চট্টগ্রামঃ সময় যতো গড়াচ্ছে বিএম সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি যেন দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোববার (৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।
এখনও নিহত সবার পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।
সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তিনি বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে কারণ বের হরা হবে।
এদিকে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, ‘১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগুনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে বিস্ফোরণে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।
Leave a Reply