ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৪ জন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৪২৫ পিস ইয়াবা, ১৮৫ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন ও ৫ কেজি ১৫২ গ্রাম ১২৫ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (২৪ জুলাই ২০২২) সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪২টি মামলা রুজু হয়েছে।

আলেম সমাজ চুপ থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফলভাবে দেশের জঙ্গিবাদ দমন করলেও এ বিষয়ে আলেম সমাজ চুপ থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ রোববার (২৪ জুলাই) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশকে এক সময় সিরিয়া বানানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াজ-মাহফিলে জঙ্গিবাদ নিয়ে কেন কথা বলা হয় না, সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রাখেন পুলিশ প্রধান।

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল : হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়ংকর দাবানল রোববার আরো ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দাবানলে পুড়ে গেছে আরো বাড়িঘর এবং হাজার হাজার একর এলাকা।

ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ইয়েসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের কাছে এ দাবানলের সূত্রপাত ঘটে। আগুন নেভাতে কাজ করছে দুই হাজারেরও বেশি অগ্নিনির্বাপককারী। এদের সহায়তায় রয়েছে ১৭টি হেলিকপ্টার।

দাবানল শুরুর মাত্র দুদিনের মধ্যে পুড়ে গেছে ১৫ হাজার ৬শ’ একর এলাকা। ইতোমধ্যে ১০টি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো কয়েকটি। আরো হাজার হাজার বাড়িঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তীব্র খরা পরিস্থিতির কারনে জ্বালানি আদ্রতার মাত্রা মারাত্মক রূপ নেয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশন এর এক কর্মকর্তা জানান, ছয় হাজারেরও বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর গেভিন নিউসম শনিবার মারিপোসা কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় দ্রত  দাবানল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড তাপমাত্রা ॥ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়

ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার হাজার হাজার একর বনে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, একদিন আগে এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। ইতোমধ্যেই তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে।  শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে ছড়িয়ে পড়া প্রধান ওকফায়ারের মতো চলমান তাপপ্রবাহ আরো একাধিক অঞ্চলে দাবানলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এই দাবানলে ইতোমধ্যে সংরক্ষিত দৈত্যাকার সিকোইয়াস (বিরল সুউচ্চ বৃক্ষ) হুমকির মুখে পড়েছে।

কর্মকর্তরা এই দাবানলকে ‘বিষ্ফোরক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, শুরুতে এটি ৬০০ একরে ছড়িয়ে পড়লেও ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে এখন ১১,৯০০ একরে (৪,৮০০ হেক্টর) বিস্তৃত হয়েছে। মারিপোসা কাউন্ট্রি ঘিরে এই দাবানলে ইতোমধ্যে ১০টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, ৫ টি ক্ষতিগ্রস্ত এবং আরো হাজার হাজার হুমকির মুখে পড়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার বন বিভাগ ও ফায়ার প্রোটেকশন কর্মকর্তা হেক্টর ভাসকুয়েজ বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত এ দাবানলের কারণে এলাকা থেকে ৬ হাজারের বেশী লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফায়ার বিভাগ বলেছে, দাবানল পরিস্থিতি এ সময় চরম পর্যায়ে ছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ব্যক্তি ও সম্পদের চরম ঝুঁকির নিরাপত্তা বিধানে শনিবার মারিপোসা কাউন্টিতে “জরুরি অবস্থা” ঘোষণা করেছেন।

পাঁচ শতাধিক দমকলকর্মী বিমানের সহায়তায় আগুন নেভাতে কাজ করছেন, কর্মকর্তারা বলেছেন আগুন নিয়ন্ত্রনে আসতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোন সংকট নেই : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,  নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোন সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং  তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোন শেষ নেই, তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে কখনো জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলেন। আসলে বিএনপি নেতারা কি চায়, তা তারা নিজেরাও জানে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন, সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কিভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিলো,আছে এবং থাকবে।

 বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এমন বক্তব্য শুনলে দেশের জনগণ হাসে। যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না, তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে, এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে বিএনপির এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমী জনগণ কিছুতেই মেনে নিবে না।

দেশবাসীকে নিজস্ব জলাধারে মাছ চাষের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য রফতানি পণ্য বাড়াতে যার যার জলাধার রয়েছে তাকে মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের মাছের কোন অভাব হবে না এবং নতুন রফতানি আইটেম যুক্ত করতেও সক্ষম হব। যার যার জলাধার আছে, তারা যেন সেই জলাধারকে মাছ চাষের আওতায় আনার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেন।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ২৩ জুলাই থেকে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
হাওর অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু হাওর না, বাওর, খাল, বিল, বিভিন্ন জলাধার এত জায়গা আমাদের। আমার তো মনে হয় যার যেখানে এই ধরনের জলাধার আছে তারা যদি এই মৎস্য উৎপাদন করার দিকে একটু নজর দেন শুধু মাছও না মাছের সাথে কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক সব কিছুই চাষ করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কাজেই সে গুলো করতে পারলে আমাদের নিজেদের কোন অভাব থাকবে না। রফতানি ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন পণ্য দিতে পারবো।’

তিনি সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং তরুণ প্রজন্মকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
কোভিড-১৯, এর পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাঞ্জা-এসবের ফলে বিশ^মন্দার পরিস্থিতি বিবেচনা না করেও যারা ঢালাও সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশকে অচিরেই শ্রীলঙ্কার কাতারে এনে দাঁড় করাতে চান তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে সেই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে তাদেরও তো একটু বলতে দিতে হবে। আর আমরা আমাদের কাজ করে যাই। দেশ এগিয়ে যাক এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

টেকনাফের ইউএনও’র ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ : হাইকোর্ট
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাংবাদিককে ইউএনও’র অকথ্য ভাষায় গালাগালি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্ট বলেছেন- একজন ‘রং হেডেড’ মানুষ শুধু এরকম গালিগালাজ করতে পারে। ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা মাস্তানের ভাষার চেয়েও খারাপ।
হাইকোর্ট বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ এমন হতে পারে না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউএনও’র বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষকে আদালত জানাতে বলেছেন বলে উল্লেখ করেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
সম্প্রতি দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করায় কক্সবাজারের এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ইউএনও কায়সার খসরু। এরকম একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
কুমিল্লায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩

কুমিল্লাঃ জেলার দেবীদ্বারে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৪ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুটুম্বপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার বনানীপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন ফরাজী (৫০), তার স্ত্রী জাহানারা আক্তার (৪৮) এবং শ্যালিকা নাজমা আক্তার (৪৫)।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রেমধন মজুমদার দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাহারপাড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি সড়কের পাশে গাছের সাঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটিও উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহত গিয়াস উদ্দিন গাড়িটি চালিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি ফেনীতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও শ্যালিকা।

গাজীপুরে ট্রেনের সঙ্গে শ্রমিকবাহী বাসের সংঘর্ষে নিহত ১

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাইজপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে শ্রমিকবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় বাসে থাকা এক পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ছেন আরো ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক।

আজ রোববার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর রেল স্টেশনের মাস্টার হারুন অর রশিদ।হারুন অর রশিদ জানান, ঢাকা থকে নেত্রকোনাগামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৭টা ৫মিনিটে শ্রীপুর থেকে ছেড়ে যায়।

ট্রেনটি কাওরাইদ ও সাতখামাইর স্টেশনের মাঝামাঝি মাইজপাড়া লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় শ্রমিকবাহী একটি বাসও একই সময় লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করছিল। এতে ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি ছিটকে উল্টে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাসটি করে শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি এলাকার জামান ফ্যাশনের শ্রমিকরা কাজে যাচ্ছিলেন।

গাজীপুর রেল পুলশি ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল্ল্যাহ্ জানান, এ ঘটনায় বাসের একজন যাত্রী নিহত ও অনকেই আহত হয়েছেন। আহতদরে স্থানীয় হাসপাতালসহ ময়মনসিংহ মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরচিয় জানা যায়নি।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আর নেই

গাইবান্ধাঃ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

শনিবার (২৩ জুলাই) ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ২টার (স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা) দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। শিক্ষাজীবনে ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৬১ সালে গাইবান্ধা কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সনদ লাভ করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন।

পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৮ সালে রাজনীতিতে আসেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল’ চালু করেছিলেন। সে সময় ফজলে রাব্বীর চাচা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। চাচার মাধ্যমে তিনি মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পরেন। এভাবেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন।

এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।

পরে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।