কালের কণ্ঠ থেকে চৌধুরী আফতাবুল ইসলামের পদত্যাগ

দৈনিক কালের কণ্ঠ থেকে পদত্যাগ করেছেন চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম। পত্রিকাটির যুগ্ম-সম্পাদক পদ থেকে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি।

চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম পদত্যাগের পরদিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞান লেখক হিসেবে সুপরিচিত চৌধুরী আফতাব কালের কণ্ঠের যাত্রার শুরু থেকেই ছিলেন। তিনি এর আগে দৈনিক আজকের কাগজে প্রধান সহ-সম্পাদক (চিফ সাব-এডিটর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৩ দিন নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল : থানায় জিডি

অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক উৎপল দাস (২৯) ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।

ওই দিন থেকে উৎপল দাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পূর্বপশ্চিম কর্তৃপক্ষ। উৎপল দাস নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার থানাহাটি এলাকার চিত্ত দাসের ছেলে। তিনি রাজধানীর ফকিরাপুল এক নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে কাজ শেষে অফিস থেকে বের হন উৎপল দাস। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবার, সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবের কাছে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন তার স্বজন ও সহকর্মীরা।

উৎপল দাসের সন্ধান চেয়ে আজ মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং-১৬২৫। মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম রব্বানি জানান, সাংবাদিক উৎপল দাসের খোঁজে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তদন্ত করছি। বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ আগামী সপ্তাহে

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এটি বাঙালির সম্পদ, আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ ভাষণই স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল মুক্তিকামী জনতাকে। সেদিন এ ভাষণ নেতৃত্ব দিয়েছিল, কর্তৃত্ব করেছিল, শানিত করেছিল চেতনা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে এ ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার ছিল নিষিদ্ধ। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার হতো না। মাইকে বাজানোর অপরাধে অনেককেই নিগৃহীত হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নয়। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো একটি নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করাই হবে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সংগ্রামকে উড়িয়ে কোয়ার্টারে জাগো নিউজ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া কাপ ভলিবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম।

সোমবার ভলিবল স্টেডিয়ামে দৈনিক সাংগ্রামকে ২৫-৮ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ আটে স্থান করে নিয়েছে জাগো নিউজ।

 

খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জাগো নিউজ। একতরফা খেলায় একবারের জন্যও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সংগ্রাম। ফলে ফলাফল যা হওয়ার হয়ও তাই। মাত্র ১০ মিনিটেই শেষে হয়ে যায় ম্যাচটি।

 

জাগো নিউজের চিফ রিপোর্টার মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।

 

জাগো নিউজের পক্ষে মাঠে নামেন- মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, ফজলুল হক শাওন, সিরাজুজ্জামান, রানা মাসুদ, মামুন আব্দুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, মুরাদ হুসাইন, মেজবাউল হক এবং সাঈদ শিপন।

জঙ্গিবাদমুক্ত মানবিক ও মননশীল সমাজ গড়বে চলচ্চিত্র

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের আগামী দিনের চলচ্চিত্র জঙ্গিবাদমুক্ত মানবিক ও মননশীল সমাজ গড়তে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার রাজধানীর দারুস সালাম সড়কে শেখ রাসেল মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।

ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. মনজুরুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যসচিব ও ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মরতুজা আহমদ।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট গড়তে ভারতের পুনেতে বাংলাদেশের গবেষক দল পাঠানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বর্তমান ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান।

সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়াকে জাতির জন্য অনন্য গর্ব বলে অভিহিত করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, চলচ্চিত্র আমাদের স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়। রাজাকার-জঙ্গি-তেঁতুল হুজুরদের মোকাবিলায় চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি চর্চা শুধু সাহসী সঙ্গীই নয়, মানবিকতা বজায় রাখারও হাতিয়ার।

রেডিও টুডে চ্যাম্পিয়ন, জিটিভি রানার্স আপ

ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট- ২০১৭ এর ফাইনালে রেডিও টুডে চ্যাম্পিয়ন এবং জিটিভি রানার্স আপ হয়েছে। টুর্নামেন্টের সমাপনী দিন শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলায় রেডিও টুডে ২৫-১৯ ও ২৫-১৮ পয়েন্টে জিটিভিকে পরাজিত করে।

চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি ও ৩০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি এবং রানার্স আপ দল ট্রফি ও ২০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি এবং উভয়দলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত মেডেল লাভ করেন। টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রেডিও টুডের মোসকায়েত মাশরেক, টুর্নামেন্টের সেরা সেটাবার নির্বাচিত হয়েছেন রেডিও টুডের মাকসুদ-উন-নবী এবং টুর্নামেন্টের সেরা ডিফেন্ডার নির্বাচিত হয়েছেন জিটিভির মেহ্দী আজাদ মাসুম। ফেয়ার প্লে ট্রফি লাভ করেন বিডিনিউজ২৪ ডটকম। এ আসরে ২৪টি মিডিয়া হাউস অংশগ্রহণ করে।

ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উভয়দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক    অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব (১) আশিকুর রহমান মিকু ও উপ-মহাসচিব (২) আসাদুজ্জামান কোহিনুর এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।

ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বর্তমান আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম। ভলিবল টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক মল্লিক, ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য কাজী শহীদুল আলম ও সাহাবউদ্দিন সাহাব উপস্থিত ছিলেন।

টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়, সেরা সেটাবার ও সেরা ডিফেন্ডার নির্বাচনে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের কমিটিতে ছিলেন ফজলুল হক, মফিজুল ইসলাম, মেজবা উদ্দিন, বিশ্বজিত ও ইতিলতা। উল্লেখ্য, ফেয়ার প্লে ট্রফি ও টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়, সেরা সেটাবার, সেরা ডিফেন্ডার এর পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক  অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকুর সৌজন্যে।

বিশ্বকাপে যেমন হতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার গ্রুপ

বাছাই পর্বের লড়াই শেষ। স্বাগতিক রাশিয়াসহ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ৩২টি দেশ। আগামী ১ ডিসেম্বর হবে দলগুলোর গ্রুপ নির্ধারণের ড্র।

এদিকে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পটগুলোও নির্ধারণ হয়ে গেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ফিফা র‍্যাংকিং অনুযায়ী পটগুলোতে জায়গা পাচ্ছে কোয়ালিফাই করা দলগুলো। কোয়ালিফাই করা ৩২ দলের মধ্যে র‍্যাংকিংয়ের প্রথম ৭ দল এবং স্বাগতিক রাশিয়া আছে পট-১ এ। র‍্যাংকিং অনুযায়ী পট-২, পট-৩ এবং পট-৪ এ থাকছে যথাক্রমে আটটি করে দল।

এই চার পটের প্রত্যেকটি থেকে লটারির মাধ্যমে একটি করে দল নিয়ে গড়া হবে আটটি গ্রুপ। অর্থাৎ, ‘এ’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত প্রতি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল।

নিয়ম অনুযায়ী, একই কনফেডারেশন থেকে কোয়ালিফাই করা একাধিক দল একই গ্রুপে থাকতে পারবে না। উয়েফাভুক্ত দলগুলোর এ ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা ব্যতিক্রম। এ অঞ্চলের দল বেশি হওয়ায় সর্বোচ্চ দুইটি দল একই গ্রুপে থাকতে পারবে। একই পটে থাকায় গ্রুপ পর্বে দেখা হবার কোন সম্ভাবনা নেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার।

তবে গ্রুপ পর্বে মেসি/নেইমারদের দেখা হয়ে যেতে পারে স্পেনের। স্পেনকে না পেলে আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল পেতে পারে ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্য থেকে একটি দল অথবা মেক্সিকোকে। পট-২ থেকে যদি ইউরোপের কোন দলকে না পায় আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিল, তবে পট-৩ থেকে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড এবং সুইডেনের মধ্য থেকে একটি দল হতে পারে তাদের গ্রুপ সঙ্গী। তিউনিসিয়া, মিসর এবং সেনেগালের মধ্য থেকেও একটি দলকে পেতে পারে দলদুটি। তবে এক্ষেত্রে পট-২ থেকে কোন আফ্রিকান দল গ্রুপে থাকতে পারবে না। গত আসরের মতো ইরানকেও একই গ্রুপে পেতে পরে মেসি-নেইমাররা।

পট-২ এবং পট-৩ থেকে ইউরোপের কোন দলকে না পেলে অথবা যে কোনো একটি দল পেলে গ্রুপ পর্বেই আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের সঙ্গে দেখা হতে পারে সার্বিয়ার। তা যদি না হয় তবে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা সৌদি আরবের মধ্য থেকে যে কোনো একটি দলকে পেতে পারে মেসি-নেইমাররা তবে যদি ইরান না থাকে।

আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিলের সম্ভাব্য সহজ গ্রুপ: আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল, মেক্সিকো, মিশর এবং সৌদি আরব।

আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিলের সম্ভাব্য কঠিন গ্রুপ: আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল, স্পেন, ডেনমার্ক এবং নাইজেরিয়া।

রিয়ালের ড্রতে আরও এগিয়ে গেল বার্সা

চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের। জিরোনা ও রিয়াল বেতিসের মত দলের কাছে হেরে আছে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। এরই মধ্যে আগের ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে লেগানেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সাও এগিয়ে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে।

তাই বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে মাদ্রিদ ডার্বিটি ছিল রোনালদোদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে জিনেদিন জিদানের দল। এতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার সঙ্গে ব্যবধান একের বেশি কমাতে পারলো রিয়াল মাদ্রিদ

অ্যাথলেটিকোর নতুন মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় স্বাগতিক দলের ফরোয়ার্ড কোরিয়া। মার্সেলো ও রাফোয়েল ভারানের ভুলে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন এই তারকা। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে বসেন এই তারকা।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে রিয়ালের হয়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রুস। তবে রোনালদোর বাড়ানো বল পাশের জালে জড়ান জার্মান তারকা। চার মিনিট পর রোনালদোর ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইনজুরিতে ভোগা নিয়মিত অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে তুলে নেন জিদান। বেনজেমার বদলে মাঠে আসেন মার্কো আসেনসিও। এরপর রিয়ালের আক্রমণের ধার বেড়ে যায়। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আরাধ্য গোলের দেখা আর মেলেনি।

উল্টো ম্যাচের ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল খেয়েই বসেছিল রিয়াল। কেভিন গ্যামিরোর চিপ শটে বল কিকো কাসিয়ার মাথার উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে হেড করে ফেরান ভারানে।

এই ড্রয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো জিদানের শিষ্যরা। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে মেসির বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলা ভালেন্সিয়া ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।

বাংলাদেশের বিপক্ষেই কোচ হয়ে আসছেন হাথুরু!

পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব আর পালন করবেন না তিনি। অথচ বিসিবি এখনও চেয়ে আছে তার ফেরার আসায়। আগেরদিনই বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘হাথুরু আসলে তাকে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে। অন্ততঃ সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজটা যেন তিনি সম্পন্ন করে যান, সে অনুরোধ জানানো হবে।’ একই সঙ্গে আকরাম খান এও জানিয়েছেন, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে হাথুরুর।

কিন্তু বিসিবি এখনও অলীক স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। হাথুরু যে বাংলাদেশ দলের কোচিংয়ে আর ফিরছেন না এটা এখন পুরোপুরিই নিশ্চিত। শুধু তাই নয়, তিনি ঢাকায় ফিরবেন, তবে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে নয়, কিংবা এ সম্পর্কিত কোনো আলোচনার জন্যও নয়। তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন, বাংলাদেশেরই বিরুদ্ধে, শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো সংবাদ প্রকাশ করেছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে হাথুরুসিংহের মৌখিক আলোচনা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবে দুই পক্ষ এবং আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজে লঙ্কানদের কোচ হয়েই ঢাকায় আসবেন হাথুরুসিংহে।’

নভেম্বর ৯ তারিখই ক্রিকইনফোর মাধ্যমে সবাই জানতে পারে, বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ওইদিনই সন্ধ্যায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাহমুল হাসান পাপন মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময়ই বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান হাথুরু। তবে তারা তার (হাথুরু) সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে যাবেন না বলেও জানান পাপন। যদিও পাপন, এমনকি বিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তা মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, হাথুরু আর তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। কারও কল ধরছেন না। বিসিবির সিইও যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি।

হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানে না বিসিবি। বোর্ড পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকইনফোকে জানান, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনও জানি না সে আমাদের এখানে থাকছে কী থাকছে না। কিংবা অন্য কোথাও চাকরি নিচ্ছে কি-না সেটাও জানি না।’

যখন জিজ্ঞাসা করা হলো যে, শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে তো সম্ভবত তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ। বিষয়টা কেমন হবে? জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘যদি সে শ্রীলঙ্কার কোচের পদ গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেই এখানে আসে, তাহলে এটা লঙ্কানদের জন্য বিশাল সুবিধার। কারণ, আমাদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে এ মুহূর্তে হাথুরুসিংহে ছাড়া আর কেউ বেশি জানে না। শুধুমাত্র ল্যাপটপে বসেই নয়, একেবারে হাতে-কলমে সব কিছু জানে সে। তিনি আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কেও অবহিত। আমাদের উইকেট এবং পরিবেশ সম্পর্কেও তার স্বচ্ছ ধারনা, জানা-শোনা। তবে এটা ঠিক, লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সে দীর্ঘদিন পর কাজ করতে যাবে। সুতরাং, এখানে তার মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগতেই পারে।’

২০১৪ সালে ঠিক একই অবস্থায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কাও। কারণ, লঙ্কানদের প্রধান কোচের পদ থেকে হঠাৎ পদত্যাগ করে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচের দায়িত্ব নেন পল ফারব্রেস। তার এক সপ্তাহ পরই ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

নারিন ঝড় ম্লান করে দিলেন হাসান আলি

আগেরদিনই জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে পড়েছেন তিনি মধুর সমস্যায়। যদি আমিরকে সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে একজন ব্যাটসম্যান কমাতে হবে তাকে। কিন্তু কাকে বাদ দেবেন? ব্যাটসম্যানরা যে সবাই ফর্মে! তারওপর বিদেশি কোটার বিষয় আছে। কাকে বাদ দিয়ে আমিরকে নেবেন তিনি?

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান যখন টস করতে নামছিলেন, তখনও জানা গেল না কী সিদ্ধান্তটাই না নিচ্ছে ঢাকা! গত তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচেই দলের সেরা পারফরমার শহিদ আফ্রিদিকে বসিয়ে রাখা হলো। নেয়া হলো মোহাম্মদ আমিরকে। আফ্রিদি ব্যাট এবং বল হাতে সমান পারফরমার। এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তুলছেন, তেমনি বল হাতে তো রীতিমত বিধ্বংসীরূপ ধারণ করছেন তিনি। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকারই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

আফ্রিদিকে বসিয়ে রেখে ঢাকা কি ভুল করলো? জবাব পেতে হয়তো খুব বেশি দেরি করতে হয়নি। পাকিস্তানি এই ড্যাশিং ওপেনারের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামানো সুনিল নারিন না হয় তার অভাবটা পূরণ করেছেন। ঝড় তুলেছেন ব্যাটে। ৪৫ বল খেলে ৭ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় করেছেন ৭৬ রান। এছাড়া কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ২৮ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই আর দুই অংকের ঘরও ছুঁতে পারেননি।

যেখানে আনকোরা ব্যাটসম্যান সুনিল নারিন উত্তাল ব্যাটিং করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলার এবং ফিল্ডারদের দিশেহারা করে দিয়েছিলেন, সেখানে কেন মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট ঢাকা ডায়নামাইটস? যে দলটি এই টুর্নামেন্টেই এখনও পর্যন্ত দু’বার ২০০ প্লাস স্কোরের জন্ম দিয়েছে, তারা কিভাবে ১৮.৩ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয়?

ভাগ্যিস সুনিল নারিন দাঁড়াতে পেরেছিলেন। না হলে যে ঢাকাকেই সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় অধোবদন হতে হতো! সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন কেবল নারিনই। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে নারিনের ইনিংস ওপেন করার অভিজ্ঞতা আছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মার-মার কাট-কাট ব্যাটিংই দরকার। যে কয়বল টিকে থাকা যায়, মারতে হবে। স্ট্রাইক রেট যত পারা যায় বাড়িয়ে ব্যাটিং করতে হবে। নারিন সেটা পারেন। কেকেআরেও সেটা প্রমাণ করেছেন। বিপিএলে ঢাকার হয়ে এই প্রথম ইনিংস ওপেন করতে নেমেও পারলেন। তার নিজের কাজটা তিনি করে দিয়ে গেছেন। ৪৫ বলে ৭৬ রান চাট্টিখানি কথা নয়!

কিন্তু নারিনের এই উত্তাল উইলোবাজি যে পুরোপুরিই ম্লান হয়ে গেলো এক তরুণ পাকিস্তানি পেসারের হাতে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই এই পেসার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আগামীর ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবেন তিনি। করছেনও। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের বোলিং ব্যাটারিতে কতটা ভয়ঙ্কর শক্তির রূপ দিয়েছেন হাসান আলি, তা কেবল তাদের প্রতিপক্ষ হওয়া দলগুলোই বুঝতে পারছে। যেমনটা বুঝতে পেরেছিল ভারত, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে।

আজ বুঝতে পারলো ঢাকা ডায়নামাইটস। যদিও এই ম্যাচে আমির আর হাসান আলি পরস্পর প্রতিপক্ষ। কিন্তু হাসান আলি যে সত্যি সত্যি বর্তমান সময়ে পেস জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, সেটা যে কোনো উইকেট কিংবা পরিবেশেই হোক না কেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ করে আসার পর আরও একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ছিলেন পুরোপুরি খরুচে বোলার। ৩৯ রানে দিয়েছিলেন তিনি। নিয়েছিলেন ১ উইকেট।

এরই মধ্যে ঢাকায় পার করে ফেলেছেন নিজের চতুর্থতম দিন। এর মাঝেই ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ফেলেছেন নিজেকে। উইকেটটাও বেশ পড়া হয়ে গেছে। যে কারণে আজ যখন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান সুনিল নারিন ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন, তখন বল হাতে আরও বিধ্বংসীরূপে আবির্ভূত হয়ে গেলেন হাসান আলি।

কতটা বিধ্বংসী? তা তার বোলিং ফিগার দেখলেই বোঝা যাবে। ৩.৩-০-২০-৫। টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বিধ্বংসীরূপ আর কে কবে দেখেছে? পরিসংখ্যান ঘাটলে হয়তো আর দু’একটি পাওয়া যাবে। তাও পুরো টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে। হাসান আলির এই ঝড়েই উড়ে গেল ঢাকার শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপ। সুনিল নারিনের ঝড় তখনই ম্লান হয়ে গেলো, হাসান আলির সামনে।

২০ রান দিয়ে একা একজন ৫ উইকেট নেয়ার পর অন্যদের আর কিছু করার থাকে না। সঙ্গে যোগ হয়েছিলেন সাইফউদ্দিন আর ঢাকার দুর্ভাগ্য। সাইফউদ্দিন ফিরিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর নারিনকে। আর দুর্ভাগ্য হলো, দুটি রান আউট। ২৮ রান করা সাঙ্গাকারা হয়েছেন রানআউট। গত তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করা কাইরন পোলার্ডও হয়েছেন রানআউট। ঢাকার আকার্শে দুর্ভাগ্য ভর তো করেছিল তখনই। ১২৮ রানে অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে যার ষোলকলা পূর্ণ হলো।