Breaking News
বিয়ে করলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ, কনে ছাত্রশক্তির নেত্রী জেদনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কনে জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতিতে সক্রিয় দুই সংগঠনের এই দুই নেতার বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও অনুসারীদের মধ্যে কৌতুহল ও আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে।


শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব রাজধানীর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক তাকওয়া মসজিদে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এসময় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য, আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।


ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে কনে জেদনীর বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কনে শ্যামলী সুলতানা জেদনীর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।


বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে নবদম্পতির বিয়ের ছবি পোস্ট করে সুখবরটি জানান এবং তাদের জন্য দোয়া কামনা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়লে শুভাকাঙ্ক্ষীরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি, স্থবির জনজীবন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ দ্রুত নিচে নামতে থাকায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে এ জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, এটিই আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে অনেক বেশি।


সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ, যা অব্যাহত থাকছে পরদিন সকাল পর্যন্ত। কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকালে জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমিকদের অতিরিক্ত শীতবস্ত্র গায়ে জড়িয়েও কাজ করতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে, নিম্নআয়ের মানুষেরা প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এবং মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।