পুলিশের ১৩ এএসপিকে বদলি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি সমমর্যাদা) পদের ১৩ কর্মকর্তাকে নতুন কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে। সোমবার ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি বা পদায়ন করা হয়।

১৩ এএসপি বদলি :

ডিএমপির এএসপি কানিজ ফাতেমাকে ট্রাফিক-এডমিন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগে, প্রশাসন-উত্তরা বিভাগের এএসপি শিকদার মো. হাসান ইমামকে গোয়েন্দা-পূর্ব বিভাগে, ডিএমপির এএসপি ইমতিয়াজ মাহবুবকে প্রশাসন-উত্তরা বিভাগে, এএসপি আহসানুজ্জামানকে গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগে, এএসপি মো. খায়রুল আমিনকে পেট্রল-মোহাম্মদপুরে, এএসপি মো. সামসুজ্জামানকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে, এএসপি সাদিয়া আফরিনকে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে, এএসপি মো. শিবলী নোমানকে ডিএমপির ওয়ার্কশপ বিভাগে, এএসপি মো. হান্নানুল ইসলামকে ট্রেনিং বিভাগে, এএসপি জুলফিকার আলীকে প্রটেকশন বিভাগে, ওয়ার্কশপের এএসপি মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনকে এডমিন-ওয়ার্কশপ বিভাগে, এএসপি ইশতিয়াক আহমেদকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম এবং এএসপি পেট্রল-মোহাম্মদপুর বিপ্লব কুমার রায়কে প্রটেকশন বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

জামালপুরে হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

জামালপুরে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-২০১৭’স্থাপনের বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমামসহ অন্যান্যদের বিলটির ওপর আনীত সংশোধনীসহ জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গঠন এবং কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, অনুষদ গঠন ও এর দায়িত্ব-কর্তব্য, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিভাগ গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল, অর্থ কমিটি গঠন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম, ভর্তি, পরীক্ষা, পরীক্ষা পদ্ধতি, চাকরির শর্তাবলী, সংবিধি প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি-প্রবিধি প্রণয়ন, বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাবসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার প্রসার এবং বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর এবং দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে জামালপুরে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৭’ বিল সংসদে উপস্থাপন করা হলো।

বিমান বাহিনী প্রধান তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি তুরস্ক সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরেছেন। সফরকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান তুরস্কের বিমান বাহিনী সদর দফতর পরিদর্শন করেন।

বিমান বাহিনী সদর দফতরে পৌঁছালে তুরস্ক বিমান বাহিনী চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তিনি গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি তুরস্ক বিমান বাহিনী কমান্ডারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এছাড়াও তিনি ওই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেশাগত বিষয়ে আলোচনা করেন। বিমান বাহিনী প্রধান তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে : রাষ্ট্রপতি

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।

২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, যেকোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।’

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনও জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন- এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় ত্বরান্বিত হয়’।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; যিনি দীর্ঘ সংগ্রাম, জেলজুলুম ও ত্যাগ তিতিক্ষা সহ্য করে সমগ্র জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন,নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি।

মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মো. রুহুল আমিন, ইআরএ- ১’র বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকেও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য শাহাদতবরণকারী মুক্তিযোদ্ধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন,বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগতদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালনকালে অনেক সদস্য শাহাদতবরণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি তাদের আত্মার মাগফেরাত কমনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন,‘স্বাধীনতা আমাদের মহান অর্জন। স্বাধীনতাকে আরো অর্থবহ এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

তিনি বলেন,সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর ফলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে জনবল, স্থাপনা, আধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এসব কর্মসূচি সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। তিনি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।

সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সার্বিক নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি। এই নীতির আলোকে বর্তমান সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে ।

এ ছাড়াও পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন তিনি।

দিবসটি উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। সম্মিলিত আক্রমণের ফলে ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাঁর দূরদর্শিতা, সাহস, ন্যায়ের প্রতি অবিচল আস্থা এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য।

ঐতিহাসিক এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন দেশমাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আমর্ড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, যেগুলো প্রায় ৪০ বছর পর আজও চালু আছে। একইভাবে বিমান বাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহণ বিমান ও র্যাডার সংগ্রহ করেন।

ঢাকা সেনানিবাসে আজ যান চলাচল সীমিত থাকবে

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আজ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তাগুলো (শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড পর্যন্ত প্রধান সড়ক) যানজট মুক্ত রাখার লক্ষ্যে সেনানিবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহন ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চালকদের সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সেনানিবাস এলাকা দিয়ে চলাচল পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সেনানিবাসের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচলে সাময়িক অসুবিধার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের বৈকালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিকেল ৩টার মধ্যে এবং অন্যান্য অতিথিদের বিকেল সোয়া ৩টার মধ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নৌবাহিনীতে সাব লেফটেন্যান্ট পদে চাকরি

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার ২০১৮ এ ডিইও ব্যাচে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ‘অ্যাক্টিং ইনস্ট্রাক্টর সাব লেফটেন্যান্ট’ পদে জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
শাখার নাম: শিক্ষা শাখা-পুরুষ

পদের নাম: অ্যাক্টিং ইনস্ট্রাক্টর সাব লেফটেন্যান্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইইই/সিএসই/সিই বিষয়ে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)
বয়স: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর।

শারীরিক যোগ্যতা:
উচ্চতা- ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
ওজন- ৫০ কেজি
বুকের মাপ- স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত ৩২ ইঞ্চি

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত/অবিবাহিত
বেতন: ৪২,২৫০ টাকা

মনোনয়ন পদ্ধতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ০১-০২ নভেম্বর ২০১৭
স্থান: বিএন কলেজ, মিরপুর-১৪, নাবিক কলোনী, ঢাকা।

লিখিত পরীক্ষা: ০৩ নভেম্বর ২০১৭
স্থান: বিএন কলেজ, মিরপুর-১৪, নাবিক কলোনী, ঢাকা।

চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
স্থান: বিএনএস হাজী মহসীন, ঢাকা সেনানিবাস।

আবেদনপত্র সংগ্রহ
অনলাইন: নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট www.joinnavy.mil.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ফি জমাদান: বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশসহ বিভিন্ন মাধ্যম
আবেদন ফি: ৭০০ টাকা

আবেদন জমাদান: পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ অক্টোবর ২০১৭

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০৭ অক্টোবর ২০১৭

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ১৭৭ জনের চাকরি

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ২টি পদে ১৭৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিমাঞ্চল- রাজশাহী

পদের নাম: টিকিট কালেক্টর গ্রেড-২
পদসংখ্যা: ৮১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
বয়স: ১৮-৩০ বছর
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: বুকিং সহকারী গ্রেড-২
পদসংখ্যা: ৯৬ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
বয়স: ১৮-৩০ বছর
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

আবেদনপত্র সংগ্রহ: প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট www.railway.gov.bd থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদনের ঠিকানা: চীফ পার্সোনেল অফিসার- পশ্চিম, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রাজশাহী।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর ২০১৭

সূত্র: ইত্তেফাক, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

নতুনরা দ্রুত সফল হতে চান : আদনান ইমতিয়াজ হালিম

বাংলাদেশের ই-কমার্স বিজনেসের প্রথম সারিতে যাদের নাম আসবে, তাদের মধ্যে আদনান ইমতিয়াজ হালিম অন্যতম। তিনি বর্তমানে সেবা ডটএক্সওয়াইজেডের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত এমন একটি সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সেবা দিতে ও একজন ক্লায়েন্ট সরাসরি সেবা নিতে পারেন। এটি ২০১৫ সাল থেকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।

সেবার সাফল্যের নানা দিক এবং ই-কমার্স বিজনেসের অপার সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন সেবা’র সিইও আদনান ইমতিয়াজ হালিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কর্পোরেট আস্কের সিইও নিয়াজ আহমেদ

জাগো নিউজ : সেবা’র সফলতার কারণ কী?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : সেবা’র একঝাঁক দক্ষ নিবেদিত প্রাণ কর্মী মূল চালিকা শক্তি। সেবা মূলত একটি প্লাটফর্ম- যা বিভিন্ন সার্ভিসদাতা এবং কাস্টমারকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সুতরাং দক্ষ টিম, সম্মিলিত প্লাটফর্ম এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষাই সেবার সফল হওয়ার মূল কারণ। সেবা কোন প্রোডাক্ট সেল করে না, শুধু সার্ভিসদাতাদের আর ক্লায়েন্টদের মাঝে বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

 

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেসে অধিকাংশ তরুণের ব্যর্থতার কারণ কী বলে মনে করেন?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : যেকোন ব্যবসাই বহুবিধ দক্ষতার সমষ্টিগত ফলাফল। আমরা সবাই ব্যবসার মুনাফার দিক দেখি; ব্যবসা দাঁড় করাতে যে কষ্ট, যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়- সেটা দেখি না। এজন্যই অনেকে ব্যর্থ হন। ই-কমার্স ব্যবসায় সফল হতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আমি অনেককেই চিনি, যারা শুরুতে ভালো করেননি; কিন্তু এখন তাদেরই ই-কমার্স ব্যবসার মডেল ধরা হয়। তাই আমি মনে করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ইউনিক হতে হবে। কেননা প্রতিটি ব্যবসাই একপ্রকার সাহায্য।

 

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেস কিভাবে শুরু করতে হয়?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : প্রথমত প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন না কি সার্ভিস- সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কিছু বিজনেস অনেকটা আইডিয়া নির্ভর। আইডিয়া নির্ভর বিজনেসে সার্ভিস দিতে কিছু লোক লাগে, সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়। তবে এদের কোন প্রোডাক্ট নেই; অপরের প্রোডাক্ট, এরা কাজ করছে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে। আবার অন্যদের কথা ভাবলে দেখবেন, তারা প্রোডাক্ট দিচ্ছে, সেইসঙ্গে সার্ভিসও সহজ করেছে। যদি প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে চান, মূলধন তাহলে সে অনুযায়ী লাগবে। আর শুধু সার্ভিসদাতা হলে কম পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারবেন। ই-কমার্স বিজনেস করতে টিআইএন, কোম্পানির অ্যাকাউন্ট, ভ্যাট সার্টিফিকেট ও সব ধরনের বৈধ কাগজপত্র রাখতে হবে।

জাগো নিউজ : কিভাবে অগ্রসর হলে এ পেশায় ভুল কম হবে?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : যেকোন একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে দুই বছর জব করে আসুন। দুই বছরের মধ্যে আইডিয়া নেওয়া, কী কী ভুল হতে পারে, ভুলগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলা যায়, ভুল হলে কিভাবে শোধরানো যায়, চ্যালেঞ্জগুলো বোঝা এবং হাতেকলমে কাজগুলো জানা। কারণ নিজে ভুল করে শেখার চেয়ে অন্যের ভুল থেকে শেখাই ভালো। আর যেকোন কাজে সফল হতে কমপক্ষে ১০ হাজার ঘণ্টা কাজের পেছনে লেগে থাকতে হয়।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : কমিটমেন্ট ঠিক রাখাটাই বিজনেসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা, ইনভেন্টরি চেক করা এবং সব ক্ষেত্রে প্রফেশনালিজম বজায় রাখা জরুরি। আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস, স্টোর, জনবল সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। সামর্থ ও দুর্বলতাগুলো জানুন। তাহলে নেগেটিভ ফিডব্যাক আসবে না, বরং রিপিট বিজনেস আসবে।

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেস এগিয়ে নিতে শিক্ষাক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আনা উচিত?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : একজন শিক্ষার্থী তিন থেকে পাঁচ বার ইন্টার্নশিপ করলে তাদের প্রাক্টিকাল জ্ঞান বাড়ে। তারা বিজনেসের গ্যাপ বুঝতে পারে। প্রতিষ্ঠানের কাঠামো বুঝতে পারে। চ্যালেঞ্জ বুঝতে পারে। এতে তাদের ভেতরে ডিসিশন টেকিং স্কিল, ক্রিটিকাল থিংকিং স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল আরো উন্নত হয়। আমাদের দেশের পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব শিক্ষার অনেক ব্যবধান। তাই শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষা দিতে পারলে তাদের পক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা আরো সহজ হবে।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় নতুনদের কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : নতুনদের মাঝে অস্থিরতা দেখতে পাই, তারা খুব দ্রুত সফল হতে চান। স্টেপ বাই স্টেপ ক্যারিয়ার গ্রোথ নিয়ে কম লোকই ভাবেন। ক্যারিয়ার নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। যেকোন একটি চাকরি পাওয়াকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেন। তবে যেটা ভালো লাগে; সেটাই করুন। ভালো লাগার জায়গায় নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন। কারণ জীবনটা আপনার।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় ক্যারিয়ার গ্রোথ কেমন?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : এটি নতুন সেক্টর। ক্যারিয়ারের শুরুতে একে বেছে নিলে সামনের দিনগুলোতে এই সেক্টর যখন এগিয়ে যাবে; তখন আপনিই অভিজ্ঞদের সম্মুখভাগে থাকবেন। তবে প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে প্যাশনেট কি না। আপনি যদি প্যাশনেট থাকেন, আপনার যদি ডিটারমিনেশন থাকে, তাহলে সাফল্য সুনিশ্চিত।

নৌবাহিনীর ৬ পদে বেসামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৬টি পদে কিছুসংখ্যক বেসামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী

পদের বিবরণ
navy

আবেদনের ঠিকানা: পরিচালক, বেসামরিক কর্মচারী পরিদফতর, নৌবাহিনী সদর দফতর, বনানী, ঢাকা-১২১৩।

আবেদনপত্র সংগ্রহ
navy

আবেদনের শেষ সময়: ০৫ নভেম্বর ২০১৭