নজরুলের চেতনা আমাদেরকে ধারণ করতে হবে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সৃষ্টিশীল দুঃসাহসী বলে মন্তব্য করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, নজরুল নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন পরার্থে। স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনগণ ও সমাজের জন্য কাজ করেছেন। তার স্বপ্নের যায়গায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমান সমাজে সবার মাঝে দেখা যায় আত্মসাৎ প্রবণতা। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এখান থেকে বের করে আনতে হবে। আর কাজী নজরুলের চেতনা আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং ধারণ করতে হবে।

বুধবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে কবির সমাধিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহসভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, জাতীয় নারী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।

লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, আমাদের সংগ্রামে সাহসে কাজী নজরুল ইসলাম অনন্ত অনুপ্রেরণার উৎস।বাঙালী মুক্তির সংগ্রামে নজরুল সৃষ্টি আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। আমৃত্যু নজরুল নিপীড়িত শোষিত মানুষের পে কথা বলেছেন। অসাম্প্রদায়িকতার জয়গান গেয়েছেন প্রতিটি রচনায়। তাই নতুন প্রজন্মকে নজরুলের চিন্তা আদর্শকে ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া বলেন, কবি নজরুলকে ধারন করতে, লালন করতে হলে তাকে নিয়ে চর্চা করতে হবে। কবির ভাবনাকে ধারন করে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আর তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানব মনে সুন্দরের বোধন ঘটাতে হবে।

জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান বলেন, নজরুল সবসময় প্রকৃতি নিয়ে ভেবেছেন। তার লেখায় আমরা প্রকৃতির ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। প্রেম ও দ্রোহের কবি নজরুল। বাঙালির মনে প্রাণে নজরুলকে পৌঁছে দেয়ার মূল প্রয়াসে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। । এই বঙ্গ একদিন স্বাধীন হয়ে বাঙ্গালীর হবে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অসংখ্য কবিতা ও গানে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বুনেছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, নজরুলকে জানতে হবে, নজরুলের দেশপ্রেম বুকে ধারণ করতে হবে। নজরুলের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড, নজরুলের জীবন দর্শন, জীবন আদর্শ কতোটুকু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নজরুল রাজনৈতিক-সচেতন ছিলেন, কিন্তু ধর্মের রাজনীতিকরণ এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের মধ্যযুগীয় উম্মাদনায় সামিল হননি। তাঁর রাজনৈতিক চেতনার পুরোটাই ছিল মৌলবাদের বিরোধিতা; অসাম্প্রদায়িক সেক্যুলার ও সাম্যবাদী রাষ্ট্রের প্রতি ছিল তাঁর আজীবন পক্ষপাত।

পোশাক ও পরিবারকে গালি দেওয়ার কারণেই টেক্সাসের স্কুলে হত্যাকাণ্ড?

নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: টেক্সাসের স্কুলে হামলার আগে সাবেক এক সহপাঠীকে বন্দুক ও গোলাবারুদের ছবি পাঠিয়েছিল সন্দেহভাজন খুনি সালভাদর রামোস। ওই সহপাঠী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, নিজের পোশাক এবং পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য রামোসকে অন্যদের কটুক্তির শিকার হতে হয়েছিল। এক পর্যায়ে ক্লাসে তার উপস্থিতি কমে যায়। পরে স্কুল থেকেই ছিটকে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সহপাঠী জানান, তিনি রামোসের কিছুটা ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। রামোস মাঝেমধ্যেই তাকে একসঙ্গে ভিডিও গেম দেখার কথা বলতো।

মঙ্গলবারের টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলার কয়েকদিন আগে সাবেক সহপাঠীকে নিজের কাছে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ ভর্তি একটি ব্যাগের ছবি পাঠিয়েছিল সে।

ওই সহপাঠী বলেন, সে আমাকে এখানে সেখানে মেসেজ দিতো। চার দিন আগে তার নিজের ব্যবহৃত এআর-এর একটি ছবি পাঠায়। সঙ্গে ৫.৫৬ রাউন্ড ভর্তি একটি ব্যাকপ্যাক। আমার কাছে মনে হলো, তার কাছে এসব কেন? আর তার মনোভাব ছিল এমন যে, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

নিজের স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর রামোসের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন তার এই সাবেক সহপাঠী। কিন্তু রামোস মাঝেমধ্যেই তাকে ভিডিও গেম খেলার জন্য টেক্সট করতো।
সিএনএন জানিয়েছে, রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলার মাত্র তিন দিন আগে ইনস্টাগ্রামে দুইটি এআর১৫ রাইফেলের ছবি পোস্ট করেছিল সে। একটি স্টোরি হিসেবে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। তার একাধিক সাবেক সহপাঠী নিশ্চিত করেছে যে, অ্যাকাউন্টটি সন্দেহভাজন বন্দুকধারী সালভাদর রামোসেরই ছিল।

হাতিয়াতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো.মিরাজের। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে।

এ ঘটনায় মিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইউছুফ ও মাহবুবুর রহমান জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (২৫ মে) অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ।

জানা যায়, মিরাজ দ্রুত বিচার আইনে হওয়া একটি মামলার চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার ওই মামলার রায় দেন। রায়ে মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুন ওই ইউপিকে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

লিখিত অভিযোগে দুই প্রার্থী বর্ণনা করেছেন, ২০০৩ সালের ৫ জুন হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়াচরের মাঈনুদ্দিন বাজারে সশস্ত্র হামলা, বোমাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা দেওয়ার পর থেকে মিরাজ প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তিনি সাজার তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হরণী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. মিরাজ বলেন, তিনি মামলা ও সাজার বিষয়ে কিছুই জানতেননা। শুনছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২টি আপিল পেয়েছি। আজ বিকেলের মধ্যে উপজেলা অফিসে আমি লিখিত আদেশ দিয়ে দেব। অভিযোগ সত্যা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিচারের বিষয় এটা এভাবে বলা যাবেনা।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলার তথ্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই।

বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” এর সফল আয়োজন

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন এর উদ্যোগে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ৩ দিন ব্যাপী “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৪ মে ২০২২) তারিখে স্থানীয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স-এ টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান।

তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে “ইয়াং টাইগার্স” টিমকে হারিয়ে “লিসবন সিক্সার্স” “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২”- এর শিরোপা অর্জন করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শক ছাড়াও, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ, ছাত্র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ দূতাবাসের এই আয়োজন উপভোগ করেন।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দূতাবাস এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন করেছে। তিনি আরো বলেন, দেশ হতে সহস্র মাইল দূরে বিদেশের মাটিতে এইরকম এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রবাসীদের মাঝে আনন্দের উপলক্ষ্য বয়ে এনেছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৭ মে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ হতে টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেয়া হয় এবং দল আহ্বান করা হয় যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলে। ২০ টি দলের অংশগ্রহণে নক-আউট ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্যায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সান্তা আপোলোনিয়া মাঠে। এবং সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে। শুধুমাত্র লিসবন-ই নয়, পর্তুগালের নানা প্রান্ত হতে ক্রীড়াপ্রেমী বাংলাদেশীগণ এর টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করেন।

আমি বেঁচে আছি :হানিফ সংকেত

সকাল থেকেই গুজবে বাসছে সোশ্যাল মিডিয়া, জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেতের মৃত্যু হয়েছে। এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। তার অনুরাগী ও শুভাঙ্ক্ষীরা দুশ্চন্তিায় পড়ে যান এই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে।

তবে বিষয়টি যে গুজব, তার সত্যতা জানিয়েছেন হানিফ সংকেত নিজেই। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমি যদি মরেই যেতাম তাহলে আপনার সঙ্গে কথা বলছি কিভাবে ? আমি মরিনি। চেঁচে আসি।’

কথোপকথনের সময় হানিফ সংকেত নিজের সুস্থতার কথাও নিশ্চিত করেন। সেই সঙ্গে সবাইকে এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সূত্র: ঢাকা মেইল

সকালটাও রাঙালেন সাকিব

শেষ বিকেলে যেখানে থেমেছিলেন, সাকিব আল হাসানের শুরুটা করলেন সেখানেই। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথাকে ফিরিয়েছিলেন এবাদত হোসেন।

কিন্তু তাতে স্বস্তি মিলছিল না পুরোপুরি। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেই যে তখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তির।
সেটা অবশ্য বেশিক্ষণ রাখলেন না সাকিব। করুণারত্নেকে আউট করলেন দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনও পিছিয়ে আছে ১৯৫ রানে।

২ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে ১ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরত যান কাসুন রাজিথা। ১২ বলে ০ রান করে তিনি বোল্ড হন এবাদতের বলে।

এরপর বাংলাদেশকে দ্রুতই দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন সাকিব। ১৫৫ বলে ৮০ রান করা করুণারত্নেকে করা তার বল অফ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে স্টাম্পে আঘাত হানে। গতকাল বিকেলে কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে রেখে বাংলাদেশের জন্য দিনশেষ করেন তিনি।

রাজধানীতে ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৮৫

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৪০৪ পিস ইয়াবা, ১৯ কেজি ২৯০ গ্রাম গাঁজা, ৬৪ গ্রাম ৭৬ পুরিয়া হেরোইন ও ৪৬০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (২৩ মে ২০২২) সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫৯টি মামলা রুজু হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: ডব্লিউএইচও

ঢাকাঃ বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এতে আরও মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন কিছুর জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, যদিও রোগের এবারের প্রাদুর্ভাব খানিকটা অস্বাভাবিক। তারপরও বলা যায়, অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ যেমন কভিডের মতো এটি সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।

এটি ছড়াতে খুবই ঘনিষ্ঠ শারীরিক স্পর্শের প্রয়োজন হয়। সাধারণত আক্রান্ত একজনের চামড়ার সঙ্গে অন্যজনের চামড়ার সংস্পর্শ থেকে এ রোগ ছড়ায়।

এছাড়া এটা কোভিডের মতো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু বা উপসর্গহীন নয়। বরং মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীর খারাপ করবে এবং শরীরে ফোস্কার মতো গোটা দেখা দেবে। তাই কেউ এ রোগে আক্রান্ত কি-না, সেটা জানতে পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সরাসরি এই রোগের টিকা এখনও সহজলভ্য না হলেও গুটিবসন্তের টিকা দিয়ে এ ভাইরাস প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ দুই ভাইরাসের মধ্যে মিল রয়েছে।

এমনকী মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য সবার টিকা নেওয়াও প্রয়োজন নেই বলেও মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের।

টিকার বিষয়ে ডা. রোসামুন্ড লুইস বলেন, বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত বিলুপ্ত হয়েছে। ওই সময়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গুটিবসন্তের টিকা মাক্সিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

মাঙ্কিপক্সের টিকাও আছে। কিন্তু সেটা তুলনামূলক নতুন এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যদিও ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা টিকা আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছেন।

তবে সবার জন্য টিকার প্রয়োজন নেই বলে মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ফন কেরখোভের। তিনি বলেন, এ রোগ শুধু ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।

এর আগে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) এর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে ২১ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।

ইউকেএইচএসএ বলেছে যে, সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে প্রাথমিক ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাতে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বিশেষ করে এমন লোকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডা. হপকিন্স বলেন, ‘যিনি নিয়মিত যৌন সঙ্গী পরিবর্তন করছেন বা কারো যৌনসঙ্গীর শরীরে ফুসকুড়ি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।’

এরই মধ্যে ‘মাঙ্কিপক্স’ সংক্রমণ মোকাবিলায় ২১ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বিধি জারি করেছে বেলজিয়াম। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবে, তাদের তিন সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

দেশে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম জারি করা হলেও বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন বলেছে, তাদের দেশে মাঙ্কিপক্সের বৃহত্তর প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি কম।

‘মাঙ্কিপক্স’ মূলত গুটিবসন্ত বা চিকেনপক্স গোত্রেরই রোগ। তবে, এটি গুটিবসন্তের থেকে কম মারাত্মক, মৃত্যুর হার ৪ শতাংশেরও নিচে। বেশিরভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠে। এর আগে কখনও আফ্রিকার বাইরে মহামারি আকারে এই রোগ ছড়াতে দেখা যায়নি।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাইরাসে জনসাধারণের ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম।

তাইওয়ান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’ : চীন

বেইজিং নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালালে সে ক্ষেত্রে স্ব-শাসিত দ্বীপটি রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পরপরই চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় সোমবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া এ কথা জানায়।

স্টেট কাউন্সিলের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র “চীনকে সামলাতে ‘তাইওয়ান কার্ড’ ব্যবহার করছে, এবং এতে নিজেই পুড়ে যাবে।”

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি’র বক্তব্য নতুন ষড়যন্ত্রের বহির্প্রকাশ : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে বিএনপি নেতারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত হবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করেন সেতুমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিরোধী নতুন ষড়যন্ত্রের বর্হিপ্রকাশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাবো আপনারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পথ পরিহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থা রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত হবে। অন্যথায় আপনাদেরকে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশের উন্নয়ন-অভিযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন গণমাধ্যমে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। এমনকী টেলিভিশনে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি সরাসরি  সম্প্রচার হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের মনগড়া ও নির্জলা মিথ্যাচার কোন রকম সম্পাদনা ছাড়াই গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, টকশো’সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচার প্রতিদিন সম্প্রারিত হচ্ছে। তারপরও তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আকাশ উন্মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নয়, বেসরকারি টেলিভিশনও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সম্প্রচারের সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশে এক সময় শুধুমাত্র সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ছিল ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম। শেখ হাসিনাই প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশে প্রায় অর্ধশত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন টিভি, আইপি টিভিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে গণমাধ্যমের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহ¯্রাধিক দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দলের সংবাদ কর্মসূচী বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার জন্য ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অথচ বিএনপি শাসনামলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার বিবেচনা করা হয়েছিল শ্রম আইন-এর আওতায়। তাদের সময় সাংবাদিকদের নূন্যতম সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করা হয়নি। তাদের সময় সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস’র ৩৪ জন সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে হাওয়া ভবনের নির্দেশে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছু নয়। বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্নীতি ও এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপি এখন দেউলিয়া ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি’র একমাত্র অস্ত্রই হলো মিথ্যাচার ও গুজব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট শাসনামলে (২০০১-২০০৬) বিবিসির সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালুসহ ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। ওই সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি মামলা এবং ৮শ’ হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকী বিট্রিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক লিওপোল্ড ব্রুনো সরেন্তিনো, জেইবা মালিকসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অনেক সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছিল। যার কারণে ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ বিএনপি’র শাসনামলে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, আমরা মির্জা ফখরুল ইসলামদের মর্মবেদনা বুঝি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ বিএনপি’র কাছে স্বাধীনতার অর্থ কী তা দেশবাসী জানে। বন্দুকের নলের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের জিম্মি করে রেডিও-টেলিভিশন ভাষণে নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি নেতাদের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা মানায় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে তারা বাক স্বাধীনতার কথা বলেন। স্বাধীনতা তাদেরই থাকে যারা দায়িত্বশীল নিয়মসিদ্ধ আচরণ করে ও স্বীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো এবং জাতীয় ঐক্যের মূল ভিত্তি ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বিকৃত করে বিএনপি সব সময় বাক-স্বাধীনতার অপব্যবহার করে আসছে।
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ, উৎকর্ষ সাধন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণে কী করেছে? বরং তারা গণমাধ্যমের বিকাশ রোধে এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। দেশবাসী যা ভুলে যায়নি।