আমিরকে নিয়ে দোটানায় ঢাকা

প্রথম দিন সিলেটের কাছে ৯ উইকেটে হার দেখে অতি বড় সমর্থকও ভড়কে গিয়েছিলেন। সে কি , এবার একদম শুরুতে এ কি হতচ্ছিরি অবস্থা ঢাকা ডায়নামাইটসের ? দলে তো তারকার অভাব নেই। গতবারের চেয়ে বরং বেশী। স্থানীয় ক্রিকেটার সংগ্রহও হয়েছে বেশ। সব মিলে সর্বাধিক তারার মেলা। কাগজে কলমে এক নম্বর দল।

সেই দল শুরুতে অনুজ্জ্বল ক্রিকেট খেলে বড় ব্যবধানে হারায় পরিণতি নিয়ে একটা সংশয়ের মেঘ এসে জমেছিল ভক্তদের মনে। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে সে মেঘ কেটে গেছে। মাঝে বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে যাওয়া ম্যাচটি ব্র্যাকেটবন্দী করলে টানা চার খেলায় জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এক কথায় ঢাকার জয়রথ সচল। চলছে উল্কার বেগে।

পাঁচ বিদেশী এভিন লুইস, কুমারা সাঙ্গাকারা, শহিদ আফ্রিদি, কাইরন পোলার্ড আর সুনিল নারিন। সাথে সাকিব, জহুরুল, মোসাদ্দেক, নাদিফ চৌধুরী ও আবু হায়দার রনি থাকছেন প্রায় নিয়মিত। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্যামেরন ডেলপোর্টকেও খেলানো হয়েছে দুই ম্যাচ। কিন্তু ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি এ প্রোটিয়া। কাজেই এখন ঢাকার পাঁচ বিদেশী মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে- এভিন লুইস, আফ্রিদি, সাঙ্গাকারা, কাইরন পোলার্ড আর সুনিল নারিন।

আর স্থানীয় তিন পেসার-মোহাম্মদ শহিদ, সাদ্দাম ও খালেদ আহমেদের যে কোন একজনকে ঘুরিয়ে বসিয়ে খেলানো হচ্ছে। সব মিলে টিম কম্বিনেশন হয়েছে যথার্থ । সামর্থের সেরা লাইনআপই খুঁজে পেয়েছেন কোচ খালেদ মাহমুদ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্সও ভালো।

ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস নিয়মিত ভালো করছেন। শুরুতে একদিকে রানের চাকা সচল রাখছেন। ব্যাটে ধারাবাহিকতাও বেশ। পাঁচ খেলায় দুই হাফ সেঞ্চুুরিতে তার সংগ্রহ ২০৪। আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কাইরন পোলার্ডও মিডল-লেট অর্ডারে সফল। পর পর দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন তিনি।

আফ্রিদী ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত (তিন খেলায় ৫৩ , সর্বোচ্চ ৩৭) ঝড় তুলতে না পারলেও বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন। একমাত্র বোলার হিসেবে তিন খেলায় অংশ নিয়ে দু’বার ৪ উইকেট করে পেয়েছেন এ পাকিস্তানী লেগস্পিনার। সাঙ্গাকারা এখন পর্যন্ত লম্বা ইনিংস খেলতে না পারলেও (তিন খেলায় ৮০ রান, সর্বোচ্চ ৩২) গড়পড়তা তার ব্যাট থেকে ২৫ থেকে ৩০ আসছে।

আলোচিত আলোড়িত সুনিল নারিনের (৪ খেলায় তিন বার ব্যাট করে ২৩ , সর্বোচ্চ ১৬) ব্যাটিংয়ের অবস্থা অনেকটা আফ্রিদির মতোই; ব্যাটে ঝড় তুলতে না পারলেও বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার (৪ খেলায় ৬ উইকেট)।

এর সাথে জহুরুল রান করছেন নিয়মিত। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট সেভাবে কথা না বললেও বোলার সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। আর বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি ( ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট) সাফল্যকে নিরন্তর সঙ্গী করে ফেলেছেন। ভাইটাল ব্রেক থ্রু দেয়ার পাশাপাশি প্রায় ম্যাচে সমীহ জাগানো বোলিং আর গড়পড়তা দুই তিন উইকেট করে পাচ্ছেন তিনি।

সব মিলে দারুণ এক দল ঢাকা। এ মুহুর্তে সর্বাধিক ম্যাচ জেতানো পারফরমারে ঠাসা। সেই দলে যুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরও। শনিবার রাতেই রাজধানীতে এসে পৌঁছৈছেন এ বাঁহাতি ফাস্টবোলার।

এমনিতেই দারুণ দল। শুধুই তারকায় ভরা না, ম্যাচ জেতানো পারফরমারেও ঠাসা । সে কারণে দুর্দমনীয় হয়ে উঠা। সেই দলে মোহাম্মদ আমিরের মত একজন ফাস্টবোলারের অন্তর্ভুক্তি, ঢাকার শক্তি যে আরো বাড়লো!

এই তো কয়েক মাস আগে ইংল্যান্ডের ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আমিরের এক আগুন ঝড়ানো স্পেলে বিরাট কোহলির ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন আপ পুরে ছাড়খাড় হয়েছিল। সেই আমির এখন ঢাকা ডায়নামাইটস শিবিরে।

আমির ও ঢাকা সাপোর্টাররা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ভাবছেন আজ দুপুরে কুমিল্লার সাথে ম্যাচেই হয়ত আমিরের বারুদমাখা বোলিংয়ের দেখা মিলবে। এমন এক ফাস্টবোলারকে ছাড়া কি আর মাঠে নামবে সাকিবের দল?

দর্শক, ভক্ত ও সমর্থকরা তাদের মতো করেই ভাবছেন। কিন্তু ভিতরের খবর অন্যরকম। ম্যাচের আগের দিন রাতেও ঠিক হয়নি আমির খেলবেন, কি খেলবেন না। নাহ, কোন ইনজুরি নেই। আবার ভ্রমণ ক্লান্তি, অবসাদও নেই। তাহলে সমস্যা কোথায় ? আমিরের খেলা নিয়ে সংশয় কিসের?

এ প্রশ্নের সত্যিকার জবাব দিতে পারেননি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও। রোববার রাতে জাগো নিউজের সাথে আলাপে ঢাকা থিংক ট্যাঙ্ক নিশ্চিত করে বলতে পারেননি , আমির খেলবেনই। কিন্তু কেন এ অনিশ্চয়তা? আমিরের মত বিশ্ব মানের ফাস্টবোলার খেলবেন, কি খেলবেন না; তা বলতে কেন দ্বিধা আর সংশয় ঢাকা কোচের? খুব জানতে ইচ্ছে করছে, তাইনা?

তাহলে শুনুন খালেদ মাহমুদের ব্যাখ্যা , ‘আমি আমার দলের শক্তির জায়গায় হাত দিতে গিয়ে দশবার ভাবছি। আমার মনে হয় এ মুহূর্তে আমার দলের যে শক্তি আছে, সেটা ব্যাটসম্যান কেন্দ্রীক বা ব্যাটিং নির্ভর। আমার বিদেশী কোটায় যে পাচঁজন খেলছে (লুইস, আফ্রিদি, সাঙ্গাকারা, পোলার্ড ও নারিন ) তারা সবাই ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারে। রেখেছেও।’

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘যেহেতু পাঁচজনের বেশী ফরেনার খেলানো যাবে না, তাই আমিরকে খেলাতে হলে ঐ পাঁচজনের একজনকে বাদ দিতেই হবে। আর তা দিতে গেলেই আমার দল থেকে একজন ব্যাটসম্যান কমাতে হয়। আমি আমার ব্যাটিং শক্তি কমিয়ে মাঠে নামবো কিনা, সেটাই ভাবছি। তাই বলতে পারছি না, আমির খেলবে কিনা। ওর খেলার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি।’

এদিকে প্রতিপক্ষ কুমিল্লাকে সমীহর চোখেই দেখছেন ঢাকা কোচ। তার মূল্যায়ন, কুমিল্লাও বেশ সমৃদ্ধ দল। শক্ত প্রতিপক্ষ। তাই তো কন্ঠে এমন সংলাপ সুজনের, ‘দুটিই ভালো দল । দুই দলের সামর্থ ও শক্তি যথেষ্ট। দুই দলেই বেশ ক’জন ম্যাচ উইনারও আছে । আমার মনে হয় খুব ভালো খেলা হবে। মাঠে যারা সময় মত জ্বলে উঠতে পারবে, তারাই জিতবে।’

কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা শুনে মনে হচ্ছে ঢাকা হয়ত আজ আমিরকে ছাড়াই মাঠে নামবে কুমিল্লার বিপক্ষে। কারণ ওপরে লুইস আর আফ্রিদিকে বাদ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আর পোলার্ড-নারিনও সার্ভিস দিচ্ছেন ভালো। বাদ দিতে হলে সাঙ্গাকারাকেই বাদ দিতে হয়। কিন্তু তার মেধা, মনন, প্রজ্ঞা আর অভিজ্ঞতার কথা ভাবলে আবার বাদ দেয়া কঠিন। সত্যিই মধুর সমস্যায় ঢাকা।

দেখা যাক, কোচ সুজন আর ক্যাপ্টেন সাকিব কিভাবে এ মধুর সমস্যার সমাধান করেন?

পিছিয়ে পড়েও ম্যানইউয়ের দুর্দান্ত জয়

চলতি মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল ইউনাইটেডের। তবে মাঝ পথে দলের মূল খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেন। অবশেষে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরলেন পগবা-ইব্রাহিমোভিচরা। এতেই ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মরিনহোর দল।

ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নিয়ে খেলতে থাকে। তবে উল্টো এক আক্রমণে ম্যাচের ১৪ মিনিটে পিছিয়ে পরে দলটি। ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডুয়াইট গেইলের গোলে লিড নেয় নিউক্যাসল।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান মার্শিয়াল। ডান দিক থেকে পল পগবার ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। আর বিরতিএ ঠিক আগে স্বদেশি মিডফিল্ডার অ্যাশলে ইয়ংয়ের ক্রসে হেডে দলকে ২-১ লিড এনে দেন ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিং।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় ম্যানইউ। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের হেডে বাড়ানো বল অনায়াসে জালে ঠেলে দেন ফরাসি মিডফিল্ডার পগবা। ৭০ মিনিটে স্পেনের হুয়ান মাতার পাস থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু।

এদিকে দীর্ঘদিনের চোট কাটিয়ে ফেরা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মার্শিয়ালের বদলি নামান কোচ। তবে বাকি সময়ে মাঠে ফেরাটাকে রাঙানোর মতো কিছু করতে পারেননি সুইডেনের এই ফরোয়ার্ড। এ জয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

দিকের অন্য ম্যাচে গাব্রিয়েল জেসুস ও কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে লেস্টার সিটিকে হারিয়েছে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। আর হ্যাজার্ডের জোড়া গোলে ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওনকো ৪-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নিষিদ্ধ পিকে

লা লিগায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানেই আছে ভ্যালেন্সিয়া। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে পরের রোববারের (২৭ নভেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলতে পারবেন না জেরার্ড পিকে। লিগানেসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বার্সেলোনা জয় পাওয়ার দিনই যে মৌসুমে তার পঞ্চম হলুদ কার্ডটি দেখে ফেলেছেন এই ডিফেন্ডার!

লিগানেসের বিপক্ষে ম্যাচের আধা ঘন্টা পেরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন পিকে। নর্দিন আম্রাব্যাটের সঙ্গে বল ট্যাকলের সময় এই ঝামেলা হয়েছে তার। আপিলটা এসেছিল বার্সার পক্ষ থেকেই। অথচ রেফারি উদিয়ানো ম্যালেনকো দৌঁড়ে এসে হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন পিকেকে।

বার্সা কোচ আরনেস্তো ভালভার্দে রেফারি ম্যালেনকোর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। ম্যাচশেষে তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি।

ভালভার্দে মনে করছেন, প্রতিপক্ষ দোষ করলেও ঘরের দর্শকদের চাপে পিকেকে কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। তিনি বলেন, ‘আমি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। কেননা আম্রাব্যাটই গায়ে ধাক্কা লাগিয়েছিল, চ্যালেঞ্জটা দিয়েছিল সে। তবে ঘরের দর্শকরা চাপ তৈরি করে (কার্ডের জন্য)। আমার মনে হয়, এটা এমন একটা ফাউল ছিল যেটা আমাদের পক্ষে যেতে পারতো।’

ইকার্দির জোড়া গোলে ইন্টার মিলানের জয়

ফর্মে থাকা মাওরো ইকার্দির জোড়া গোলে রোববার রাতে আটলান্টাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। এতে সিরিআ’র পয়েন্ট তালিকায় জুভেন্টাসকে পেছনে ফেলে দুই নাম্বারে উঠে এসেছে তারা।

চলতি বছরের জুনে ম্যানেজার লুসিয়ানো স্প্যালেটি আসার পর একটি ম্যাচও হারেনি ইন্টার মিলান। দিনের অপর ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস সাম্পদোরিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় সুবিধা হয়েছে তাদের। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে শীর্ষে থাকা নাপোলির থেকে এখন মাত্র ২ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক এন্ড ব্লুরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আটলান্টা শিবিরকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিল ইন্টার মিলান। তবে আক্রমণ শানালেও গোলের দেখা পায়নি তারা। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশুন্য ভাবেই।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে আন্তোনিও কেনদ্রেভপার কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান ইকার্দি। এর নয় মিনিট পর (৬০তম মিনিটে) দলকে আবারও আনন্দে ভাসান ইন্টার অধিনায়ক। এবার দানিলো ডি’এমব্রোসিওর ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করেন এই আর্জেন্টাইন। এটি চলতি মৌসুমের ১৩ ম্যাচে তার ১৩তম গোল।

ইকার্দি অবশ্য এই সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিতে পারতেন আরও। আটলান্টার গোলরক্ষক অ্যাত্রিত বেরিশা তারে বেশ কয়েকটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন। ঠেকিয়েছেন নিশ্চিত গোল হতে যাওয়া একটি হেডও।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে সিলেট

রংপুর রাইডার্স আর সিলেট সিক্সার্সের শনির দশা কাটছেই না। হারের বৃত্তেই বন্দী হয়ে রয়েছে দল দুটি। তাই দু’দলেরই সামনেই জয়ে ফেরার লক্ষ্য। এমন এক সমীকরণের ম্যাচে প্রথমেই টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিলেটের অধিনায়ক নাসির হোসেন।

সাত ম্যাচ খেলে তিন জয় ও তিন পরাজয়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে রয়েছে সিলেট। ঢাকা পর্বে একটি ম্যাচও এখনও জিততে পারেনি সিলেট। তাই আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প ভাবছে না নাসিরবাহিনী।

এদিকে শেষ ম্যাচে রংপুরের হয়ে মাঠে নেমেছিল ক্রিস গেইল- ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দু’জনেই ছিলেন ফ্লপ। রংপুরের লক্ষ্য এই, দুই ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠে দলকে পয়েন্ট টেবিলের তলানী থেকে টেনে তুলবে।

সিলেট সিক্সার্স একাদশ
নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান সোহান, শুভাগত হোম, আবুল হাসান রাজু, তাইজুল ইসলাম, বাবর আজম, লিয়াম প্লাঙ্কেট, দানুসকা গুনথিলাকা, আন্দ্রে ফ্লেচার ও টিম ব্রেসনান।

রংপুর রাইডার্স
মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ মিথুন, শাহরিয়ার নাফীস, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন, জিয়াউর রহমান, ক্রিস গেইল,ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, রবি বোপারা, থিসারা পেরারা, জহির খান।

শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চের পরও টেস্ট ড্র

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শেষ দিনে টেস্ট নিশ্চিত ড্র জেনেও যে ক’জন দর্শক এসেছিলেন খেলা দেখার জন্য, শেষ মুহূর্তের দারুণ এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি নিয়েই ঘরে ফিরতে পেরেছেন তারা। কারণ, নিষ্প্রাণ ম্যাচটিতে শেষ বেলায় যেভাবে ভারতীয় বোলাররা লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ওপর, চেপে বসেছিলেন- আর কিছুক্ষণ সময় পেলে তো ম্যাচটাই হয়তো জিতে যাচ্ছিলেন তারা। বিরাট কোহলিদের জন্য হতো সেটা বিরাট পাওয়া।

কিন্তু টেস্ট চলে তার আপন গতিতে। সময় শেষ হয়ে গেলে খেলাও শেষ। অবস্থায় যাই হোক না কেন, তার ওপর ভিত্তি করেই ফল নির্ধারণ। সুতরাং, সে হিসেবে নিস্প্রান ড্র দিয়েই শেষ হলো ম্যাচটি। কেউ জেতেনি, কেউ হারেওনি। শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চ ক্রিকেটকেই জয়ী করে দিয়েছে।

ইডেন গার্ডেনে সবুজ উইকেট তৈরি করেই বিপদে পড়েছিল ভারত। লঙ্কান পেসারদের গতির আগুনে পুড়তে হলো তাদের। প্রথম ইনিংসে তাই অলআউট হতে হয়েছে মাত্র ১৭২ রানে। যদিও শ্রীলঙ্কাও খুব বেশিদুর এগুতে পারেনি। ২৯৪ রানে অলআউট হয়েছিল সফরকারীরা। ১২২ রানের লিড নিতে সক্ষম হয় দিনেশ চান্ডিমালের দল।

জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে পুরোপুরি ভিন্ন চেহারায় ভারত। এটাই ছিল ভারতের আসল চেহারা। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার শেখর ধাওয়ান ৯৪ রান করে আউট হন। ৭৯ রান করেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। বিরাট কোহলি করেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। তিনি নট আউট থাকেন ১০৪ রানে।

৮ উইকেট হারিয়ে দলীয় ৩৫২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে দাঁড়িয়ে যান ২৩১ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করে জয় সম্ভব নয়। কারণ সময় ছিল খুব কম। নিশ্চিত ড্রয়ের ম্যাচ। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে উল্টো ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ভুবনেশ্বও কুমার আর মোহাম্মদ শামি যেন মুর্তিমান আতঙ্ক। একের পর এক উইকেট তুলে নিতে শুরু করেন তারা। ভুবনেশ্বর নেন ৪ উইকেট। শামি নেন ২টি। ১টি নেন উমেষ যাদব।

৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যখন দিন শেষ করে স্কোরবোর্ডে তাদের রান ৭৫। ভাগ্যিস দিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। আর কিছুক্ষণ থাকলে পরাজয়ই বরণ করতে হতো তাদের।

রাবির ‘অপহৃত’ ছাত্রীকে ঢাকায় উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সামনে থেকে অপহৃত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীকে ঢাকায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

তাদেরকে রাজশাহীতে আনা হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।

গতকাল শুক্রবার সকালে পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে তাপসী রাবেয়া হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। পরে তার সাবেক স্বামীসহ কয়েকজন তকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়।

ওইদিন সন্ধ্যায় নগরীর মতিহার থানায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই ছাত্রীর সাবেক স্বামীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে রাতে তার সাবেক স্বামীর বাবাকে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে জানান, উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় শাবি প্রেস ক্লাবের নিন্দা

রাজশাহীতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব’।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসান আদিব, এসএ টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি জিয়াউল গণি সেলিম এবং এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন আবু সাঈদের ওপর থেকে অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান শাবি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।

শনিবার শাহজালাল বিশবিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৯ নভেম্বর এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন এবং ১০ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘রাবি ও রুয়েটে ইয়াবা ব্যবসায় ৪৪ শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মচারী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ।

কিন্তু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কিংবা সত্যতা চ্যালেঞ্জ না করে সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়েরের ঘটনাই প্রমাণ করে মামলার বাদীরা নৈতিকভাবে কতটা দুর্বল।

মূলত সাংবাদিকদের হয়রানি এবং আইনের আশ্রয় নিয়ে সম্ভাব্য শাস্তি এড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশর স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও স্বাধীকার আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পদধারী দু’জন নেতার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিশাখার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও এসব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা না নেয়াটা আরও দুঃখজনক।

অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহার করা এবং নিকৃষ্ট ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে দেশকে মাদকমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

সাংবাদিককে মারধরকারী সেই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সাংবাদিক মারধর এবং পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটকের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন।

সাব্বিরকে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হওয়ায় এবং কাননকে সাংবাদিক মারধরের দায়ে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন-এর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত আর কোনো কাজ করবে না বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুজনের মধ্যে অন্যজনের বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাস ভাঙচুরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধরের শিকার হন ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি আরাফাত রহমান। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক মারধরের দায়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে বহিষ্কার করা হয়।

অন্যদিকে, ১৮ জুলাই রাজশাহীর মোহনপুরে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। ওই ঘটনায় তিনদিন পর ২১ জুলাই সাব্বির হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ঢাবিতে বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন

‘টয়লেট ডে ২০১৭-এ আমাদের অঙ্গীকার, পারফেক্ট হোক টয়লেট ব্যবহার’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালিত হলো বিশ্ব টয়লেট দিবস। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

প্রাত্যহিক জীবনে পরিচ্ছন্ন টয়লেটের ব্যবহার, সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কানের প্রয়োজনীয়তা এবং সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করে হারপুন লিকুইড টয়লেট ক্লিনার। এতে অংশগ্রহণকারীরা টয়লেট ব্যবহারে সচেতনতার জন্য ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, টিএসসি পরিচালক মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, কাজী এন্টারপ্রাইজের হেড অব সেলস সোহেল হাওলাদার এবং ব্রান্ড ম্যানেজার সাজফিনা সিরাজ প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান দিবসটির গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০০১ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে জাতিসংঘ এ দিবসটিকে ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ র্যালিটির মুখ্য উদ্দেশ্য হলো টয়লেট ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করে তোলা, টয়লেটের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের মধ্যদিয়ে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে মানুষ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে। একই সঙ্গে মানুষ সচেতন হয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। সভ্যসমাজে একজন মানুষের বাসার টয়লেটের অবস্থা দেখে খুব সহজেই তার ভদ্রতাজ্ঞান, সভ্যতাজ্ঞান যাচাই করা যায়।