সিঙ্গাড়া তৈরির সহজ রেসিপি

সিঙ্গাড়া শব্দটি শুনলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রতিদিন শহরের অলিগলিতে অসংখ্য দোকানে দেখা মেলে এই সিঙ্গারার। কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা সিঙ্গাড়া যে অতোটা স্বাস্থ্যকর নয়, তা আমাদের সবারই জানা। তবু সিঙ্গারা বলে কথা! মন তো খেতে চাইতেই পারে। আর সেজন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু সিঙ্গাড়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ:
ময়দা- ২ কাপ, মৌরি- ১/২ চা চামচ, জিরা- ১/২ চা চামচ, মেথি- ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজ ২ টি, কাঁচামরিচ- ৪-৬ টি, আদা ছেঁচা- ২ চা চামচ, জিরা টালা এবং গুঁড়ো- ১ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়ো- ১ চা চামচ, কালজিরা- ১ চা চামচ, আলু- ১/২ কেজি, লবণ- প্রয়োজনমতো।

প্রণালি:
আলু খোসা ছাড়িয়ে মটরের মতো ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তিন টেবিল চামচ তেল গরম করে মৌরি, জিরা ও মেথি একসাথে মিশিয়ে তেলে ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা ও একটি তেজপাতা দিয়ে ভাজুন ও আলু দিন। একটু ভাজা হলে এক চা চামচ লবণ ও তিন টেবিল চামচ পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করুন। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে যেন আলু ভাজা ভাজা হয় এবং একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়। জিরা ও দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

ময়দায় ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান দিন। কালজিরা মেশান। আধা কাপ পানিতে ১ চা চামচ লবণ গুলে এই পানি আন্দাজমতো দিয়ে ময়দা মথে নিন। খামির শক্ত হবে। এক ঘণ্টা রেখে দিন। খামির ভালো করে মথে ১২ ভাগ করে নিন। একভাগ ডিম এর আকারে বেলে ছুরি দিয়ে কেটে দু’ভাগ করে নিন (লম্বায় না কেটে পাশে কাটলে ভালো)। একভাগ দু’হাতে ধরে কোণ বা পানের খিলির মত ভাঁজ করুন। ভিতরে ভর্তি করে ঠেসে আলুর পুর দিন। খোলামুখে পানি লাগিয়ে ভালোভাবে এঁটে দিন প্যকেটের মতো। নীচের সুচালো অংশ একটু মুড়ে দিন। চওড়া মোড়ানো দিক উপরে দিয়ে সিঙ্গাড়া একটি থালায় সাজিয়ে রাখুন। এভাবে সব সিঙ্গাড়া তৈরি করে নিন।

কড়াইয়ে দেড় কাপ তেল মৃদু আঁচে অনেকটা সময় গরম করে নিন। আচ বেশি হলে সিঙ্গাড়া চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। অর্ধেক সিঙ্গাড়া একবারে তেলে ছাড়ুন। মৃদু আঁচে ১৫-২০ মিনিট ভাজুন। হালকা বাদামি ও মচমচে হলে নামিয়ে নিন। জিরা, তেঁতুলের চাটনি, মেয়েনেজ বা টমেটো সসের সাথে গরম সিঙ্গাড়া পরিবেশন করুন।

ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের যে বিষয়গুলো খেয়াল করে

পথ চলতে দেখা হয় কতজনের সঙ্গেই। কিছু দেখা থাকে বিশেষ। একটি ছেলে যখন একটি মেয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যায় তখন দুজনের মধ্যেই কাজ করে চাপা দুশ্চিন্তা। কিভাবে সাজলে ভালো লাগবে, কোন পোশাকে মানাবে সেসব বিষয় তো রয়েছেই। এর বাইরেও থেকে যায় আরো কিছু বিষয়। এমনই সাতটি বিষয়-

হাসি
কখনো কখনো কথার চেয়েও হাসি বেশি কার্যকর। এক্ষেত্রে মেয়েটির ঠোঁটের কোণে এক টুকরো উষ্ণ হাসি দেখলে বুঝতে পারবেন সে কথা বলতে ইচ্ছুক। সে মুখ চেপে হাসছে তার মানে হলো সে আপনাদের মধ্যকার কথপোকথন উপভোগ করছে। তাই প্রথম দেখায় একজন ছেলে আপনার হাসির দিকেই নজরে দেবেন।

আত্মবিশ্বাস
একজন নারীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার আত্মবিশ্বাস। একজন নারী যদি আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী হন, তবে তার এই বৈশিষ্ট্য পুরুষের নজর কাড়বেই।

সেন্স অব স্টাইল
আপনি ছয় ইঞ্চি হিল পরুন, গাঢ় মেকআপ করুন কিংবা হালকা কাজল চোখে একদমই সাদামাটা থাকুন- আপনার নিজস্ব স্টাইল দেখেই কিন্তু একজন ছেলে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পায়। তারা হয়তো পরবর্তীতে মনেও রাখতে পারবেন না আপনি ঠিক কোন কোন ব্রান্ডের পোশাক-অনুষঙ্গ পরেছিলেন। কিন্তু প্রথম দেখায় আপনাকে দেখতে কেমন লাগছিল তারা এটি অবশ্যই মনে রাখবেন।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য
ছেলেরা প্রকৃতিগত ভাবে এভাবেই তৈরি যে প্রথম দেখায় তারা একটি মেয়ের শারীরিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করবেনই। তাই একটি মেয়ে দেখতে কেমন সেটিও একটি বড় বিষয়!

বন্ধু
মেয়েটির বন্ধু কারা, কাদের সঙ্গে সে বেশি আন্তরিক সেদিকেও নজর রাখেন ছেলেরা। আপনার বন্ধুদের মুখে আপনার গল্প শুনতে তিনি পছন্দ করবেন। কারণ সেখান থেকে আপনার সম্পর্কে অনেককিছুই জানা যাবে।

চোখ
চোখকে বলা হয় মনের আয়না। ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের চোখের দিকে অবশ্যই লক্ষ করেন। নিঃসন্দেহে মনের না বলা অনেক কথাই চোখে প্রকাশ পায়। মেয়েটির চোখের ভাষা পড়তে পারলে ছেলেটি তার লুকানো অনেককিছু বুঝতে পারবেন!

ঘ্রাণ
অন্যকিছু মনে থাকুক বা না থাকুক, প্রথম দেখায় মেয়েটির গায়ের গন্ধ ছেলেরা সবসময়ই মনে রাখে। মেয়েটি হয়তো পাশে থাকবে না, কিন্তু অনেকবছর পরও একইরকম ঘ্রাণ নাকে এলে ছেলেটি কিন্তু সবার আগে ওই মেয়েটিকে খুঁজবে।

ভিন্ন স্বাদে চালতার আচার

চালতা এখন শহরেও সহজলভ্য। রাস্তাঘাটে কিনতে পাওয়া যায় চালতার আচার। কিন্তু তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। সুস্বাদু চালতার আচার তৈরি করতে পারেন ঘরেই। রইলো রেসিপি।

উপকরণ: বড় আকারের চালতা ২টি, চিনি ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় ৫০০ গ্রাম, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পাঁচফোড়ন গুঁড়া আধা চা-চামচ, মৌরি টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, সাদা ভিনেগার ১ কাপ ও বিট লবণ ১ চা-চামচ।

প্রণালি: চালতা টুকরা করে গরম পানিতে অল্প ভাব দিয়ে থেঁতলে নিতে হবে। তেল, গুড়, চিনি, লবণ, ভিনেগার একসঙ্গে চুলায় দিতে হবে। গুড় ও চিনি গলে গেলে চালতা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। পর্যায়ক্রমে বাকি উপকরণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। ঠান্ডা হলে বয়ামে ভরে রাখুন।

আপনার সুখের রহস্য কী?

সুখ আসলে কি? টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি থাকা মানেই কি সুখ? মোটেও না। যদি তেমনটা ভেবে থাকেন তবে বড্ড ভুল করছেন। টাকাই সব সুখ এনে দিতে পারে – এমন ভাবনার দিন শেষ।

সুখের জন্য আসলে যা যা দরকার তা সব সময় টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুখের জন্য যে পাঁচটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা আসলে টাকা দিয়ে অর্জন করা সম্ভব না।

অক্সফোর্ডের ইকোনমিকস এবং ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সোস্যাল রিসার্চ সাম্প্রতিক একটি জরিপের আয়োজন করে। সেখানে তারা ৮ হাজার ২৫০ জনকে একটি লিখিত প্রশ্ন দেয়। জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে ভালো থাকা মানে কী?

সেখানে আর্থিক অবস্থা, কাজের নিরাপত্তা, দৈনিক ঘুমের সময়, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে ৬০টি প্রশ্ন করা হয়।

এদের মধ্যে বেশিরভাগের উত্তরই ছিল ঘুম এবং যৌন সম্পর্কের বিষয়গুলোকেই তারা ভালো থাকার মূল উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এরপরেই এসেছে কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং সবচেয়ে কাছের কেউ বা প্রতিবেশীর সঙ্গে গল্প বা আলাপ করে সময় কাটানো।

অবাক হলেও সত্যিই যে কেউ আয় বা অর্থ উপার্জনকে ভালো থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেননি।

ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করার টিপস

ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নানা কারণেই ম্লান হতে পারে। তাই জন্মসূত্রে পাওয়া ফর্সা ত্বকও একটা সময় পর অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত যত্নের। রইলো তেমনই কিছু টিপস-

ত্বকের রং আরও উজ্জ্বল করার জন্য ত্বকে দই লাগিয়ে প্রায় বিশ মিনিট রেখে দিন তারপরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন লাগাবেন।

প্রথমে লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ সম পরিমাণে মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখুন প্রায় বিশ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সুন্দর হবে।

আধা টুকরা করা পাকা কলা নিন এরপর ভালোভাবে চটকে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা শসার রস মেশান। তারপর মুখে লাগিয়ে প্রায় আধাঘণ্টার মতো রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তারা এক চা-চামচ লাল মসুর এর ডাল গুড়া করে রাতভর দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন তারপর মুখে ও গলায় মাখিয়ে প্রায় বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

মেওয়া আর দুধ একসঙ্গে সুন্দর করে বেটে নিন। প্রতিদিন দুই মিনিট করে এই মিশ্রণ মুখে ও গায়ে মাখিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানিতে।

একটানা প্রায় ১৫ দিন এক চিমটে জাফরান ও কাঁচা দুধে মিশিয়ে মুখে লাগান প্রত্যেকদিন তারপর ফলাফল দেখুন।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মুগের ডাল গুড়ো করে সামান্য পানিতে ভিজিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে মুখ স্ক্রাব করুন কারণ ত্বকের উপরে মরে যাওয়া কোষের পরত জমে মুখের ত্বক অনেক কালো দেখায়।

তৈলাক্ত ত্বক হলে এক চা-চামচ কমলালেবুর শুকনো খোসা গুড়ো, এক চা-চামচ মেথি গুড়ো ও কমলালেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মুখে মাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

মধুর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন প্রায় পনেরো মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। মধু আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে এবং লেবু প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচিং করবে।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে চন্দন, মালাই আর সামান্য হলুদ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। তাতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

এসি যেভাবে আপনার শরীরের ক্ষতি করছে!

ঘরের ভেতরের পরিবেশ শীতল রাখতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালে দরকার না পড়লেও বছরের অন্যান্য সময় এসি ছাড়া চলা মুশকিল। বিশেষ করে অফিসে কিংবা গাড়িতে এসি ছাড়া এক মুহূর্তও কাটানো সম্ভব নয়। কিন্তু জানেন কি এই এসিই হতে পারে আপনার অনেকগুলো শারীরিক অসুস্থতার কারণ?

রুক্ষ ত্বক ও চুল
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় এবং তা রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। ফুলে খুশকি, স্ক্যাল্পে চুলকানিসহ চুলেরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হচ্ছে এসির কারণে ঘরের ভেতর একরকম তাপমাত্রা, বাইরে আরেকরকম। আর এর সম্পূর্ণ প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চুলে।

ডিহাইড্রেশন
অতিরিক্ত সময় এসির মধ্যে থাকলে তা অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্দি-কাশি
আপনার যদি ইতিমধ্যেই সর্দি-কাশি লেগে থাকে, তবে এসির কারণে তা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। এসির ঠান্ডা বাতাস আমাদের শরীরের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে সাধারণ অসুখগুলোকেও দীর্ঘ সময় ধরে ভালো হতে দেয় না।

অলস
শরীরের জন্য দরকার সতেজ বাতাস। শরীরে সঠিকভাবে বিপাকের জন্যও দরকার সতেজ আলো-বাতাস। কিন্তু এসির কৃত্রিম ঠান্ডা বাতাসে তা সম্ভব নয়। তাই যারা দীর্ঘ সময় এসির ভেতরে থাকেন তারা অনেকটাই অলস হয়ে পড়েন।

ড্রাই আই
অতিরিক্ত সময় এসির ভেতরে থাকার আরেকটি ফল হতে পারে ডাই আই বা চোখের শুষ্কতা। দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারণেও এটি হতে পারে।

মাথাব্যথা
যদি আপনি প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে সেজন্য এসিকে দায়ী করতে পারেন।

‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে জনগণও তাকে ক্ষমা করে দেবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করেছেন, আমরাও ক্ষমা করে দেব। কিন্তু জনগণ কি ক্ষমা করবে? জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। জনগণ এও বিশ্বাস করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে অংশ নেবে না। যারা এখন ক্ষমতায় আছেন গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। একটু ক্ষমা চান। এইদেশ সেইদেশ ঘুরতে হবে না। বাংলাদেশেই থাকতে পারবেন।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। অনুষ্ঠানে কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

গয়েশ্বর আরও বলেন, তারেক রহমানের জন্মদিন উদোপনে যতই বাধা দেয়া হচ্ছে আমাদের অনুভূতি আরও বেগবান হচ্ছে। প্রায় ২ যুগ ধরে তাকে নির্বাসিত করার জন্য তার জীবন ও চরিত্র কলুষিত করার চেষ্টটা করা হয়েছে। তবে সব চেষ্টা অপচেষ্টায় ধুলিস্যাৎ হয়েছে। কারণ যে গাছে ফল হয় সে গাছেই মানুষ ঢিল মারে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান কোথাও কোথাও সমালোচিত হয়েছেন। তবে নিজের কারণে নয়। তাই আমাদেরকে সংযত হতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জন্মদিনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তারেক রহমানকে অনুভব করছি। সাধারণ মানুষও তার জন্মদিন উদযাপন করছে। তিনি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে আসেননি। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন, তারপরও তার উপর মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রতিহিংসার যেন শেষ নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসারের সঞ্চালনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি আবদুল মালেক, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।

সমাবেশ মঞ্চে শেখ হাসিনা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার দুপুরে ২টা ৩৯ মিনিটে তিনি সমাবেশ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

তারেকের জন্মদিনে কেক কাটবেন খালেদা

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেক কেটে একমাত্র ছেলের জন্মদিন উদযাপন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা
শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও পৃথকভাবে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করবে বলে জানা গেছে।

রিকশাচালকের নৌকা প্রেমের গল্প

বাচ্চু মিয়া। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। রাজধানীর বনানী এলাকায় রিকশা চালান। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের সংসারে একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি তিনিই। রিকশা চালিয়েই সংসার চলে তার। বিগত তিন দিনের উপার্জনের দুই হাজার টাকা দিয়ে কাপড়-বাঁশ-রঙিন কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন বাচ্চু মিয়া।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে যখন বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসছেন, তখন বাচ্চু মিয়া মাথায় করে তার বানানো নৌকা নিয়ে একাই এসেছেন সমাবেশস্থলে।

আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা নৌকার লোক। পারিবারিকভাবে আমরা সবাই আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা-আর আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ আমার অন্তরে। আমরা দিন আনি দিন খাই, অভাবের সংসার তবুও আজ রিকশা চালানো বাদ দিয়ে এ সমাবেশে এসেছি।

তিনি বলেন, তিন দিন রিকশা চালিয়ে দুই হাজার টাকা উপার্জন হয়েছে সেই টাকা দিয়ে এ নৌকা বানিয়েছি। আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি বলেই পরিবারের খাওয়ার কথা না ভেবে সব টাকা দিয়েই এ নৌকা বানাতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতি অন্যদের মতো আমারও ভালোবাসা আছে সে কারণে আজ সব কাজ বাদ দিয়ে এ নাগরিক সমাবেশে এসেছি।

আলাপকালে বাচ্চু জানান, জেলা নরসিংদী হলেও বিগত ২৭ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। বনানী এলাকায় রিকশা চালান। পরিবারের ৬ সদস্যর মধ্যে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকা দিয়েই তার সংসার চলে।

অন্যদিকে মার্কা আছে, নৌকা, নৌকা স্লোগানে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ডস হেরিটেজ ডকুমেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টির বাদ্যে মুখরিত হয়ে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর হয়ে জাতীয় চার নেতার মাজার প্রাঙ্গণ সংলগ্ন পুরো এলাকা।