Breaking News
খালেদা জিয়ার অবস্থার হঠাৎ অবনতি, জরুরিভিত্তিতে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় জরুরিভিত্তিতে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান।


হাসপাতাল ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (সোমবার) বেগম জিয়ার অবস্থায় কিছুটা উন্নতির লক্ষণ দেখা দিলেও মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শ্বাসকষ্ট বেড়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে। মেডিকেল বোর্ড জরুরিভিত্তিতে তার চিকিৎসা পর্যালোচনা করছে এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


মায়ের গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমান দেশে ফেরার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে, সম্ভবত আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আইনি বাধা বা আপত্তি নেই। সরকারের এই সবুজ সংকেত এবং মায়ের সংকটাপন্ন অবস্থার কারণে তার দেশে ফেরার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।


বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি এবং তারেক রহমানের আকস্মিক দেশে ফেরার খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। দলীয় কার্যালয় ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। দেশজুড়ে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

ভাইরাল হওয়ার নেশায় ভয়াবহ পরিণতি: আগুন নিয়ে ভিডিও বানাতে গিয়ে দগ্ধ আল-আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ১ ডিসেম্বর ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার নেশায় ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিন। আগুন নিয়ে ভিডিও ধারণ করার সময় তিনি গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তাকে রাজধানীর  জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।


স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে এবং ভিডিওতে ‘থ্রিল’ আনতে আল-আমিন আগুন নিয়ে একটি ঝুঁকিপূর্ণ রিল বা ভিডিও বানাচ্ছিলেন। ভিডিও ধারণের একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত সেই আগুন তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন।

 এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আল-আমিনের শরীরের উল্লেখযোগ্য অংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। একইসঙ্গে, ভিউ বা লাইকের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন বিপদজনক ভিডিও তৈরি থেকে বিরত থাকার জন্য অন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

সাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত: সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ১ ডিসেম্বর ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।


গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

সিসিইউতে খালেদা জিয়া: শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি, মাঝেমধ্যে কথা বলছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ১ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। টানা চার দিন ধরে সিসিইউতে থাকার পর রোববার সন্ধ্যা থেকে তার স্বাস্থ্যের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।


রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি তা খেতে পারছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান অবস্থান করছেন। শাশুড়ির সঙ্গে তিনি মাঝেমধ্যে কথা বলছেন এবং খালেদা জিয়াও তাতে সাড়া দিচ্ছেন।


শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ঝুঁকি এড়াতে তাকে এখনই কেবিনে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে আরও কিছুদিন সিসিইউতেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। গত চার দিন ধরে তিনি সিসিইউতে ভর্তি আছেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার তদারকি করছেন।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সপ্তাহে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সিসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে বলে চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

বাঙালির অহংকার আর বীরত্বের স্মারক: শুরু হলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ১ ডিসেম্বর ২০২৫

ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে আবারও এলো বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়—মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হলো এই অগ্নিঝরা ও আনন্দের মাস। ১৯৭১ সালের এই মাসেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, তা চূড়ান্ত রূপ পায় এই ডিসেম্বরে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বাঙালি জাতি লাভ করে লাল-সবুজের পতাকা।


যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, বিজয়ের এই মাসে জাতি সেই সব বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের প্রস্তুতি চলছে। বিজয়ের এই মাসে শোক আর শক্তির মিশেলে নতুন করে দেশ গড়ার শপথ নেবে বাঙালি জাতি—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।