। আর তাইতো এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে জনসাধারণ মরিয়া হয়ে আছেন। কিন্তু তবুও যেন মিলছে না নিস্তার।  

আব্বু ঢাকায় অনেক মশা, ঢাকায় থাকবো না’-এমনই কথা ভেষে বেড়াচ্ছে গণমাধ্যমে। কথাটি বলেছিল এক অসহায় বাবার ফুটফুটে সন্তান। কারন মশার কামড়েই যে ভাইকে হারিয়েছিল এক সপ্তহ আগে। 

তাই বারংবার বাবার কাছে সন্তানের আবদার, থাকবে না নগরে। কিন্তু সেই আবদার রাখতে পারলেন না মাবাবা কেউই। কারন এর আগেই যে সেই সন্তান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছে দুনিয়া থেকে। 

দুই সন্তানকে হারিয়ে এখন নিঃস্ব বাবামা। জীবন থেকে যেন বেঁচে থাকার আশা ফুরিয়ে গেছে মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাবেয়া আক্তার দম্পত্তির। গত ১৬ আগস্ট প্রথমে বছরের ছেলে আরাফাত জাহান রাউফের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

গত১৪ আগস্ট আরাফাতের হালকা জ্বর আসে। ১৫ আগস্ট এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ১৬ আগস্ট রক্তের পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। 

 ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর থেকে দ্রুত প্লাটিলেট কমতে থাকে তাদের বড় সন্তানের। কিন্তু  চিকিৎসক বলেছিলেন, হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু পরের দিন ১৭ আগস্ট প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। 

১৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই আরাফাত মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, ছেলে মারা গেছে। ভাইয়ের মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়ে বোন ইসনাত জাহান রাইদা। 

জ্বর আসার পরেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রেন্টকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানালেন, ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের পিআইসিইউতে মেয়েকে পাঁচ দিন রেখে মেয়ে ভালো আছে বলে বাসায় আনতে বলে। 

তবে মেয়েকে বাসায় আনার পরই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মহাখালীর আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের পিআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল তিন লাখ টাকা দিয়ে সাতটি ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলেছিল। দুটি ইনজেকশন দেওয়াও হয়। কিন্তু বাবামার শেষ সম্বল বছর বয়সের রাইদাও ২৫ আগস্ট সকালে না ফেরার দেশে চলে যায়।

দুই সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না বাবামা। সাজানো গোছানো সংসারজুড়ে শুধু সন্তানদের স্মৃতি। তাই রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার বাসা ছেড়েছেন তারা।

জানা গেছে, রাজধানীর আইকন একাডেমি নামে একটি স্কুলে রাউফ কেজি আর রাইদা নার্সারিতে পড়ত। শ্রেণি শিক্ষকদেরও চোখের মণি ছিলো দুইভাইবোন। স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে শিক্ষকরাও শোকাহত।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু আর আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চলতি আগস্ট মাসে। মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৪২ জন। আর চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ৫৯৩ জন।

এদিকে ডেঙ্গুতে জ্বর ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন আক্রান্তরা। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, একাধিক স্ট্রেইন দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে জটিলতাটা বেশি হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এটা শুধু বয়স্ক মানুষ, যাদের আগে থেকেই রোগ আছে তাদের হচ্ছে এমনটা না। ইয়াং মানুষ যাদের অন্য রোগ নেই তাদেরও হচ্ছে। এতে আমার ধারনা, একধিক স্ট্রেইন দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে জটিলতাটা বেশি হচ্ছে।

ডেঙ্গু থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না জানিয়ে বেনজির আহমেদ বলেন, জনসচেতনতায় সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

হুয়াওয়ে ও বিটিসিএল’র সহযোগিতায় নেত্রকোনায় বন্যাকবলিতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী

সাম্প্রতিক বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেত্রকোনা জেলা। জেলার ছয় উপজেলায় আটকা পড়েছিলেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ, আর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন দুর্যোগ কবলিত মানুষরা।

এ অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রতিকূল অবস্থার কথা বিবেচনা করে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় বন্যাকবলিতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও বিটিসিএল। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ জুলাই বিটিসিএল কার্যালয়ে হুয়াওয়ে এক হাজার ব্যাগের বেশি ত্রাণ সামগ্রী পূর্ণ ব্যাগ বিটিসিএল -এর কাছে হস্তান্তর করে।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগুয়ানগিয়াও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমাদের দেশ কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিকূল সময় আমাদের দায়িত্ব একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো। হুয়াওয়ে ও বিটিসিএল ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাওগুয়ানগিয়াও বলেন, “মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি সবসময় বজায় রেখে চলেছে হুয়াওয়ে। এবার আবারও আমরা বিটিসিএল’র সাথে একসাথে দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা এ ত্রাণ সামগ্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করবে। ভবিষ্যতেও সম্ভাব্য সকল উপায়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানুষের সহায়তায় পাশে এসে দাঁড়াবে।”

বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, “ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন চ্যালেঞ্জিং সময়, আর এ সময়ে একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা যেনো এ কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন এজন্য আমরা আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।”

বিটিসিএল’র কাছে হস্তান্তর করা এক হাজারেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রীর ব্যাগগুলোতে রয়েছে মুড়ি, চিড়া, চিনি, মোম, ম্যাচবাক্স, টোস্ট বিস্কুটসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যসামগ্রী। অতি শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিটিসিএল।

গত সপ্তাহে হুয়াওয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর দুই হাজারের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন খালিয়াজুরীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রব্বানী জব্বার, ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং মেজর জিসানুল হায়দার।

শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে নির্যাতনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে অব্যাহতভাবে শিক্ষক হত্যা, নির্যাতনের নিন্দা জানান। একই সাথে সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। নড়াইলের ঘটনায় প্রশাসনের উপস্থিত কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপি প্রত্যাহার এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শিক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যর্থ স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের আহবায়ক সাহাদাত হোসেন রিকাউনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক এ্যডভোকেট কাউসার নিয়াজী, সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ, উন্নয়ন সংস্থা এসোগড়ির নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মো. সেলিম প্রমূখ।

বৃদ্ধের পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন: যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুর্ব শক্রতার জের ধরে পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীকে (৬৮) নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন সানাজ (৪৫) সে উপজেলার চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত আাজাহার আহমেদের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার থানারহাট বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধের ছেলে ইউপি সদস্য মো.রিপন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮-১০জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে এ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত শনিবার ২ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার ইন্ধনে ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা উপজেলার থানারহাট সংলগ্ন আমানতগঞ্জ এলাকায় এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় থানারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তার শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী। যাত্রা পথে থানারহাট টু সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মাইকওয়ালার বাড়ির সামনের সড়কে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিনের পথ রোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বাবার পায়ুপথে একটি টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে তার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং রোববার ভোরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
 ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গতকাল রোববার সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে টর্চলাইটটি বের করা হয়। বর্তমানে রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন