শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ পরিণতি হবে ভয়াবহ: কাদের

 আওয়ামী  লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বিএনপি নেতাদের এমনশ্লোগান তাদের ঘাতক চরিত্রের পরিচয় আবারও স্পষ্ট করেছে।
আজরোববার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয়প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও তাদেরদোসররা সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে,তাদের বক্তব্য বিবৃতিতেকোন শালীনতা,সৌজন্যবোধও দেখাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও তারা নোংরা ভাষায় শ্লোগান দিচ্ছে, যা কোন ভাবেই মেনেনেয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় শ্লোগান ও গালিগালাজ করার পরিনতি হবে ভয়াবহ।
‘এ সরকারের অধীনে নাকি আরকোন নির্বাচন হবে না,নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন ব্যক্তি বাগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যকে মেনে নেয় না।কোন ষড়যন্ত্রকারীর রক্তচক্ষু ও ত্রাসের কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ওদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিলেন। একই সাথেসেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে সংবিধান ও আইনকে ভূলুন্ঠিত করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে অপরাজনীতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে আজকের বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যার ধারাবাহিকতায়কোন আইন বা নিয়ম নীতির কথা শুনলেই বিএনপি নেতাদের গায়ে জ্বালা ধরে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আর এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকারের অধীনে নয়।
শেখ হাসিনা সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সেভাবেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপি মহাসচিবের মামার বাড়ীর আবদার। বিএনপি একেক সময় একেক দাবি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারা কখনো বলে জাতীয় সরকার, কখনো তত্ত্বাবধায়ক, আবার কখনো বলে নিরপেক্ষ সরকার,দেখতেদেখতে এক যুগেরও বেশি সময় পার করলেন বিএনপি নেতারা কিন্তু এখনো জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে পারেনি আসলে বিএনপি কী চায়?
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটাতো মীমাংসিত একটি বিষয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। বিএনপির নেত্রীই তো বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নাকি নিরপেক্ষ নয়। তবে কি ক্ষমতা পাগল বিএনপি কোন শিশু আর পাগলের অধীনে নির্বাচন চায় কিনা সেটাই প্রশ্ন?
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না, বিএনপিনেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকতেদেওয়া না দেওয়ার বিএনপিকে ? ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহপাক, এবং ক্ষমতার উৎস এদেশের জনগণ। যতদিন জনগণ চাইবে ততদিন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকবে।

নেপালে ২২ যাত্রী নিয়ে প্লেন নিখোঁজ

নেপালে বেসরকারি বিমান সংস্থার একটি যাত্রীবাহী প্লেন নিখোঁজ হয়েছে। প্লেনটিতে ২২ জন আরোহী ছিল।
স্থানীয় সময় রোববার প্লেনটি নিখোঁজ হয়। কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

তারা এয়ারের ওই প্লেনটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। পরে স্থানীয় সময় রোববার সকালে প্লেনটি নিখোঁজ হয়।
৯এন-এইটি প্লেনটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিল।

তারা এয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে প্লেনটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সর্বশেষ যে স্থানে প্লেনটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেখানে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে বলে জমসম বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিমানটিতে ১৩ জন নেপালি নাগরিক, চারজন ভারতীয় নাগরিক, দুইজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিল বলে জানা গেছে।

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত

জেলার উজিরপুর উপজেলায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গাছের সঙ্গে একটি  বাসের ধাক্কা লেগে নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সানুহার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বাসস’কে জানান, যমুনা লাইনের একটি বাস ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সকালে বাসটি উজিরপুর উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নারী ও শিশুসহ ১০ যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। গুরুতর আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দু’টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গাড়িটি দুমড়েমুচরে গেছে। গাড়ির কিছু অংশ কেটে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক চিকিৎসক ডা. প্রণব রায় জানান, এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬ জনের চিকিৎসা চলছে। বাকিদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে নিত্য যাত্রী ভোগান্তি

ভোগান্তির অপর নাম হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই আসেন ঢাকার এই বিমানবন্দরে নামতেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারী ও পর্যকটকের কাছে দেশে ‘আয়না’ হিসেবে পরিচিত এই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অনিয়মই হয়ে গেছে নিয়ম। ভিভিআইপি এবং হোমরা চোমরা ছাড়া প্রায় সব শ্রেণির যাত্রীকে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
বিশেষ করে বিদেশে যারা শ্রম দিতে যান সেই প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। সাধারণ যাত্রীদের পদে পদে পড়তে হয় দুর্ভোগে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন দেশি বিদেশী যাত্রী হয়রানির ‘হাব’ এ পরিণত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অধিক সংখ্যক ফ্লাইট একই সময়ে হলে দুর্ভোগ হয় অনেক সময়।
যাত্রীদের লাগেজ পেতে সময় লাগতে পারে। এটা ছাড়া আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার। সবকিছুই মনিটর করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরে বিদেশ যাওয়া এবং বিদেশ থেকে এলেই যাত্রীদের গাড়ি চালকদের টানাটানি, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়, স্বল্পসময়ে অধিক ফ্লাইট ওঠানামা, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, যাত্রীদের স্ক্যান করার পরও কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে আলাদাভাবে তল্লাশি, লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা, পার্কিং বিড়ম্বনা, ট্রলি সঙ্কট, দালালের উৎপাত বেড়ে গেছে। এমনকি বিমানবন্দরে পৌঁছে ঠিকঠাক মত তথ্য না পাওয়া, বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দরেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতে হয় যাত্রীদের। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরের টয়লেটগুলো ও ভেতরের মেঝে প্রায় সময় নোংরা অবস্থায় দেখা যায়। এতে মশার উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলছে। যাত্রীদের এসব ভোগান্তির শেষ কবে হবে তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে ভোগান্তি শেষ করতে না পারলেও শিগগরই ট্রলি সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন পরিচালক। আর যাত্রী ভোগান্তি কমাতে শুরু হয়েছে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং।

  বেগমগঞ্জে কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ৬

নোয়াখালী প্রতিনিধি : খেলাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের সাথে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলো,কৃষি ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র নাহিদ, নাজিম, রিয়াদ ও মো. আশরাফুল। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো.আশরাফুল নামের অপর এক শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কৃষি ইনস্টিটিউট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জের কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের পশ্চিম পাশে (চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে) কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা কৃষি ইনস্টিটিউটের পূর্বদিকে অবস্থিত হেলিপ্যাড মাঠে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে গতকাল শনিবার বিকেলে দিকে খেলার মাঠে কথাকাটাকাটি হয়।  এর জের ধরে শনিবার রাতে কৃষি ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় যুবকদেরসোথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো জানায়, এটা অনেক পুরনো সমস্যা। কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা বাহিরে যায়,বাহিরের লোকজন ভিতরে আসে।  এরা পরস্পর বন্ধুবান্ধব,এক সাথে খেলাধুলা করে। কৃষি ইনস্টিটিউটের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা থাকায় গ্রামবাসী অবাধে আসা যাওয়া করে। একটি ঘটনা থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি ঘটনার জের ধরে গতকালের ঘটনা ঘটে। এরা এক সাথে খেলাধুলা করে। আবার তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি করে। ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তায় জনবল সংকট রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বরিশালে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

বরিশালঃ জেলার উজিরপুরে বেপরোয়া গতির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। রোববার (২৯ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- রমজান আলী (৪০), ঝালকা‌ঠি সদর উপজেলার নেয়ড়ী এলাকার ম‌নির হো‌সেন হাওলাদা‌রের ছে‌লে আরাফাত হো‌সেন হাওলাদার (৯), পি‌রোজপু‌রের মঠবা‌ড়িয়া উপ‌জেলার উত্তর ভেচ‌কি এলাকার কুদ্দুস আক‌নের ছে‌লে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), একই উপ‌জেলার ভেচ‌কি এলাকার রা‌কিব আক‌নের স্ত্রী আ‌নোয়ারা বেগম (২০), বরগুনার বেতাগী উপ‌জেলার কা‌জিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছে‌লে হা‌লিম মিয়া (৩১), ফ‌রিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছে‌লে সেন্টু মোল্লা (৫০) ও ব‌রিশা‌লের উ‌জিরপুর উপ‌জেলার মুন্ডুপাশা গ্রা‌মের মনোরঞ্জন শী‌লের ছে‌লে মাধব শীল (৪৫)।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে শনিবার রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস। উজিরপুরের সানুহার এলাকা অতিক্রমকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে বাসের ভেতর থেকে আট যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। আহত ১৮-২০ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি আলী আর্শাদ আরও বলেন, সকাল সোয়া ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের পাশের ডোবা থেকে আরও এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আরেক বাসযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভার্জিনিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘স্বেচ্ছাসেবক সেবা’ সম্মাননা পেলেন ১২ বাংলাদেশি

নোমান ইবনে সাবিত – বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের উদীয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘স্বেচ্ছাসেবক সেবা’ সম্মাননা পেলেন ১২ জন বাংলাদেশি। সাম্প্রতি ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সামাজিক সংগঠন উদীয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রেসিডেন্ট’স ভলান্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রেটার ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মীদের এবং জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমে অবদান রক্ষাকারী ব্যক্তিত্বদের তাদের অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানিত করা। উদীয়নের পক্ষ থেকে এটি ছিল একটি মহতী উদ্যোগ। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগতম জানিয়ে সবাইকে উদীয়নের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এন্থনি পিউস গোমেজ। এরপর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মূলধারার নেতৃবৃন্দকে মঞ্চে আহবান জানান অনিকা রহমান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির চেয়ার জেফ্রি ম্যাকে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি স্কুল বোর্ডের ভাইস-চেয়ার রচনা সিজমোর হেইজার এবং ডেমোক্রেটিক এশিয়ান আমেরিকানস অব ভার্জিনিয়ার সাবেক চেয়ার ডুয়িটা সোহারজোনো। অতঃপর উদীয়ন এবং উদীয়নের সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন উদীয়নের প্রতিষ্ঠাতা রেদোয়ান চৌধুরী।

উদীয়ন যাদের সম্মানিত করেছেন তারা হলেন-ভয়েস আমেরিকার ইকবাল বাহার চৌধুরী, মাসুমা খাতুন, সরকার কবিরুদ্দিন, রোকেয়া হায়দার এবং আনিস আহমেদ। এছাড়াও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রসংশনীয় অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়েছে ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সবার পরিচিত ওয়াহেদ হোসেইনী, শারমিন আহমদ, শামীম চৌধুরী, এন্থনি পিউস গোমেজ, রোজমেরী মিতু রিবেরু, শম্পা বণিক এবং অনিকা রহমানকে। আরও যারা সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু দেশের বা শহরের বাইরে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তারা হলেন-আবু সোলাইমান, ড. মরিয়ম পারভীন, সুভি মেহ্দী, প্রয়াত মুকিত হোসেইনের পরিবার, ড.আজিজুল কাদের, শফিক চৌধুরী, জহিরুল কাদের এবং মৈত্রেয়ী নায়েক।

যারা এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, তারা সবাই সমাজের সম্মানিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব-সমাজের জন্য, দেশের জন্য তাঁদের অবদান অপরিসীম এবং উদীয়নের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের এই সম্মাননা প্রদান ছিল উদীয়নের একটি ব্যতিক্রমধর্মী মহতী উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এমনি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য উদীয়নের পক্ষ থেকে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। সমাজের উন্নয়নের জন্য সবাইকে যার যার ক্ষেত্রে থেকে স্বীয় ভুমিকা পালন করার জন্য উদীয়নের পক্ষ থেকে উদাত্ত আহবান জানানো হয়। অতঃপর সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন এন্থনি পিউস গোমেজ এবং অনিকা রহমান।

মানুষ চাইলে এখন তিন বেলা মাংস থেতে পারে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতের বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।

এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে।

শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা ও ফেলো নির্বাচনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ উদ্যোগে ও ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা সংকটে প্রাণিসম্পদ খাতকে রক্ষার জন্য সরকার ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ে লাভবান হয়েছে। নয় হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হয়েছে। গত রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনার পাশাপাশি ত্রুটির কথা গণমাধ্যম সামনে নিয়ে এলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দীপক রঞ্জন রায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ ও সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও ফিশারিজ অ্যান্ড লাভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ডা. মো. গোলাম রব্বানীসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।

চট্টগ্রামে নানা অনিয়মে ৪ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী আজ আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে নগরীর চারটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন। এ চারটিতে মানসম্মত পরিবেশ ও বৈধ কাগজপত্রের অভাবসহ বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী আজ সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সময়ে ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। সকাল ১০ টায় চট্টেশ্বরী রোডস্থ চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড পরিদর্শনে যান। এ সময়ে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. রণি দেসহ সংশ্লিষ্টরা হাসপাতালের লাইসেন্সসহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। সিভিল সার্জন সকাল সাড়ে ১০ টায় ডবলমুরিং থানার ডিটি রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টারে যান।

এখানে রক্ত পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য পাশ করা কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। বাইরে থেকে প্যাথলজিস্ট দিয়ে রিপোর্ট করানো হয়। এক্স-রে রুম ও প্যাথলজি রুম মানসম্মত নয়। এক্স-রে রুমের দেয়াল ৫ ইঞ্চি পুরো, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ছাদে লিডশিট লাগানো নেই। লাইসেন্স বা ভ্যাট-ট্যাক্সের কাগজপত্র নেই। সকাল ১১ টায় দামপাড়া নিরুপণী প্যাথলজি ল্যাবরেটরি পরিদর্শনকালে তিনি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ লক্ষ্য করেন। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ও টিন সার্টিফিকেট দেখতে চাইলেও তারা দেখাতে পারেননি। সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে পাঁচলাইশ ট্রিটমেন্ট ভবনের ওপরে সিএসটিসি হসপিটালে যান। সেখানে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেও দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র কেউ দেখাতে পারেননি।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী এ চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে পাঁচলাইশস্থ ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল ও পলি হাসপাতাল লিমিটেডে গিয়ে ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়। এ দু’টিতে সেবার মূল্য প্রদর্শিত নেই। ট্রিটমেন্টে ২০২১ ও ২০২২ সালের অনলাইন আবেদন নেই। এ দুই প্রতিষ্ঠানকে সেবার মূল্য অভ্যর্থনা ও জরুরি বিভাগে প্রদর্শণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযানশেষে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বাসস’কে জানান, ‘পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও নিরুপণী প্যাথলজির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। পপুলারের এক্স-রে রুমের দেয়াল ৫ ইঞ্চি হওয়ায় রোগি, কর্মরত ও আগতরা রেডিয়েশনে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন যা তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন করবে। নিরুপণী’র পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এ দু’টি প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। অন্যগুলো কাগজপত্র নিয়ে এলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তিনি বাসস’কে জানান, ‘সিএসটিসি’তে দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগি আনা হয়। এখানে প্রসূতিদের অপারেশনে অস্বাভাবিক অংকের অর্থ আদায় করা হয়। হাসপাতালটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আগত ও চিকিৎসারত রোগিদের অন্যত্র চিকিৎসা সেবা নিতে পরামর্শ দিয়েছি।’

১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

রাজধানীর মতিঝিল থানা এলাকা থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো শ্রী মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় ও মোঃ নূর ইসলাম ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে ২০২২) সন্ধ্য ০৭:২০ টায় মতিঝিল থানার ৬৪/এ, উত্তর কমলাপুর, হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল(আবাসিক) এর সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম ডিএমপি নিউজকে জানান, কতিপয় মাদক কারবারি কুমিল্লা জেলা হতে গাঁজা নিয়ে ঢাকার মতিঝিল এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম মতিঝিল থানার ৬৪/এ, উত্তর কমলাপুর, হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল(আবাসিক) এর সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে সন্দেহভাজন দুইজনকে ঘিরে ফেলে। এসময় ‍দুইজনকে তল্লাশি করে শ্রী মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় এর নিকট থেকে একটি প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে ১০ কেজি গাঁজা এবং মোঃ নূর ইসলাম এর নিকট থেকে একটি প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে ০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা শহরসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রয় করতো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।