৪ মাস ধরে মৌসুমীকে বিরক্ত করছেন জায়েদ খান: ওমর সানী

ঢাকাঃ চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যকার চড়-পিস্তল ঘটনা নিয়ে ঢালিউডে বিরাজ করছে উত্তেজনা। স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ও তাকে বিরক্ত করায় গত শুক্রবার (১০ জুন) খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন নায়ক ওমর সানী। বিপরীতে জায়েদ পিস্তল বের করে তাকে গুলির হুমকি দেন।

যদিও ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি জানিয়েছেন, এমন কিছুই সেদিন ঘটেনি। শত্রুতা করেই এসব রটানো হচ্ছে। যার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘটনা সেই খল অভিনেতা ডিপজলও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানী। সেখানে তিনি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনেছেন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর এই অভিযোগপত্র দেন ওমর সানী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘জায়েদ খান দ্বারা আমার সংসার ভাঙা এবং আমাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি প্রসঙ্গে অভিযোগ।’

ওমর সানী তার অভিযোগে আরও বলেন, ‘আমি ওমর সানি অত্র সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওই বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে

অতএব আমি মনে করি এমন একজন পিস্তলধারী সন্ত্রাসী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না। উল্লেখিত বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা-পূর্বক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে প্রবৃদ্ধি

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের সংবাদের পর থেকেই যশোরের সর্বসস্তরের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। অল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াতই শুধু নয় এই সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে সঙ্গে এই জেলাতেও ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার। দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে প্রবৃদ্ধি। তাছাড়া পঁচনশীল দ্রব্য যেমন কাঁচা শাকসবজি, মৎস রেণুপোনা দ্রুত সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কি বিদেশেও পাঠানো সম্ভব হবে। ফুল চাষের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জন্যেও শুভবার্তা এই পদ্মসেতু উদ্বোধন।

দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার স্বপ্নের পদ্মাসেতু এখন আর যোজন-যোজন দূরে নয়। সকল জল্পনা-কল্পনা আর ষড়যন্ত্র চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে আগামী ২৫ জুন যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মধ্যদিয়ে খুলে যাচ্ছে স্বপ্নের দুয়ার। সময় যত ঘনিয়ে আসছে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ ততোই এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন পুরণের কাছাকাছি। এ সেতু কেবল উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেনা বরং উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাওয়ার হাত ছানি দিচ্ছে।

মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি এখন শতভাগ। এখন চলছে স্মরণীয় উদ্বোধনের প্রস্তুতি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বিশ্বব্যাংক নানা টালবাহানা করে অর্থ প্রদানে সরে দাঁড়ালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ শুরু হয় স্বপ্নের পদ্মাসেতুর।

ইতোমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে- ২৫ জুন এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে সারা দেশের মতো যশোরের মানুষও শুরু করেছে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনায় ক্ষণগণনা। এই জেলা থেকে এখন ঢাকা যেতে সড়ক পথে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। কখনো-কখনো ঘাটেই বসে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। আর পদ্মাসেতু দিয়ে সকালে ঢাকায় প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে পারবে এই স্বপ্নে বিভোর সকলে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫ মেরিনসহ বিমান বিধ্বস্ত

 যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বুধবার ৫ জন মেরিনসহ একটি মার্কিন সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
হতাহতের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে মেক্সিকান সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে গ্লামিসের কাছে নেমে আসা বিমানটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ বহন করছিল বলে ছড়িয়ে পড়ার খবর অস্বীকার করেছে সামরিক বাহিনী।
একজন মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, থ্রিডি এয়ারক্রাফট উইং-এর একটি বিমান গ্লামিসের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিমানটিতে ৫ জন মেরিন ছিল এবং আমরা সকল ক্রুদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত খবরের অপেক্ষা করছি।’
মুখপাত্র বলেন, ‘সামরিক এবং বেসামরিক প্রথম উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিমানটিতে পারমাণবিক উপাদান ছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এটি সঠিক নয়।’
মেরিন কর্পস এয়ার স্টেশন ক্যাম্প পেন্ডলটনে অবস্থিত বিমান ঘাঁটির এমভি-২২বি অসপ্রে এয়ারক্রাফট হিসেবে এটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অসপ্রে বিমানগুলো ‘উলম্ব টেকঅফ এবং অবতরণ’ করতে পারে। এটিতে হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণমান পাখা থাকায় সরাসরি উপরে ও নিচে ওঠানামা করতে পারে। আবার বিমানের মতো চলতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন

বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মত চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এমন সময়ে তার চতুর্থ বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন যখন বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একইসাথে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার গতিও মন্থর।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারনেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাত।

বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো এবারের বাজেটের প্রধানতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে কর বাবদ আয়  ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। যে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যেখানে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ডর্ প…..

বাংলাদেশ রেলওয়ে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের পুনর্বাসন কার্যক্রমে ঝুকিপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে ১৮টি ট্রেডে ৫৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রশিক্ষণ নেই, দক্ষ হই, আয় বাড়াই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) এর সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডর্ প প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছে।

গত ৭জুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআরএলপি প্রকল্প পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ। ল্যান্ড একুইজিশন ইনর্চাজ, কর্ণেল মোহাম্মদ শফিউল আজম।

ডর্ প এর চেয়ারম্যান মোঃ আজহার আলী তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পিবিআরএলপির প্রধান পুনর্বাসন কর্মকর্তা, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, রেলওয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মহব্বতজান চৌধুরী, ডর্ প এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান

গরু-ছাগল পালন, ওয়েল্ডিং মেশিন, ইলেট্রিক/ইলেক্ট্রনিক্স, মোবাইল সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ারিং, সোলার প্যানেল স্থাপন ও মেরামত, বেসিক কম্পিউটার, কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত, সেলাই (দর্জি বিজ্ঞান), নার্সারী ও গাছের কলম তৈরি, হাঁস-মুরগি পালন, শাক-সবজী চাষ, মাশরুম চাষ ও মার্কেটিং, বিউটি পার্লার, মোটরসাইকেল মেরামত, গাড়ি মেরামত, ড্রাইভিংসহ মোট ১৮ ট্রেডে ১৮ দিন করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই ট্রেড গুলোর প্রশিক্ষকদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিবিআরএলপি ফেইজ-১ এর টিমলিডার কৃষিবিদ ডাঃ মিঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বিশ্বকাপের ট্রফি এলো ঢাকায়

ঢাকাঃ অবশেষে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। আজ (বুধবার) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে পাকিস্তান থেকে ফিফার চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসেছে বিশ্ব ফুটবলের মহামূল্যবান ট্রফিটি।

বাণিজ্যিক ফ্লাইটের বদলে কোকাকোলার চার্টার্ড বিমানে নিয়ে আসা হয়েছে সোনায় মোড়ানো ট্রফিটি। এবারের বাংলাদেশ সফরে ৩৬ ঘণ্টা থাকবে বিশ্বকাপ ট্রফি।

বিমানে ট্রফির সঙ্গে এসেছেন ফিফার সাত কর্মকর্তা। তাদের একজন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু। আরও আছেন ফিফার অফিসিয়াল পার্টনার কোকাকোলার কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোকাকোলার কর্মকর্তারা ট্রফিটি গ্রহণ করেন।

আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নেওয়ার কথা রয়েছে এই ট্রফি।

এই ট্রফি ঘিরে বুধবার রাতে আয়োজন করা হয়েছে একটি বিশেষ নৈশভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। পরদিন সকালে হোটেল র‌্যাডিসনে একটি বিশেষ সেশন থাকবে ফুটবল অঙ্গনের জন্য। সেই সেশনের পর বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টে উন্মুক্ত করা হবে ট্রফি।

গতকাল পাকিস্তান ছিল ট্রফি। মূলত ৫১টি দেশে যাবে এ ট্রফি।  ঢাকা থেকে ট্রফিটির পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুর।

বাংলাদেশ কখনো বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলবে এটা অনেকটা স্বপ্ন। আর বিশ্বকাপ ট্রফি জয় তো আর বড় স্বপ্ন। তাই বিশ্বকাপের ট্রফির এমন সফরই বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি ও সান্ত্বনা। এর আগে ২০১৩ সালে ট্রফি এসেছিল ঢাকায়।

ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি কি মুসলিম বিশ্বে ভারতের স্বার্থ ঝুঁকিতে ফেলছে?

 

ইসলামের নবীকে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন নেতা এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্য নিয়ে সেদেশের মুসলমান এবং বিরোধীরা গত কয়েকদিন ধরে হৈচৈ করলেও সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি।

কিন্তু দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে।

এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে কুয়েতে দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।

সুন্নী ইসলামের অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার আল-শরীফ তাদের এক বিবৃতিতে নবীকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্যকে “সন্ত্রাসী আচরণের” সঙ্গে তুলনা করে বলেছে যে এমন আচরণ “পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরির উস্কানি”।

আল আজহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছু কট্টর লোকজনের ভোটের জন্য ইসলামের এমন অবমাননা উগ্রবাদের সমার্থক। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা এবং অবিশ্বাস জন্ম নেবে।”

ভারত নিয়ে এসব শক্ত বিবৃতি আরব বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও মূলধারার প্রায় সব মিডিয়াতে প্রকাশ পাচ্ছে।

সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ড রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ : মোস্তফা ভুইয়া  

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯জন ফায়ার ব্রিগেড সৈনিক ও ৪৫ জনের বেশি প্রাণহানি এবং দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, খিচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ আনতে সরকারী কর্মকর্তারা কোটি টাকা ব্যায় করে বিদেশে যায়। ফায়ার ফাইটারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়না কেন ? কোটি টাকার বালিশ কেনা হয়, কিন্তু পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট কেনা হয়না কেন ?

তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে ও হতাহতের ঘটনা রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রের অবহেলার কারণেই এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রায়শই প্রত্যক্ষ করতে হয়, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার হয় না। সাধারন নাগরিকের জীবন সুরক্ষায় বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উন্নয়নের তকমায় নাগরিকের জীবনকেই কেবল বলি দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির চরম দুর্ভাগ্য।

বুধবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত “সীতাকুন্ডের বিস্ফোরনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, নিহতদের পরিবার ও আহত-ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের দাবীতে” শোক ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। অপরদিকে স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুদ রেখে শ্রমিক, কর্মচারী ও সাধারণ জনগণের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলায় মেতেছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকপক্ষ এবং কর্তব্যে অবহেলায় দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসাথে এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও যুগোপযোগী করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক কর্মচারীদের বিনামূল্যে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে।

তিনি বলেন, নিমতলী ট্রাজেডির একযুগ পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস আধুনিক সরঞ্জামাদিতে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় তা কন্টেইনার ডিপোর অগ্নি দুর্ঘটনা আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। দ্রæততম সময়ে অগ্নি নির্বাপণে অক্ষম জাতিকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখানো আর ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একই কথা।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহ-সভাপতি জীবন নাহার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, প্রচার সম্পাদক মাহিনূর মাহি প্রমুখ।

বিএম ডিপো’র আরও একজনের মৃত্যু

সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বাসস’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

মাসুদ রানা (৩৪) বিএম কনটেইনার ডিপোর অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলার খলিলুর রহমানের পুত্র।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে যোগদানের অপেক্ষায় লাখ লাখ মানুষ

আগামী ২৫ জুন রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক দিন উদযাপনের জন্য লাখ লাখ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাজিরার বাসিন্দা মো. সুলতান হোসেন আজ বাসস’কে বলেন, “মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর এলাকার নারী, পুরুষ, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে যাবেন।”
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাওয়া সাহসী ও দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সুলতান আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।

তরুণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মো. মনিরুজ্জামান বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, সেতুটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় ছয় কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে, কারণ এটি এসব জেলাকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতুর উপরের স্তরে যানবাহন চলাচল ও নিচের স্তরে ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।”
মনিরুজ্জামান বলেন, স্বপ্নের এই সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দেবে, পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন সড়কপথে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসি, তখন প্রমত্তা পদ্মা নদী ফেরিতে করে পার হতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহৎ কাজের কারণে আমরা অন্তত ১৯টি জেলার মানুষ কোনো রকম বিপদ ও ঝামেলা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবো।”
মনিরুজ্জামান বলেন, লাখ লাখ মানুষ আগামী ২৫ জুনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ এটি স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের বহুল প্রত্যাশিত একটি দিন।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য সব কাজ ঠিকঠাক মতো চলছে।

সকল কাজ শতভাগ শেষ করতে নির্মাণ কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে আমরা বৈদ্যুতিক লাইন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ পরীক্ষা করে দেখছি ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকার আশাবাদী যে, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপি’তে ১.৫ থেকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে দেবে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটন এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অবদান রাখবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনা ঠিকাদার কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।