শাহজালাল বিমানবন্দরে নিত্য যাত্রী ভোগান্তি

ভোগান্তির অপর নাম হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই আসেন ঢাকার এই বিমানবন্দরে নামতেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারী ও পর্যকটকের কাছে দেশে ‘আয়না’ হিসেবে পরিচিত এই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অনিয়মই হয়ে গেছে নিয়ম। ভিভিআইপি এবং হোমরা চোমরা ছাড়া প্রায় সব শ্রেণির যাত্রীকে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
বিশেষ করে বিদেশে যারা শ্রম দিতে যান সেই প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। সাধারণ যাত্রীদের পদে পদে পড়তে হয় দুর্ভোগে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন দেশি বিদেশী যাত্রী হয়রানির ‘হাব’ এ পরিণত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অধিক সংখ্যক ফ্লাইট একই সময়ে হলে দুর্ভোগ হয় অনেক সময়।
যাত্রীদের লাগেজ পেতে সময় লাগতে পারে। এটা ছাড়া আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার। সবকিছুই মনিটর করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরে বিদেশ যাওয়া এবং বিদেশ থেকে এলেই যাত্রীদের গাড়ি চালকদের টানাটানি, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়, স্বল্পসময়ে অধিক ফ্লাইট ওঠানামা, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, যাত্রীদের স্ক্যান করার পরও কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে আলাদাভাবে তল্লাশি, লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা, পার্কিং বিড়ম্বনা, ট্রলি সঙ্কট, দালালের উৎপাত বেড়ে গেছে। এমনকি বিমানবন্দরে পৌঁছে ঠিকঠাক মত তথ্য না পাওয়া, বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দরেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতে হয় যাত্রীদের। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরের টয়লেটগুলো ও ভেতরের মেঝে প্রায় সময় নোংরা অবস্থায় দেখা যায়। এতে মশার উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলছে। যাত্রীদের এসব ভোগান্তির শেষ কবে হবে তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে ভোগান্তি শেষ করতে না পারলেও শিগগরই ট্রলি সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন পরিচালক। আর যাত্রী ভোগান্তি কমাতে শুরু হয়েছে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং।

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *