বন্যাকবলিতে এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী

সিলেটঃ হেলিকপ্টারযোগে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বন্যাকবলিতে এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ৯টা ৫৮ মিনিটে তিনি লালগালিচা দিয়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আওয়ামী লীগ ও বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র।

জানা গেছে, সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং দিকনির্দেশনা দেবেন। এরপর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। সফরসূচি অনুযায়ী দুপুর ১টায় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে তিনি রওনা দেবেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাত্রা শুরু করেন। টানা দুই ঘণ্টার সফরে তিনি কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের যেসব এলাকায় বন্যা উপদ্রুত হয়েছে, সেসব এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘসময় ‘লো ফ্লাই’ করেছেন। অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব নিচ দিয়ে যেতে যেতে হেলিকপ্টার থেকে এসব এলাকা দেখেছেন। এসব এলাকার মানুষ কতটা দুর্ভোগে আছেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো যেসব বাড়ি পানিবন্দি হয়ে আছে, সেসব তিনি অবলোকন করেছেন।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র থেকে জানানো হয়, দুটি হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। একটি হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, এডিসি ও বিটিভির ক্যামেরাম্যান যাওয়ার কথা রয়েছে।

আরেকটি হেলিকপ্টারে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন ২৫ জুনের জন্য তিন সেতুর টোল মওকুফ

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অতিথিদের যানবাহনসহ সাধারণ যানবাহনের যানজটবিহীন নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে আগামী ২৫ জুন মাওয়া রোডের বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল মওকুফ করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আজ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন (কেবল ২৫ জুনের জন্য) অভ্যাগত অতিথিদের যানবাহনসহ সাধারণ যানবাহনের যানজটবিহীন নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার স্বার্থে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের একই করিডোরে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল মওকুফ করা হলো।

ফ্রান্সের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ম্যাক্রোঁর জোট

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ম্যাক্রোঁ পার্লামেন্ট নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ভোটারদের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বলে বেশকিছু আসন হারিয়েছে। পেয়েছে ২৪৫টি আসন।

ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৮৯ আসন। বামপন্থী ও গ্রিনদের নিয়ে গঠিত বামপন্থী নেতা জ্যঁ-লুক মেলেশঁ এর নিউ ইকোল্যজিক্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল পপুলার ইউনিয়ন (এনইউপিইএস) জোট পেয়েছে ১৩১ আসন। অন্য বামপন্থী দলগুলো পেয়েছে ২২ আসন।

কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেনের নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল র‌্যালির আসন বেড়েছে। তারা পেয়েছে ৮৯টি আসন। ডানপন্থী রিপাবলিকানস (ইউডিআই) পেয়েছে ৬৪ আসন।ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মাত্র দুমাস আগে প্রেসিডেন্ট পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি এলিজাবেথ বর্নিকে প্রধানমন্ত্রী  হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। পার্লামেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্নি বলেন, আধুনিক ফ্রান্স কখনো এমন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দেখেনি। তিনি একে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমাদের দেশের ঝুঁকির বিষয়টিকে সামনে এনেছে। এসব ঝুঁকি আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মোকাবিলা করছি। কার্যকর সংখ্যাগরিষ্ঠতা গড়ে তুলতে আমরা কাল থেকে কাজ করব।

চট্টগ্রাম ডুবল ৯ ঘণ্টার বৃষ্টিতে

চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টিতে আবারও ডুবল নগর। শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৭ মিলিলিটার।

এরমধ্যে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টার বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১১২ দশমিক ৩ মিলিলিটার। রোববার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিল।

টানা বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়ার তিন ওয়ার্ডের প্রায় সব এলাকা, দেওয়ানবাজার, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুর, শুলকবহর, বিবিরহাট, পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর ও পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে গেছে এলাকাগুলো। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জমে থাকা পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এরমধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের ফলে আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেডের বিভিন্ন এলাকায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট দিয়ে গাড়ি চলছে এক কোমরের ওপরের পানি মাড়িয়ে। এছাড়া মুরাদপুর ও চকবাজারে সেই পুরোনো দৃশ্যই দেখা গেছে। কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

বৃষ্টির কারণে ড্রেনগুলোতে পানির স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে পানি।

এদিকে রোববার বিকালের পর বিভিন্ন অফিস ও গার্মেন্টস ছুটির হলে দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবীরা। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় হেঁটেই বাড়ির রাস্তা ধরেছেন অনেকে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সমুদ্রে কোনো সতর্ক সংকেত নেই।’

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবের কারণেই এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২১ জুন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমার সম্ভাবনা আছে। তবে পাহাড়ধসের সম্ভবাবনা আছে বলেও জানান মাজহারুল ইসলাম।

পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পূর্বাভাস কর্মকর্তা ওবায়েদুল্লাহ বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ১১২ দশমিক ৩ মিলিমিটার। রাতেও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার বিকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে হালকা ও মাঝারিতে ঠেকবে।’

আজ থেকে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান-মার্কেট বন্ধ

ঢাকা : আজ সোমবারম(২০ জুন) থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছ সরকার।

রোববার, (১৯ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে সিনেমা হল, বিড়ি-সিগারেটের দোকান, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকানসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বৈঠকে বসে আমরা সবাই একমত পোষণ করেছি, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমাদের আইনেও আছে। এর প্রতিপালন কাল থেকেই শুরু হবে।

বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা একটি দাবির কথা বলছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ জুলাই কোরবানি ঈদ। এ জন্য ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ প্রস্তাব সামারি (সারাংশ) আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

সূত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মঙ্গলবার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ সন্ধ্যায় বাসসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। তিনি সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিও পরিদর্শন করবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান ও সচিব মো: কামরুল হাসান আগামীকাল (সোমবার) সিলেট সফরে আসছেন। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় সব প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) মুখপাত্র মো: আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছেন, “দেশের চারটি প্রধান নদী অববাহিকার মধ্যে দুটিতে পানি এখন বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২০০৪ সালের বন্যার পর থেকে এটি হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।”

কর্তৃপক্ষ এর আগে বন্যা কবলিত লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বা অসহায় মানুষদের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনা সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলিকে পরবর্তীতে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব সিলেট অঞ্চলে সাহায্য প্রদানের জন্য ডাকা হয়েছে। কারণ এলাকাটি এখন সমুদ্রের মতো দেখা যাচ্ছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যা কবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২.২৫ কোটি টাকা, ৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করেছে।

বাংলাদেশের বন্যা ব্যবস্থাপনায় সহায়তার প্রস্তাব ভারতের

নয়াদিল্লী, ভারত রোববার বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ভোগান্তি প্রশমনে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রশমনে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর রোববার সন্ধ্যায় এখানে বলেন, ‘এই সুযোগে আমি জানাতে চাই, বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতার ক্ষেত্রে যে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট পন্থা থাকলে, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে পারি।’

রোববার সন্ধ্যায় এখানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি)-র বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখায় সহায়ক হতে পারলে ভারত খুবই সন্তষ্ট হবে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন নগরীর হায়দারাবাদ হাউজে অনুষ্ঠিত জেসিসি’র সপ্তম দফার বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের ব্যাপক বন্যার কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় আমাদের সহায়তা ও সংহতির কথা জানাতে চাই।’

বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রমের ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারত বিভিন্ন নতুন খাত- কৃত্রিম মুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্ট-আপ ও ফিনটেকের ব্যাপারে এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধন তৈরি করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছে।
অভিন্ন ৫৪টি নদী এবং এসবের সংরক্ষণের সমন্বিত কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরো করে তিনি বলেন, এইগুলো হচ্ছে প্রকৃত ক্ষেত্র যা নিয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একত্রে কাজ করা প্রয়োজন।

 

ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যনার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ণপূর্বক পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে।  বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দেশের সকল হাসপাতালও কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
কুরবানি পরবর্তী কুরবানিকৃত পশুর বর্জ্য পদার্থ অপসারণ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়, কুরবানিকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্ববর্তী জুমার খুৎবায় এ বিষয়ে মুসুল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল আউয়াল হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র  , পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় , স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও তরুণদের বিকাশে নতুন তিনটি প্রতিযোগিতা নিয়ে এলো হুয়াওয়ে

স্থানীয় স্টার্টআপ এবং তরুণদের আইসিটি দক্ষতার বিকাশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আজ (১৫ জুন) তিনটি নতুন প্রতিযোগিতা চালু করেছে। প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে: আইসিটি ইনকিউবেটর, অ্যাপ ডেভেলপার এবং টেক উইমেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এই তিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এ তিনটি প্রোগ্রামই নতুন স্টার্টআপের সূচনা এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরির ধারনা বাস্তবায়নে ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে, আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতাটি স্টার্টআপের ওপর আলোকপাত করবে। এ প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে বিভক্ত – আইডিয়া পর্যায় এবং সূচনা পর্যায় (আর্লি স্টেজ)। হুয়াওয়ে আয়োজিত আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইডিইএ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

আইসিটি ইনকিউবেশন প্রতিযোগিতার আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ, উভয় ক্ষেত্রে বিজয়ীরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি পাবেন। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহীরা বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ তিন লাখ ও এক লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরাও বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন; সাথে পাবেন ৮০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট।

অন্য দুটি প্রতিযোগিতার এককভাবে আয়োজন করছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একটি দলে সর্বোচ্চ দুই সদস্য থাকতে পারবে। র প্রতিযোগিতায় ৩.০ এর ওপরে সিজিপিএ সহ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রোগ্রামটিতে শুধু নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার প্রোগ্রামে নারী-পুরুষ উভয়ই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি; পাশাপশি, তারা বিশ্বব্যাপী সফল অ্যাপ ডেভেলপারদের সাথে দেখা করারও সুযোগ পাবেন এবং ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হুয়াওয়ে ক্লাউড রিসোর্স পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও এক লাখ টাকা প্রাইজমানি এবং তিন হাজার ও দুই হাজার মার্কিন ডলারের ক্লাউড রিসোর্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং-এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর, মূল বক্তব্য পেশ করেন ইসিই’র (চুয়েট) ডিন ও আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. এম. মশিউল হক। তারপরে অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয় এবং বক্তব্য রাখেন সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও ইলমুল হক সজীব, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আইডিইএ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল সমাজ, জ্ঞনাভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের একটা স্টার্টআপ কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। সেই বিষয়টাকে এগিয়ে দিতে এই প্রতিযোগিতা গুলোর মাধ্যমে চমৎকার একটা পার্টনারশিপ মডেল হুয়াওয়ে গড়ে তুলেছে। মোবাইল এ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য, আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য যে বিশেষ এই আয়োজন হুয়াওয়ে তৈরি করেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপরা আছেন, মেন্ট্রররা আছেন, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে নিজেই আছে, এবং সর্বপোরি আমি বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি।”

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “আইসিটি ইনকিউবেটর প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপ এবং আইডিয়া-স্টেজে থাকা স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করে প্রত্যেকের জন্য একটি কার্যকরী এবং টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে। এ উদ্যোগটি নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইইই, ইসিই ও সিএসই বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যমান দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ প্রোগ্রামটি দেশের নারীদের (যারা প্রযুক্তি-বিষয়ক খাতে কর্মরত আছেন কিংবা প্রযুক্তি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন) প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার ওপরও আলোকপাত করবে। এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে সবাই সুবিধা লাভ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”

বন্যাকবলিত এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপন

বন্যাকবলিত সিলেট সুনামগঞ্জ নেত্রকোণা ও উত্তরবঙ্গে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে।

এ লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মাস্তাফা জব্বারের নির্দেশে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শনিবার ১২টি ভিস্যাট যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। আজও নেত্রকোণা ও উত্তরবঙ্গে ভিস্যাট হাব স্থাপিত হবে।

সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরকেও আরও ২৩ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে। এর ফলে আরও ২৩ টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বন্যা কবলিত এলাকায় নিয়োজিত সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে সক্ষম, যার মাধ্যমে বন্যাকবলিত আরো এলাকায় জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা যাবে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সচল করার কাজেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ ব্যবহার করতে পারবে।

ভিস্যাট এর মাধ্যমে দুর্যোগকালীন নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসসিএল এরই মধ্যে একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে, যেটি মাঠ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় টেলিযোগাযোগ সেবা চালু রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরসমূহকে বানভাসি মানুষদের জন্য প্রত্যেকে তিনটি করে টোল ফ্রি নম্বর চালু করার নির্দেশে দিয়েছেন। নির্দেশনার আলোকে মোবাইল অপারেটরসমূহ টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে। টোল ফ্রি নাম্বারগুলো হচ্ছে: গ্রামীণফোন: ০১৭৬৯১৭৭২৬৬, ০১৭৬৯১৭৭২৬৭, ০১৭৬৯১৭৭২৬৮ রবি: ০১৮৫২৭৮৮০০০, ০১৮৫২৭৯৮৮০০, ০১৮৫২৮০৪৪৭৭ বাংলালিংক: ০১৯৮৭৭৮১১৪৪, ০১৯৯৩৭৮১১৪৪, ০১৯৯৫৭৮১১৪৪ এবং টেলিটক: ০১৫১৩৯১৮০৯৬, ০১৫১৩৯১৮০৯৭, ০১৫১৩৯১৮০৯৮।