ঢাকাঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, বিপণিবিতান বন্ধের সময় রাত ৮টার পরিবর্তে ১০টা করেছে সরকার। তবে ১০ জুলাইয়ের পর আবার রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে দোকানপাট।
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২২ উপলক্ষে জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এর ১১৪(৪) ধারার ক্ষমতাবলে একই আইনের ১১৪(৩) ধারায় বর্ণিত দোকান বন্ধের সময় সাময়িক পরিবর্তন করে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা করা হলো। আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ার পর আজ প্রজ্ঞাপন জারি করল শ্রম মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত সোমবার (২০ জুন) থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রোববার (১৯ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
তবে জরুরি প্রয়োজনে রাত ৮টা পরেও খোলা যাখা যাবে কিছু প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠান হলো- ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমান বন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস, প্রধানত তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান, ঔষধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান, তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার জন্য নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান, খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস স্টেশন, নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান, যেকোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি, আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে। এছাড়াও ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার।
Leave a Reply