প্রশ্ন ফাঁস : ঢামেকের দুই নার্স তিন দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সিনিয়র দুই নার্স মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, ১৭ নভেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত বিশ্বাস তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার (২০ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।

১৬ নভেম্বর মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (উত্তর) মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের বিশেষ দল এ দুজনকে ফাঁসকৃত ১১ সেট প্রশ্নসহ রাজধানীর শাহবাগের স্মৃতি চিরন্তনের পূর্বপাশ থেকে গ্রেফতার করে।

সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহজাহানের (পিপিএম) তত্ত্বাবধানে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ নূর আলম পাটওয়ারীর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম দ্বারা এ অভিযানটি পরিচালিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং পাশাপাশি একাধিক নার্স নেতার নাম বলেছেন। গোয়েন্দা পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আগে ও পরে বিভিন্ন নার্স নেতা এবং পিএসসির কয়েকজন মাঝারি ও নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তারও মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখছেন। কললিস্ট পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের সব সদস্যদের গ্রেফতার করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

গ্রেফতারকৃত দুজনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শাখার নির্বাচিত ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও আরিফুল ইসলাম স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের (স্বানাপ আনিস গ্রুপ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদের একজন ঢামেক জরুরি বিভাগে ও অপরজন মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর ১০টি কেন্দ্রে মোট চার হাজার ছয়শ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি তিন হাজার ছয়শ ও মিডওয়াইফ এক হাজার) নিয়োগ পরীক্ষার বিপরীতে ১৬ হাজার নয়শ’ জন অংশগ্রহণ করেন।

শিউলি, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, কামিনী নামে চার সেটের প্রশ্নপত্র ছাপে পিএসসি। কিন্তু সব সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার আগে পাওয়া যায়।

একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শুরুর আগে ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাওয়া যায়। পরীক্ষার হলে গিয়ে তারা দেখেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পেয়ে অনিবার্য কারণে পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধ : মৌলভীবাজারের পাঁচ জনের রায় যেকোনো দিন

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের সামছুল হোসেন তরফদারসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে রায় যেকোন দিন ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

পাঁচ আসামির মধ্যে ইউনুছ আহমদ, ওজায়ের আহমদ চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য তিন আসামি সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, মো. নেছার আলী এবং মোবারক মিয়া পলাতক আছেন।

সোমবার ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ এবং আটকে রেখে নির্যাতনের পাঁচ অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর এই পাঁচ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত শেষে গত জানুয়ারিতে প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে।

এরই মধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সেদিন বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রাম থেকে ওজায়ের (৬০) এবং শহরের চৌমোহনা থেকে ইউনুছ আহমদকে (৭০) গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সামছুল হোসেন তরফদার একাত্তরে আল-বদর বাহিনীর এবং নেছার আলী রাজাকার বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। বাকি তিনজন রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হন।

পাঁচজনে একজনের বেশি নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার

পাঁচজনে একজনের বেশি নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নমুনায় চার হাজারের বেশি নারীকে রেখে গবেষণা করে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হয়রানির শিকার এ নারীদের অধিকাংশকেই অনলাইনে হেনস্থা করা হয়েছে। অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাদেরকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। এক-চতুর্থাংশ নারীরা শারীরিক কিংবা যৌনতা-সংক্রান্ত হুমকি পেয়েছেন।

জরিপে দেখা যায়, হয়রানির শিকার ৬০ শতাংশ নারী বর্ণবার্দী আচরণ, যৌন হয়রানি কিংবা সমকামিতার প্রস্তাব-হুমকি পেয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক অাজমিনা ধরদিয়া জানান, ‘নারীদের জন্য ইন্টারনেট ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক স্থান হতে পারে। নারীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এ জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে কী ধরনের বৈরি আচরণ করা হচ্ছে।’

পশ্চিমাবিশ্বের আটটি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এ গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে, অনলাইনে হয়রানির ফলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।

হয়রানির শিকার নারীদের ৪১ শতাংশ প্রতিদিনের কাজকর্মে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি চারজনে একজন নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বেশিরভাগ নারীই জানিয়েছেন, হয়রানির শিকার হওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করার ব্যাপারে আতঙ্কে আছেন তারা।

৭ মার্চ কেন জাতীয় দিবস নয় : হাইকোর্ট

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।

ঐতিহাসিক ওই দিনটিকে কেন জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে না ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে সেদিন বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে কেন তার ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, গণপূর্ত সচিব, সংস্কৃতি সচিবকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে আইনজীবী ড. বশীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চ ভাষণ দিয়েছিলেন, মঞ্চটি পুনর্নির্মাণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রুলে বলা হয়েছে একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে ও যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে যেস্থানে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল, সে স্থানে কেন মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করা হবে না।

একই সঙ্গে ৭ মার্চ তর্জনি উঁচিয়ে স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধকরণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ভাস্কর্য ওই মঞ্চে কেন করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী ১২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন এ রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা ও যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন।
আদালতের শুনানিতে বশির আহমেদ বলেন, ‘১৯৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন আদেশ দিয়েছেন। এ কারণে আমি এ রিট দায়ের করেছি’।

‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে স্থনে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে মঞ্চ নির্মাণ করতে হবে’। তখন আদালত বলেন, ‘বললে তো অনেক কথা চলে আসে। যে মঞ্চটায় বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন কিংবা যে জায়গায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করেছিল, বা আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পন করেছিলেন, যেখানে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল, সে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো যেন না থাকতে পারে সেজন্য সেখানে করা হল শিশুপার্ক।’

এ সময় আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘আগ্রার তাজমহল সংরক্ষণের বিষয়ে তদারকি করতে ছুটির দিনে দেশটির ফুলকোর্ট বসে আদেশ দিয়েছিলেন। আমাদের বিষয়েও আদেশ হতে পারে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্প নেয়া যেতে পারে।’

এরপর আদালত বলেন, ‘ভারতে তো অফিসিয়াল সম্বোধন আছে, ‘জয় হিন্দ’। আমাদের এখানে কোনো সম্বোধনই তো নাই। আমাদের এখানে ছিল ‘জয় বাংলা’। এখন ‘জয় বাংলা’ বললে মনে করে রাজনীতিবিদ। ওয়ান পার্টি স্লোগান।’

সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

নাইকো দুর্নীতি : খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১১ ডিসেম্বর

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল হাসান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।

পরের বছরের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

পরকীয়ার জেরে হত্যা : দেবর-ভাবীর যাবজ্জীবন

পরকীয়ার জেরে বাগেরহাটে বড় ভাই হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিহত বড় ভাইর স্ত্রীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক ভূঁইয়া ও সাইদুল ইসলাম।

জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাজারী ২০০৮ সালের ২৩ আক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মোয়াজ্জাম শেখের ছেলে এসকেন্দারকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এসকেন্দার শেখের ভাই মাহমুদ শেখ ও তার স্ত্রী পারভীন খাতুনের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোয়াজ্জাম শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামরা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন (২৯) ও অপর আসামি আসাদ দালুকদার (৩৫) যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

পরে ডেথ রেফারেন্স আসামিদের জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সোমবার উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।

অবসরপ্রাপ্ত এএসপির দুই বছরের কারাদণ্ড

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় পুলিশের সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের অবসরপ্রাপ্ত এএসপি আব্দুল খালেক ভূঁইয়াকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ- ১০ এর বিচারক জালাল উদ্দিন আহম্মদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার আসামি খালেক রাজধানীর খিলগাঁও থানার তিলপাপাড়া এলাকায় ষষ্ঠ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। তার ছেলের নামেও ১০ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন।

২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করে। তিনি হিসাব দাখিল না করায় ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক রফিকুজ্জামান একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর খালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ছয়জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে চারজন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

উত্তরায় ফায়কা বুটিকসের যাত্রা শুরু

দেশীয় পোশাকের সমাহারে রাজধানী উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে যাত্রা শুরু করলো ফায়কা ওম্যানস ক্লথিং বুটিকস। ঐতিহ্যবাহী মসলিন-জামদানির ওপর আধুনিক ডিজাইন ও শৈল্পিক প্রিন্টের শাড়ি, তরুণীদের সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি আর কাফতান পাওয়া যাচ্ছে এই বুটিকস হাউসে।

সম্প্রতি বুটিকস হাউসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ফায়কা বুটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়কা ইসলাম এ্যানি। এ সময় বিবিয়ানা ফ্যাশনসের স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার, অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম প্রোডিউসার পুনাম প্রিয়াম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়কা ইসলাম এ্যানি বলেন, ফায়কা বুটিকসের বেশিরভাগ পোশাকই তার একান্ত ভাবনা-চিন্তার প্রতিফলন। প্রতিটি পোশাকের ডিজাউন ও রঙের ব্যবহারে রয়েছে নতুনত্ব। একজন ফ্যাশন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে চেষ্টা করি সুন্দর কিছু সৃষ্টি করতে। যা মানুষকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে।’

স্বল্প সুদে এসএমই ঋণ দিতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) প্রতিষ্ঠানে কম সুদে ঋণ দিতে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রস্তাবিত এ তহবিলে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বাকি ৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট প্রকল্প অর্থের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশের যোগান দেবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ বহন করবে ঋণ গ্রহীতা।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে এ তহবিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৪ শতাংশ হারে সুদ নেবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা ঋণ পাবেন। এর মধ্যমেয়াদী ঋণের কার্যকাল হবে ৩ বছর এবং দীর্ঘমেয়াদী ৫ বছর।

এতে পুরুষ ঋণ গ্রহীতাদের বাজার ভিত্তিক সুদের হারে ঋণ দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তহবিলের ১৫ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণের হার হবে ১০ শতাংশ। মোট তহবিলের দুই-তৃতীয়াংশ কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প এবং অবশিষ্ট মাঝারি শিল্পের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরেও এ তহবিল থেকে ঋণ নেয়া যাবে।

​পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে রফতানির স্বীকৃতি দিল এইচএসবিসি

রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি)। শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান খাত ছিল পাট, চা এবং চামড়া। এখন পোশাক আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের রফতানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসলে রফতানি আয় বেড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার হয়। আর এখন তা বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টা করা হবে।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো বলেন, আমাদের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থেনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সব সময়ই নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। এ সকল ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে পেরে এইচএসবিসি গর্বিত।

অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক শিল্পে বছরের সেরা রফতানিকারকের (গ্রুপ এ) পুরস্কার দেয়া হয় স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেডকে। ২০০১ সালে প্রকল্প এবং ২০০২ সালে উৎপাদন শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ২৫টি ব্রান্ডের পণ্য বিশ্বের ৭৫টি দেশে রফতানি হয় বলে জানানো হয়। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের উপরে।

এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে ‘বি’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ ওভেন গার্মেন্টসটি বিশ্বের ৪০টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে।

‘সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অ্যাপারেল’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডকে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করা এ কোম্পানিটি ২১টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। প্রতিষ্ঠানটির রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

‘সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে’ বছরের সেরা রফতানিকারক পুরস্কার দেয়া হয়েছে- সীমার্ক (বিডি) লিমিটেডকে। ২০০২ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সী-ফুড রফতানি করে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- ক্লাসিকাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বাংলাদেশকে। নীলফামারিতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার কর্মী কাজ করে। বিশ্বের ৩৩টি দেশে হাতে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী রফতানি করে এ কোম্পানিটি বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।