‘ধাক্কা লাগায়’গরম তেলে শিশুর হাত ঝলসে দিলেন বাবুর্চি

ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে এক শিশুর হাত গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হোটেলের এক বাবুর্চির বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে যশোরের ভৈরব হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ওই শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত শিশুর নাম আইমান রাহাত। তার বয়স ১০ বছর। সে অভয়নগর চেঙ্গুটিয়া বাজারের জামাল মোল্লার ছেলে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেলের বাবুর্চি ইব্রাহিম বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম বিশ্বাস যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মা ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে এসে রাতে খাবার খেতে ভৈরব হোটেলে যান। খাওয়া শেষে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় হোটেলের সামনে বাবুর্চি ইব্রাহিমের সাথে শিশুটির অসাবধানতা-বসত ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু রাহাতের শরীরে গরম তেল ছুড়ে দেন বাবুর্চি ইব্রাহিম বিশ্বাস। গরম তেলে ঝলসে যায় শিশুটির বাম হাত। তাকে দ্রুত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাতে আইমান নামে এক শিশুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম হাত গরম তেলে ঝলসে গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, শিশুর হাতে গরম তেল ঢেলে নির্যাতনের ঘটনায় হোটেলের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকে আর নেই

ঢাকা : ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্দন ওপফে কেকে মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, কলকাতায় গানের অনুষ্ঠান ছিল কেকের। মঞ্চে গান গাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের প্রথম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে কেকের বয়স ছিল ৫৪ বছর। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো দেওয়া হয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের পর কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অনুরাগীরা তাকে ছবি তোলার অনুরোধ জানান। তখনই অসুস্থ বোধ করায় এ দিন ভক্তদের নিরাশ করেন তিনি। অসুস্থতা বাড়তেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনু্ষ্ঠানের আয়োজক তোচন ঘোষ কেকে-কে কলকাতায় নিয়ে আসেন। বুধবার তার আরও একটি শো করার কথা ছিল।

কেকের মৃত্যুর খবর ফেসবুকে প্রথম জানান অমিত কুমারের স্ত্রী রিমা গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে শোকের ছায়া নেমে আসে অনুরাগী মহলে। সুরের শহর কলকাতা শিল্পীর গানের শেষ সাক্ষী হয়ে রইল।

বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন কেকে । ৯০ এর দশক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার।

সরকারের চাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু

ভোক্তাদের জন্য সুষ্ঠু খাদ্য সরবরাহ চেইন বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং কতিপয় অসাধু বিক্রেতার কারসাজি রোধ করতে সরকার অবৈধ ধান-চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে।

অবৈধ ধান মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং চলমান ধান কাটার পূর্ণ মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই অভিযান শুরু হয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযানের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. মজিবুর রহমান বাসসকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বৈধ লাইসেন্সধারী চাল ব্যবসায়ী, রাইস মিলারদের কেউই চলমান ফসল কাটার মৌসুমে তাদেও জন্য নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত চাল বা ধান মজুদ করতে পারবেন না।

ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে এই কর্মকর্তা বলেন, কিছু ব্যবসায়ী ধান কাটার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ধান মজুদ করে যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং সম্পূর্ণ বেআইনি। যারা ফসল কাটার  মৌসুমে অবৈধভাবে চাল বা ধান মজুদ করার চেষ্টা করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এই সিদ্ধান্তের আওতায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনটি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অন্য পাঁচটি নিয়ে মোট আটটি টিম আজ থেকে অবৈধ খাদ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।একজন খাদ্য কর্মকর্তা জানান, সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বাবুবাজার পাইকারি চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের টিম। এসময় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তাদের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

চাল ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও তাদের গোডাউনের খাদ্য মজুদ যাচাই করেছে দলটি। দলটি দেখেছে যে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা বেশিরভাগ ট্রেডিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই অভিযান সারা বছরই চলবে উল্লেখ করে রহমান বলেন, ভোক্তাদের জন্য চাল ও ধানের সরবরাহ নির্বিঘœ রাখার লক্ষ্যে সরকার মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জাতীয় নিরাপত্তা  গোয়েন্দা (এনএসআই) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও সারাদেশে অভিযানে অংশ নেবেন।

এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে ডায়াল করে অবৈধ মজুদদারদের সম্পর্কে কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী শিগগিরইই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠকের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানম, অতিরিক্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পথ মওলানা ভাসানীর মানববন্ধন : সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমতের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না ইতিহাস তা বার বার প্রমান করেছে। সরকার পরিচালনায় ব্যার্থ সরকার আজ বিরোধী দলের উপর নির্যাতন চালাতে স্বক্ষম হলেও বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বিরোধী দলের উপর সরকারী দলের নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে” পথ মওলানা ভাসানী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

সংগঠনের সমন্বয়কারী ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিএল সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ফরওয়ার্ড পার্টির সদস্য সচিব মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাার্টির সাধারন সম্পাদক এ এ এম ফায়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, নারী নেত্রী এলিজা খাতুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

তিনি বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

যুদ্ধাপরাধ: নওগাঁর জামায়াত নেতা মন্টুসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১৪০ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রেজাউল করিম মন্টু ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মো. শহিদ মণ্ডল ও মো. নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি একেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ২৯ মে নওগাঁর এ মামলায় রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনের রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত তিনটি অভিযোগ

অভিযোগ-১: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-২: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এসময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-৩: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক পাঁচটা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত ইউরোপের
   নতুন এই সিদ্ধান্তকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ননা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। কিন্তু পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না।

রাশিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরণের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করেছে। রাশিয়ার থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানির বন্ধের বিষয়ে তারা রাজী নয়। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেছেন, এই সমঝোতার ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় উৎস বন্ধ হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার উপর এনিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবগুলো অংশ নিয়েছে।

মি. মিচেল বলেন, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে।

                                       হাঙ্গেরির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করছে গ্রিনপিস।

 

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা কয়েক ঘন্টা ধরে বৈঠক করেছেন। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করছিল। হাঙ্গেরি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে প্রস্তাব করেছিল। এজন্য একমাস আগে কমিশন তাদের সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি আইনও তৈরি করেছিল। কিন্তু হাঙ্গেরির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা আসে। এছাড়া স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিকের মতো যেসব দেশের সমুদ্রবন্দর নেই তারাও রাশিয়ার তেলের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আসতে সময় চেয়েছিল। অন্যদিকে বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তারাও কিছু সময় চেয়েছিল।

Source : BBC BANGLA

এক বছর আগের চেয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহতের ঘটনায় সপ্তাহান্তে মেমোরিয়াল ডে পালন এবং গ্রীষ্মের অনানুষ্ঠানিক সূচনার মধ্যে দেশটিতে ৭ দিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ গুণের বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য হিল পত্রিকার রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়।

জনস হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার শনিবার পর্যন্ত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। গত বছরের ২৮ মে এই সংক্রমণ সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৭টি।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, সংক্রমনের সংখ্যা আরো অনেক বেশী কারণ অনেকে বাড়িতেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করায় তারা রিপোর্টে আসেনি।

মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-১৯ মহামারির আরেকটি তরঙ্গের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চায় না। তারা আমেরিকান জনগণকে এ ব্যপারে সতর্ক করেছে।

মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমান করে তারা জনগনের সরকার নয় : মোস্তফা ভুইয়া

বর্তমান সরকার দেশের জনগন নয়, ব্যবসায়ী আর লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমান করে তারা জনগনের সরকার নয়। জনগনের সুবিধা-অসুবিধার কোন চিন্তাই তাদের মাথায় নাই।

সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ “গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ : খাদ্য পণ্যের দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও” মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যবসায়ীরা কথা রাখেন নাই”’, মৎস মন্ত্রী বলেন, “জনগন তিন বেলা গরুর মাংস খেতে পারে” তখন বুঝতে হবে সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীদের সাথে জনগনের কোন সম্পর্ক নাই। তারা শুধু মাত্র লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত। লুটেরাদের অবস্থান দেখে তারা জনগনের অবস্থা বিচার করছে।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কুপোকাত। সরকার পণ্যের দামের এই উর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কেননা সরকারের পরিচালিত সিন্ডিকেটই মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তাই সরকার এই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করতে না পারলেও নতুন করে গ্যাস আর বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগনের পকেট কাটার পায়তারা করছে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের ম্ল্যূবৃদ্ধি হলে বহুগুণিতক হারে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে। ফলে সাধারন মানুষের জীবনকে জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাজার অর্থনীতি অব্যাহত রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের আচরনেই প্রমানিত হয় এই সরকার দুর্নীতিবাজ, আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। জনগণের কাছে এরা দায়বদ্ধ নয়। দুর্নীতি, লুটপাট, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম, টাকা পাচার আর মেগা প্রজেক্ট দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাধারন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক  মহিউদ্দিন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহসভাপতি জীবন নাহার, আসমা মল্লিকা, যুগ্ম সম্পাদক মির্জা তাহমিনা রহমান প্রমুখ।

নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী

পোখারা (নেপাল): নেপালের সেনাবাহিনী সোমবার নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। বিমানটি ২২ আরোহী নিয়ে রোববার বিধ্বস্ত হয়।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল জানান, উদ্ধারকারী একটি দল বিমান যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সে জায়গাটি খুঁজে পেয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য অতিরিক্ত দল যাচ্ছে সেখানে।

তিনি টুইটারে যে ছবি শেয়ার করেছেন তাতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ছবিতে বিমানের রেজিস্ট্রিকৃত নম্বর ৯এন-এইটি ভেঙে যাওয়া পাখার অংশে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

এয়ারলাইন মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা জানান, নেপালি ক্যারিয়ার তারা এয়ারের বিমানটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিল। যাত্রীদের মধ্যে দুজন জার্মান, চারজন ভারতীয় এবং বাদ বাকিরা নেপালী।

এয়ারলাইন সূত্রে বলা হয়েছে, বিমানটি রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে জমসনের উদ্দেশ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় পোখারা শহর থেকে যাত্রা করে। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে এয়ার ট্রাফিকের সাথে বিমানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২শ’ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত জমসম হিমালয় আরোহীদের জন্য একটি জনপ্রিয় ট্রেকিং গন্তব্য। পোখারা থেকে বিমানে করে জমসম যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে।

দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬২ রেকর্ড করা হয়েছে।

ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে একিউআই ১৫৬ ও ১৫৫ স্কোর নিয়ে পরের দুটি স্থানে রয়েছে।

বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।