কুয়েতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে ১৯ নভেম্বর থেকে কুয়েতেও শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা। রোববার কুয়েতের স্থানীয় সময় সকাল ৮-১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখা হল রুমে প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় কুয়েতে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ জন। কিন্তু প্রথম দিনের পরীক্ষায় একজন অনুপস্থিত ছিল। ৯ জন মেয়ে ও ৭ জন ছেলে মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অসুস্থতার কারণে একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

কুয়েতেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।

আবুধাবিতে মীরসরাই সমিতির নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফায় মীরসরাই সমিতির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু হয়েছে। শনিবার স্থানীয় জনতা রেস্টুরেন্টের হল রুমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

সভাপতি মযহার উল্ল্যাহ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আজমের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির পৃষ্ঠপোষক ফখরুল ইসলাম খাঁন (সিআইপি)।

শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সমিতির প্রচার সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হাশেম ভূঁইয়া, উপদেষ্ঠা জাফর উল্ল্যাহ ও পারভেজ, সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন হেলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম খোকন ও আনোয়ার নিজামি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নাসির, সহ-দফতর সম্পাদক মাহফুজসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আমিরাতে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শারজাহ হুদাইবিয়া রেস্টুরেন্টের হল রুমে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে জাতীয় সংগীত ও শহীদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ তাজউদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এস,এম,শফিকুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ আলী, সু প্রকাশ বড়ুয়া, ড. মোহাম্মদ সেলিম (সিআইপি), আল জকির, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ প্রমুখ।

এ সময় শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ, এসএম কামাল, মাহাবুবর রহমান, আনসারুল হক আনসার, মনোয়ার কাদের মুন্না, শিমুল মোস্তফা, মোহাম্মদ ফরিদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহেদ চোধুরী, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ফাহাদ আলী ফাহাদ, মোহাম্মদ খালেদ, মোহাম্মদ দিদার, মোহাম্মদ ইয়াসিন তালুকদার, ইয়ার মোহাম্মদ, সাজ্জাদ আমিন রনি, রিঙ্কু শর্মা, মোহাম্মদ ফরিদ রেজা, মোহাম্মদ রাশেদ বাঙ্গালী, মোহাম্মদ মুক্তার, মোহাম্মদ মাহাবুবসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আমিরাতে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মাইজভান্ডারীয়ার অভিষেক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়ার আল-আইন শাখার অভিষেক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি আল আইন সানাইয়া ৫নং রহমানিয়া মঈনিয়া খানকাহ শরীফে এ অভিষেক আয়োজিত হয়।

মওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিনের পরিকল্পনায় ও মুহাম্মদ মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের ১ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া আল আইন শাখার প্রধান উপদেষ্টা খলিফা আলহাজ মুহাম্মদ রুহুল আমিন পাখি।

২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া আল আইন শাখার নব-নির্বাচিত সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি খলিফা আলহাজ জানে আলম দুলাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন আল আইন শাখার সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি আল আইন বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত জায়েদ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওসমান।

বেনিয়াছ শাখার উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু তালেব, সভাপতি মুহাম্মদ শফি, লেওয়া শাখার সহ-সভাপতি আহমদ নবী, আল আইন শাখার উপদেষ্টা সচিব মুহাম্মদ জাবেদুল আলম জাফর, উপদেষ্টা সদস্য মুহাম্মদ সেলিমুর রহমান, মুহাম্মদ আরিফুর রশিদ, মহাম্মদ আলম, আবুল বশির, মুহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সচিব মুহাম্মদ জাবেদুল আলম জাফর। আরও বক্তব্য রাখেন খলিফা আলহাজ রুহুল আমিন পাখি, আলহাজ জানে আলম দুলাল, মুহাম্মদ সেলিমুর রহমান, মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মুহাম্মদ নুরুল আলম প্রমুখ।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনা

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের অশংগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সিঙ্গাপুর-চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিদেশে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সফল প্রয়াস। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘রাইমস অ্যান্ড রিদম ফ্রম দি হিলস’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ স্ব স্ব সম্প্রদায়ের নৃত্য পরিবেশন করেন। শিল্পীরা তাদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন।

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অতিথি এবং দর্শকবৃন্দ বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাষা-ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতির মানুষের সহাবস্থান, মৈত্রীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাজিুর রহমান আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কুতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অবদানের কথা স্মরণ করেন।

 

সমাপনী পর্বে হাইকমিশনারের সহধর্মীনি তানজিনা বিনতে আলমগীর শিল্পী ও প্রতিনিধিদলকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। বিদেশের মাটিতে দেশের এবং নিজ সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিকে নৃত্যকলার মাধ্যমে নিপুণভাবে উপস্থাপন করার জন্য হাইকমিশনার শিল্পী ও কলাকুশলীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পর্তুগালে তাসলিম উদ্দিনকে নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের সংবর্ধনা

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে জইন্তা ফেগ্রেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওরের কাউন্সিলর পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি রানা তাসলিম উদ্দিন। ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত লিসবন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে তাসলিম উদ্দিন জয়লাভ করেন।

তাসলিম উদ্দিন কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় লিসবনের চারতারা হোটেল মুন্ডিয়ালের কনফারেন্স হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের সভাপতি হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আল মাসুদ সুমন এবং নাঈম হাসান পাভেল। পর্তুগালে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন মো. আবুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হোসেন জিন্নাহ। বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসাইন সুমন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিসবন সিটি কাউন্সিলের জইন্তা ফেগ্রেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট ডক্টর মিগুয়েল কোয়েলো। পর্তুগিজ স্যোসালিস্ট পার্টি পোর্তোর সদস্য ও বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ডক্টর মিগুয়েল কোয়েলো বলেন, বাংলাদেশিরা শান্তিপ্রিয় অভিবাসী হিসেবে পর্তুগালে খ্যাতি অর্জন করেছে। নির্বাচনে বেশিরভাগ বাংলাদেশিই আমাদের সহযোগিতা করেছে। তাদের সঙ্গে এমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করব, বাংলাদেশিরা তাদের এই সুনাম বজায় রাখবেন এবং পর্তুগিজ কমিউনিটির সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।

হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর বলেন, লিসবন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে পর পর দু’বার বাংলাদেশি ও নোয়াখালীর কৃতি সন্তান রানা তাসলিম উদ্দিনের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য পথ তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে রানা তাসলিম উদ্দিনের দেখানো পথে একদিন হয়ত বাংলাদেশের কেউ পর্তুগালের সিটি মেয়র কিংবা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

 

রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, আমি ১৯৯১ সালে যখন প্রথম পর্তুগালে আসি এখানে মাত্র ১২ জন বাংলাদেশি ছিলেন। সময়ের পালাবদলে সবাই পর্তুগাল ছেড়ে গেছেন, কিন্তু আমি এ দেশেকে ভালোবেসে থেকে গেছি। এদেশের মূলধারার রাজনীতিতে আমিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জড়িত হয়ে বর্তমান সরকারি দল পর্তুগিজ স্যোসালিস্ট থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। এত সুন্দর আয়োজনের জন্য বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল বাসার, শহীদ উল্যাহ, শাহাদাত হোসেন, ইমরান হোসাইন ভূইয়া, তবারক হোসেন তপু, শাকিল জিয়া, ফুয়াদ হাসান, এমরান হোসেন, রাইসুল ইসলাম রানা প্রমুখ।

কবরের আজাব হতে মুক্তির আমল

পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, সে কবরে আজাব ভোগ করতে আগ্রহী। জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন ও শাস্তি ভোগ করার লোকও পাওয়া যাবে না। বরং সবাই চাইবে আখিরাতের বিশাল জিন্দেগিতে আল্লাহর রহমত লাভ করে তাঁর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যমে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে। কবরের জিন্দেগিতে শান্তিতে থাকতে। তাই কবরের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তি লাভের আমল জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-

কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে হলে চারটি বিষয়ের ওপর  আমল করতে হবে, আর চারটি কাজ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মানুষের জরুরী।

যে আমল গুলো করতে হবে
ক. যথাসময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
খ. বেশি বেশি সাদকা করতে হবে।
গ. কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।
ঘ. বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করতে হবে। এ আমলগুলি কবরকে আলোকিত ও প্রশস্ত করে।

যে আমল থেকে বিরত থাকতে হবে
ক. মিথ্যা কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
খ. অপরের সম্পদ তথা পরের হক আত্মসাৎ করা যাবে না।
গ. চোগলখুরী করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঘ. পেশাবের ছিটা হতে বেঁচে থাকতে হবে।

একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মদিনা বা মক্কার) কোনো একটি বাগানের পাশদিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তথায় তিনি দু’জন এমন মানুষের আওয়াজ শুনতে পেলেন যাদেরকে কবরে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাদেরকে আজাব দেয়া হচ্ছে অথচ বড় কোনো অপরাধের কারণে আজাব দেয়া হচ্ছে না। অতঃপর তিনি বললেন, তাদের একজন পেশাব করার সময় আড়াল করতোনা। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগাত। (বুখারি)

কবরের আজাব হতে বাঁচার দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এইগুলো থেকে বাঁচার জন্য ফরয, নফল বা সুন্নত, যে কোনো নামাজে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন।

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ.

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ’জুবিকা মিন আ’জাবিল ক্বাবরি, ওয়া মিনিআ’জাবি জাহান্নাম, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহ’ইয়া-ওয়াল্ মামাতি, ওয়া মিং সাররি ফিতনাতিল্ মাসীহিদ্-দাজ্জাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কাবরের আজাব থেকে রক্ষা করো,আমাকে জাহান্নামের আজাব, এবং দুনিয়ার ফিৎনা ও মৃত্যুর ফেতনা এবং দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করো। (বুখারি ও মুসলিম)

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। কবরের আজাব থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.com

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

সকাল-সন্ধ্যার ৫ আমল

মানুষ মাত্রই চিন্তা করে কিভাবে নাজাত পাওয়া যায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের সহজ সহজ উপায় কি? কোন আমল করলে সহজে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সামর্থ্য হবে। তাই কুরআন এবং হাদিসে অগণিত অসংখ্যা তাসবিহ ও দোয়া বর্ণিত হয়েছে। আজ জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য সকাল ও সন্ধ্যার কিছু আমল তুলে ধরা হলো-

সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার দোয়া
১. হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। (যাদুল মাআদ) অর্থাৎ- আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তারই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি।

ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় এ দুআ’টি ৭ বার পড়বে, দুনিয়া ও আখিরাতের সব চিন্তা-ভাবনার জন্য  আল্লাহই যথেষ্ট হবেন।

২. বিছমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্সামাই ওয়া হুয়াচ্ছামীয়ুল আলিম।(তিরমিযী, যাদুল মাআদ) অর্থাৎ আল্লাহর নামে (আমি এই দিন বা রাত শুরু করছি)- যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কেউ কোন ক্ষতি করতে সক্ষম নয়। তিনি সব শুনেন ও জানেন।

ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এ দুআ’ ৩ বার করে পাঠ করেন, আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রকার ক্ষতি থেকেই হিফাজত করা হয়।

৩. আল্লাহুম্মা ইন্নি আছবাহ্তু আশহাদুকা, আশহাদু জুমলাতা আরশিকা ওয়া মালাইকাতিকা, ওয়া জামীআ খালক্বিকা, ইন্নাকা আনতাল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসুলুক। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ আমি সকাল করছি আপনাকে সাক্ষ্য রেখে, আরশবাহী ফিরিশতাদের সাক্ষ্য রেখে, সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষ্য রেখে – নিশ্চয়ই আপনিই সেই সত্বা যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসুল। মাগরিবের পর উপরোক্ত দোয়ায় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আছবাহতু’ এর স্থলে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আমছাইতু’ অর্থাৎ ‘সকাল করছি’ এর বদলে ‘সন্ধ্যা করছি’ বলবে।

ফজিলত : যে ব্যক্তি এ দু’আ ৪ বার উল্লেখিত নিয়মে পড়বে, ১ বার পড়ার পর তার দেহের এক চতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় বার পাঠের পর অর্ধাংশ, তৃতীয়বার পাঠের পর তিন চতুর্থাংশ ও চতুর্থবার পাঠের পর সম্পূর্ণ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (যাদুল মাআদ)

৪. রাদ্বি-তু বিল্লা-হি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনাও ওয়া বি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম নাবিইয়্যাও ওয়া রাসূলা। (তিরমিজি)। অর্থাৎ আমি সন্তুষ্ট আছি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে নবী হিসাবে পেয়ে।

ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (অর্থাৎ ফজর ও মাগরিবের পর) এ দোয়াটি ৩ বার করে পাঠ করবে তার উপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহর উপর দায়ীত্ব হয়ে যায়। (তিরমিজি)

৫. সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার- আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুকা, ওয়া আনা আ’লা আ’হ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাছত্বোয়াতাতু, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লাহ আন্তা।(যাদুল মাআদ)। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আর আমি সাধ্যমত তোমার অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির উপর কায়েম আছি। আমি মন্দ যা করেছি তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার প্রদত্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আর আমার গুনাহ্গুলো স্বীকার করছি। অতএব আমাকে ক্ষমা কর। কারণ তুমি ছাড়া গুনাহ্ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।

ফজিলত : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ এ কথাগুলো সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকাল হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তোমাদের কেউ তা সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকালের আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারী, তিরমিজি)

উপরোক্ত দুআ’গুলো আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে যাই। পরকালের নাজাতের প্রত্যাশী হই। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।

জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। দৈনন্দিন জীবনের দুআ’-আমল ও ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষার আমল

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ঘোষণা করেছেন, হে আদম সন্তানেরা! তোমাদেরকে যেন এই শয়তান পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত না করে ফেলে, যেমন তোমাদের মা-বাবাকে পথভ্রষ্ট করে চির সুখের জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিল। জাগো নিউজে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হিফাজত থাকার আমল তুলে ধরা হলো-

০২. আমলটি হচ্ছে-
رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ – وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ

উচ্চারণ : রাব্বি আউ-জুবিকা মিন্ হামাযা-তিশ শায়া-ত্বী-ন। ওয়া আউ-জুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদুরু-ন।

অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আমার প্রভু! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (সুরা মুমিনূন : আয়াত ৯৭-৯৮)

আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচার জন্য উক্ত আয়াতের মাধ্যমে দো‘আ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, শয়তান সব কাজে সর্বাবস্থায় মানুষের কাছে আসে এবং সব সময় অন্তরকে পাপ কাজে প্ররোচনা দিতে থাকে। ঐ প্ররোচনা থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি শিখানো হয়েছে।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.com

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

স্বভাবসিদ্ধ সুন্নাতের আমল

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম মানব জাতীর জন্য সব সময় কল্যাণের। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বভাবগতভাবে যে কাজগুলো নিয়মিত করতে হয়, সে বিষয়গুলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে ওঠে এসেছে। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দশটি কাজ স্বভাবগত- মোচ কাটা,  নখ কাটা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পাকি দেয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের পশম কামানো, পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা। মুসআব ইবনে শায়ার বলেন, আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি সম্ভবত তা হলো কুলি করা। (নাসাঈ)

হাদিসের শিক্ষা-
ক. পানি খাওয়ার সময় মোচে পানি না লাগে এ পরিমাণ মোচ ছোট রাখা।
খ. নখ কাটা, যাতে নভের ভিতর ময়লা জমে না যায়।
গ. শরীরের যে সমস্ত জায়গায় পানি পৌঁছা সহজ নয় তা ভালোভাবে ধৌত করা।
ঘ. দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ লম্বা রাখা।
ঙ. নাক পরিষ্কপা রাখা
চ. মুখের দুর্গন্ধ থেকে হিফাজত থাকতে খাওয়া-দাওয়া, ওজু, গোসলের পূর্বে মিসওয়াক ও উত্তমরূপে কুলি করা।
ছ. বগলের অযাচিত পশম উপড়ে ফেলা।
জ. নাভির নিচের পশম ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই পরিষ্কার করা।
ঝ. পেশাব ও সৌচকার্যে পানি ব্যবহার করে উত্তমরূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

উপরোল্লিখিত ফিতরাত বা স্বভাবগত হওয়ার অর্থ এ কাজগুলো ইসলাম পূর্ব সব দ্বীনের অংশ। সমস্ত নবি-রাসুলগণ এর শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যেন এগুলো স্বভাবেরই চাহিদা। যে কারণে উপরোক্ত বিষয়গুলো কোনো নবির শিক্ষা থেকেই বাদ যায়নি।

আল্লাহ তাআলা এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.com

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।