ঈদের ছুটিতে পান্থমাই

সামনেই তো ঈদুল আজহার ছুটি। ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন কোথাও থেকে। যেতে পারেন সিলেটে। সিলেটের অনেক স্থানের মধ্যে পান্থমাইও গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন পান্থমাই সম্পর্কে-

পান্থমাই

পান্থমাই ঝরনা ভারতে অবস্থিত। তবে এর সৌন্দর্য পুরোটাই বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়। এর অসম্ভব সৌন্দর্য দেখে আপনি অভিভূত হবেন।

 

বৈশিষ্ট্য

এ ঝরনার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এটা পাহাড়ি ঢল বেয়ে পাথরের মধ্য দিয়ে সজোরে প্রবাহিত হয়। বেশ গর্জন করতে থাকে। এ ঝরনার পানি পুরোটাই বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। গড়িয়ে পড়া পানিতেই তৈরি হয়েছে ছোট নদী। স্থানীয়রা একে ছড়া বলে। আর পান্থমাই জলপ্রপাত এ দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে একে ফাটা ছড়া বা ঝরনা বলা হয়। এছাড়া পান্থমাই গ্রামের চারপাশ খুব চমৎকার। এখানে রয়েছে বড় একটি খেলার মাঠ।

যাতায়াত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জেলা থেকে যেতে হবে সিলেট শহরে। বিমানবন্দর রোড দিয়ে অটোরিকশায় পান্থমাইয়ের পথ। ভাড়া করার সময় খেয়াল রাখবেন। তা না হলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

 

থাকা

পান্থমাই থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। তবে সিলেট শহরে অনেক হোটেল-মোটেল রয়েছে। ৩শ’ থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া পাওয়া যায় সিলেটে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও ভালো।

খাওয়া

পান্থমাই যাওয়া সময় সিলেট থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। ওখানে বাজার থাকলেও দুপুরে খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তবে চাইলে স্থানীয়দের রান্না করা রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন।

ইংল্যান্ডের রানির শোবার ঘর

সবার শোবার ঘর দেখার ইচ্ছা আমাদের সবসময় হয়তো জাগে না। তবে বিশেষ ব্যক্তির একান্ত সময়গুলো কিভাবে কাটে তা জানার আগ্রহ কমবেশি সবারই আছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর একজন মানুষ ইংল্যান্ডের রানি। কেমন হতে পারে তার শোবার ঘর। বাস্তবে না দেখতে পারলেও দেখে নিতে পারি আলোকচিত্রে।

ইংল্যান্ডের রানির আবাসস্থল বাকিংহাম প্যালেস। বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সেখানেই থাকেন। রানি থাকেন বলে এ জায়গা অগণিত মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় এ প্রাসাদের বিভিন্ন অংশ সাধারণ মানুষের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 

> আরও পড়ুন- পৃথিবীর অদ্ভুত কিছু জাদুঘর

কিন্তু যে জায়গাটিতে কখনোই কোন সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না তা হলো, রানির নিজস্ব শোবার ঘর। সেখানে শুধু রানির একান্ত আপনজন ও দু’একজন চাকর ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই।

১৯৮২ সালে ম্যাইকেল ফ্যাগান নামক এক ব্যক্তি নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে ঢুকে পড়েছিল রানির ঘরে। সেটিই ছিলো সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় ঘটনা।

 

সেই প্রথম এবং সম্ভবত শেষ ব্যক্তি সে রানির ঘনিষ্টজন না হয়েও রানির ঘরে ঢুকেছিল। কারণ এরপর থেকে সেখানকার নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করা হয়, যাতে এ ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

 

> আরও পড়ুন- বিপজ্জনক প্রবালপ্রাচীরে ঘেরা দ্বীপ

তাই এমন অদ্ভুত শখ যদি কারো থেকে থাকে যে, রানি লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজস্ব ভুবনে কেমন করে থাকেন সেটা দেখবেন, তা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।

তিন রাজ্য নিয়ে এক উদ্যান

বিশ্বের প্রতিটি দেশেই একটি করে জাতীয় উদ্যান রয়েছে। এছাড়া কোনো কোনো দেশের অঙ্গরাজ্যগুলোতেও আলাদা করে জাতীয় উদ্যান রয়েছে। আমেরিকার তেমন একটি জাতীয় উদ্যান হচ্ছে ‘ইয়োলোস্টোন জাতীয় উদ্যান’।

 

আমেরিকার তিনটি রাজ্য নিয়ে এ উদ্যান অবস্থিত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, উদ্যানটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উপরে অবস্থিত। এরপরও নজরকাড়া সৌন্দর্য নিয়ে টিকে আছে ইয়োলোস্টোন জাতীয় উদ্যান।

 

এখানে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ। এছাড়াও পাহাড়, ঝরনা, জলপ্রপাত এবং নদীর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পশু এবং পাখি। এ দেশে ঘুরতে গেলে দেখে আসতে পারেন উদ্যানটি।

বিমানে যে কাজগুলো না করাই ভালো

বিমান ভ্রমণে কতগুলো নিয়ম মেনে চলা ভালো। কারণ একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দৃষ্টিতে আপনি কেন খারাপ যাত্রীতে রূপান্তরিত হবেন। বিমানযাত্রীদের মধ্যে কারা ভালো যাত্রী তা একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলে দিতে পারেন। একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দৃষ্টিতে ভালো যাত্রীর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

ব্যাগ নিজ দায়িত্বে রাখুন

সব যাত্রীই যদি আশা করে যে, তাদের ব্যাগ একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট উঠিয়ে দেবে, তাহলে তা সত্যিই কঠিন। কারণ শত শত যাত্রীর ভারি ব্যাগ ওপরে তোলা যেমন কঠিন; তেমন এতে সময়ও নষ্ট হয়। আপনি যদি সুস্থ-সবল ব্যক্তি হন তাহলে নিজের কাজটি নিজেই করে নিন।

 

কম্পার্টমেন্ট বোঝাই ও সিট খোঁজা

ওভারহেড কম্পার্টমেন্ট নিজেই বোঝাই করুন, নিজের সিট নিজেই খুঁজে নিন। অনেক সময়েই যাত্রীরা তাদের ব্যাগ ঠিকঠাক ওভারহেড কম্পার্টমেন্টে ঢোকান না। অনেকেই যাতায়াতের রাস্তাতে ব্যাগ ফেলে রাখেন। ফলে অনেক সময়েই বিমানযাত্রায় সময় নষ্ট হয়।

ভদ্র ব্যবহার করুন

বিমানে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা আপনার জন্য কোনো কাজ করলে ভাববেন না যে, এটি তার দায়িত্বের অংশ হিসেবেই করেছেন। সুতরাং ‘প্লিজ’ বা ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি তাদের বলতে পারেন। কিন্তু অনেকের মধ্যে সাধারণ ভদ্রতাটুকুও দেখা যায় না। এক্ষেত্রে সবার জানা উচিত, কর্মক্ষেত্রে ভদ্র আচরণ পাওয়া প্রত্যেক কর্মীরই অধিকার।

দৃষ্টি সংযত রাখুন

বিমানের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নারী বা পুরুষ হেঁটে যাওয়ার সময় অনেকেই তাদের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকেন যে, তাদের স্বাভাবিক কাজের বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও অনেকেই বিমানের ভেতর তাদের কাজের স্থানে উঁকি মেরে কার্যক্রম লক্ষ্য করার চেষ্টা করেন। তাদের এমন আচরণে বিমানের কর্মীদের কাজে যে শুধু ব্যাঘাত ঘটে তাই নয়, এতে অস্বস্তিতেও পড়েন তারা।

 

স্টিকার ব্যবহার করুন

অধিকাংশ বড় ফ্লাইটেই সিটের সঙ্গে একটি স্টিকার দেওয়া থাকে। এতে লেখা থাকে, ‘খাবারের সময় আমাকে ডেকে দিও।’ এমন স্টিকার থাকলে খাবার দেওয়ার সময় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট আপনাকে নিশ্চিন্তে ডেকে দেবেন।  এমন স্টিকার না থাকলে খাবারের সময় ডাকলে বা না ডাকলেও বিরক্ত হন। তাই আপনার প্রয়োজনে স্টিকারটি ব্যবহার করুন।

খাবারের জন্য ধন্যবাদ দিন

বিমানে প্রত্যেক যাত্রীর জন্যই পর্যাপ্ত খাবার মজুদ থাকে। ফলে খাবার গ্রহণে কোনো সমস্যা নেই, বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই ঝামেলার। তাই খাবার গ্রহণ করার সময় সহায়তাকারীকে ধন্যবাদ দিন।

ট্রে অগোছালো নয়

খাবার খাওয়ার পর আপনার ট্রে অগোছালো থাকলে গোছাতে সময় লাগে। আর এভাবে ৬৪ জনের ট্রে গোছাতে দু’ মিনিট করে লাগলে তাতে অতিরিক্ত দু’ ঘণ্টা সময় ব্যয় হবে। তাই অন্য একজনের কথা চিন্তা করে হলেও এমনভাবে গুছিয়ে রাখুন, যেন তা সহজেই ফেরত দেওয়া যায়। যদি সময়মতো খাবার খাওয়া শেষ না করেন তাহলেও এটা খুবই ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়।

 

গ্যালারিতে যান

অতিরিক্ত কোনো পানীয় কিংবা হালকা খাবার প্রয়োজন হলে বিমানের গ্যালারিতে যান। অধিকাংশ বিমানের পেছনের দিকেই এটি থাকে। যাতায়াতের সময় একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে ডেকে কোনোকিছু চাওয়ার চেয়ে এটি অনেক ভদ্র পদ্ধতি।

হেডসেট ও কম্বল ফেরত দিন

বিমানযাত্রার শেষ দিকে বিমানের যাত্রীদের কাছ থেকে হেডসেট নেওয়ার দায়িত্বে একজন নিয়োজিত থাকেন। কারণ তার কাজ বিমানটি সময়মতো পরিষ্কার করে নতুন করে সাজিয়ে যাত্রী ওঠানো। এখানে আপনার সিনেমা দেখার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তার কাজ। তাই সেগুলো তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও থাকে। অনুরূপ নিয়ম কম্বলের জন্যও প্রযোজ্য।

দেখে আসুন শ্রীমঙ্গলের বহুরূপ

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণপিপাসুদের একটি প্রিয় নাম। এটি আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন নগরখ্যাত অঞ্চল। এখানে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে অজস্র স্থান। সবুজ প্রকৃতির মায়াবী রূপের কারণে শ্রীমঙ্গলের রয়েছে আলাদা পরিচিতি। ফলে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শ্রীমঙ্গলের অবস্থান প্রথম সারিতে।

বাগান
Tea
শ্রীমঙ্গলে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। পাহাড়ি এই এলাকায় মাইলের পর মাইল চা বাগান। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের চায়ের একটি অংশ এই বাগানগুলো থেকেই পাওয়া যায়। যা বিদেশে রফতানি হয়। এখানে চা বাগানের পাশাপাশি রয়েছে রাবার, লেবু ও আনারসের বাগান।

চিড়িয়াখানা

শীতেশ নামক স্থানীয় এক প্রকৃতিপ্রেমী ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন শীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা নামে মিনি চিড়িয়াখানা। তার সংগ্রহে যুক্ত হয়েছে অনেক প্রজাতির পশুপাখি। সাদা বাঘ, মুখপোড়া বানর, সজারু, হরিণ, উল্লুক, ধনেশ পাখি, একাধিক প্রজাতির কাঠবিড়ালি এর অন্যতম। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন থেকে চিড়িয়াখানায় যেতে পনেরো টাকা রিকশা ভাড়া লাগে। ভেতরে প্রবেশ করতে দশ টাকার টিকিট কাটতে হয়।

চা কারখানা

শ্রীমঙ্গলে ‘টি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ হতে পারে পরিদর্শনের অন্যতম একটি স্থান। এখানে দেখতে পাবেন চা প্রস্তুত প্রণালি। বাগানের ভেতর শ্রমিকদের সঙ্গে খানিকটা সময়ও কাটানো যেতে পারে। টিলার উপর বিশাল জায়গা নিয়ে নির্মিত রিসোর্টে রয়েছে দশ-বারোটি কটেজ। বড় রেস্তোরাঁর সঙ্গে পুরনো আমলের সুইমিংপুল। পাশেই নেট দিয়ে ঘেরা জায়গায় বেশ কয়েকটি চিত্রল হরিণ ঘুরে বেড়ায়।

মাধবপুর লেক

বিকেলের সময়টা কাটাতে পারেন মাধবপুর লেকে। সমতল থেকে উঁচু পাহাড়ে লেকটির অবস্থান। সময় করে লেকের চারপাশ ঘুরতে পারলে নিঃসন্দেহে তা হবে এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

লাউয়াছড়া উদ্যান

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ২০-৩০ মিনিট লাগবে সিএনজি অথবা অটোরিকশায় করে গেলে। উদ্যানে ঢুকতে টিকিট কাটতে হয়। জনপ্রতি বিশ থেকে ত্রিশ টাকা নিবে হয়তো। লাউয়াছড়ার ভেতর দিয়ে চলে ছেছে ট্রেন লাইন। দু’পাশে বন, মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। এমন কয়েকটা বন্য ট্রেইল রয়েছে লাউয়াছড়ায়।

হামহাম জলপ্রপাত

এটিও শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে ৩৫-৪০ কিলোমিটার দূরের খুব সুন্দর ঝরনা। যারা ট্র্যাকিং করতে পারবেন, একটানা ২-৩ ঘণ্টা পাহাড়ি পথে, ঝিরি পথে হাঁটতে পারবেন, তারা বর্ষা মৌসুমে একদিন সময় বাড়িয়ে যেতে পারেন। শহর থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা লাগে রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্ট দিয়ে কলাবন পাড়ায় যেতে। সেখান থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্র্যাকিং করে যেতে হয় হামহাম ঝরনায়।

চা কেবিন

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে গিয়ে সাত রং চায়ের স্বাদ গ্রহণ করবেন না? একই গ্লাসের মধ্যে স্তরে স্তরে সাজানো সাত রং চা! অবশ্যই ৭০ থেকে ৯০ টাকা খরচ করে এই চা খাবেন।

খাবার

এখানে খাওয়ার জন্য পানসী রেস্টুরেন্ট, নূর ফুডস, কুটুমবাড়ি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট, চ্যাপস্লী ইত্যাদি খুব জনপ্রিয়। শ্রীমঙ্গলে খাবারের দামও তুলনামূলক কম। খেতে মুখরোচকও বটে।

অবস্থান

শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য বেশ কিছু দারুণ কটেজ, রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। যা অন্য এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। শ্রীমঙ্গলে থাকার জায়গা হিসেবে টি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘টি রিসোর্ট’ অত্যন্ত চমৎকার একটি জায়গা। এছাড়া যেকোন রিসোর্টে সুবিধামতো রুম ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন।

‘ফেসওয়াশে’র বিজ্ঞাপনে হেলেন

মাস তিনেক আগে গ্রামীণফোনের একটি ক্যাম্পেইনের বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছিলেন পিজে হেলেন। বিরতি ভেঙে আবারও তিনি কাজে ফিরলেন, নতুন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হলেন। এটি কুমারিকা পিম্পেল কন্ট্রোল ‘ফেসওয়াশে’র বিজ্ঞাপন। নির্মাণ করছেন সাবরিনা আইরিন। গতকাল (শুক্রবার) এই বিজ্ঞাপনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, আজও বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং চলছে।

হেলেন জাগো নিউকে বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি আগাগোড়া আমাকে কেন্দ্র করে। যেখানে দেখা যাবে, আমি একজন কিশোরী। সবসময় নিজের মুখ লুকিয়ে রাখি। এ নিয়ে মানুষ কানাকানি শুরু করে। একটা সময় কুমারিকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে সুফল পাই। শুধু এখানে শেষ হয়, বিজ্ঞাপনে আরও কিছু চমক থাকছে। চমৎকার আয়োজনের একটি কাজ এটি।’

তিনি বলেন, ‘লেখাপড়ায় মন দিয়েছি, সেজন্য কাজ থেকে কিছুটা দূরে আছি। এর আগে মিডিয়ায় প্রায় নিয়মিত ছিলাম যার জন্য পড়ালেখায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। আগামী বছর মে মাসে নতুন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই কাজ কমিয়ে দিয়েছি। কুমারিকা বিজ্ঞাপনের আয়োজন নিয়ে আমাকে যখন অফার করা হলো সবকিছু শুনে ভালো লাগায় কাজটি করছি।’

নির্মাতা সাবরিনা আইরিন, কুমারিকা হেয়ার ওয়েল এখন বেশ জনপ্রিয়। ওই কোম্পানি থেকে প্রথমবার ফেসওয়াশ বাজারে আসছে। শিগগির বিজ্ঞাপনটি দেশের সবগুলো টিভিতে প্রচার হবে।

হেলেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপনের মধ্যে রয়েছে ইস্পাহানি চা, অলিম্পিক টুইংকেল বিস্কুট, প্রাণ পিকেল, মোজো, সহজ ডটকম, আরএফএল ফ্রেসকো কনটেইনার, আরএফএল টিউবওয়েল। বেশকিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন এই নবীন তারকা। যেমন ব্ল্যাক হোল, ডেইলি ফ্রাইট নাইট, লাইন ইন অ্যা মেট্রো, সহযাত্রী ও নাইন অ্যান্ড হাফ।

সিনেমা নয় শারীরিক সুস্থতার কথা ভাবছেন অপু

ডিসেম্বরে ‘কাঙাল’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেয়ার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসার বাথরুমে পা পিছলে পড়ে পেটে আঘাত পান। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসার জন্য ভারত যান তিনি। সেখানকার চিকিৎসকরা অপুকে ৩-৪ মাস পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।

তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে এবং শরীর সুস্থ রাখতে আপাতত সিনেমায় অভিনয়ের কথা ভাবছেন না অপু। ঢালিউডের শীর্ষ এই নায়িকা রোববার রাতে জাগো নিউজকে এমনটাই জানান।

অপু বিশ্বাস বলেন, ডিসেম্বরে আমার কাঙাল ছবির শুটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনো শুটিংয়ে অংশ নিতে পারবো না। ডাক্তার বলেছেন, ৩-৪ মাস পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে। নইলে আরো বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই কোনো শুটিংয়ে অংশ নেয়া সম্ভব হবে না।

দেশের শীর্ষ একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অপু বিশ্বাস আর সিনেমায় অভিনয় করবেন না। আসলেই কী তাই? জানতে চাইলে অপু বলেন, একেবারেই সিনেমা ছাড়বো এমনটা বলিনি। আমি বলেছি, এখন যেহেতু অসুস্থ তাই আমার সুস্থ হতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে। সে জন্য এই কয়েকটা মাস সিনেমায় কাজ করবো না। আমার বক্তব্যকে মিসইউজ করা হয়েছে।

ওই খবরে আরো বলা হয়েছে, অভিনয় ছেড়ে এখন থেকে নামাজ, রোজা ও সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করণীয় তাই করবেন। এসবের সত্যতা জানতে চাইলে অপু বলেন, আমি নামাজ আদায় করি, রোজা পালন করি। এটা নতুন কিছু নয়। হজে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। তবে আমি একা নই। আমার স্বামী শাকিবকে নিয়ে হজে যেতে চাই। শাকিব ছাড়া আমি হজে যাবো না। আর আমি সবসময় চাই, শাকিবের সঙ্গে সংসার করতে। এটা সে (শাকিব) ভালো করে জানে।

২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করার পর শাকিব-অপুর সংসার ঠিকমতোই চলছিল। দুজনেই নিজেদের মতো করে কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন। গত এপ্রিলে তাদের বিয়ের খবর জনসমক্ষে চলে আসার পর শাকিবের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। চলচ্চিত্রপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই এই দম্পতির বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে।

কলকাতার ছবিতে জাহিদ হাসান

কলকাতার ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। ছবির নাম সিতারা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক আবুল বাশারের ভোরের প্রসূতি উপন্যাস অবলম্বনে এ ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করবেন আশীষ রায়।

ছোটপর্দায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ অভিনেতা নিজেই খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, সিতারা বাংলা ও তেলেগু ভাষায় নির্মিত হবে।

তিনি বলেন, মাস দুয়েক আগে কলকাতা থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। শুরুর দিকে তারা আমাকে ফোন করে, এরপর এসএমএস পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, একসময় আমরা কথা বলি। এরপর উপন্যাসটা পড়ে আমার খুব ভালো লেগে যায়। পরে আমাকে স্ক্রিপ্ট পাঠানো হয়। সবকিছু চূড়ান্ত করেছি; চুক্তিও হয়ে গেছে। ছবিটিতে আমি দিলু চরিত্রে অভিনয় করব।

শ্রাবণ মেঘের দিন ছবির এ অভিনেতা বলেন, দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার ভারত অংশে সিতারা ছবির শুটিং হবে। নভেম্বরের শেষে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগের বন্যার কারণে সেখানে এখন শুটিং করার পরিবেশ নেই। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সিতারা ছবিতে আর কারা অভিনয় করবেন সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাননি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এ অভিনেতা। বিষয়টি চমক হিসেবে রাখতে চাচ্ছেন। সবমিলিয়ে তিনি আশা করছেন ছবিটি তার ক্যারিয়ারে দারুণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

জাহিদ হাসান অভিনীত ছবিগুলো হচ্ছে বলবান, শ্রাবণ মেঘের দিন, মেড ইন বাংলাদেশ, আমার আছে জল, প্রজাপতি।

সর্বশেষ তিনি অভিনেতা-নির্মাতা তৌকির আহমেদ পরিচালিত হালদা ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছবিটি আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

সবার ভালোবাসায় রঙিন এবারের জন্মদিন : বুবলী

আজ ২০ নভেম্বর চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলীর জন্মদিন। প্রতিবারের মতো এবারের জন্মদিনটিও ঘরোয়াভাবে পালন করছেন ‌‘বসগিরি’ ছবির এই নায়িকা। আজ দুপুরে বুবলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাতে বাসায় ঘরোয়াভাবে কেক কেটেছি। বাবা-মা আর দুই বোনও উপস্থিত ছিলেন।’

বুবলী বলেন, ‘রাজকন্যার মতো সবাই আমাকে খুব আদর করছেন। মা বাসায় আমার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন। আমাকে ঘর থেকে বেরই হতে দিচ্ছেন না। আর এত আদর ভালোবাসা পাই বলেই জন্মদিনটা বাসায় কাটাতে ভালো লাগে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবারের বাইরেও আমার আরেক পরিবার হচ্ছে চলচ্চিত্র। সেখান থেকেও অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পাচ্ছি। ভক্তরাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এই শুভেচ্ছা-ভালোবাসায় রঙিন এবারের জন্মদিন। ইচ্ছে ছিল আমার খুব কাছের মানুষদের নিয়ে একটা গেট টুগেদার পার্টির আয়োজন করবো। কিন্তু সাময়িক কারণে সেটা এবার করতে পারিনি। তবে কদিন পরেই করবো। সেখানে শুধু খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা হবে।’

ঢাকাতেই বুবলীর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বাবা আবুল কাশেম ও মা জেসমিন আক্তারের চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় তিনি। বড় বোন নাজনীন মিমি একসময় গান করলেও বর্তমানে স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত। মেজো বোন শারমিন সুইটি একুশে টিভিতে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন। ছোট ভাই জাহিদ হাসান আকাশ ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে।

শৈশব থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী বুবলীর প্রথম বিদ্যাপীঠ উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তিনি এইচএসসি পাস করেন উত্তরা উইমেন কলেজ থেকে। সেখান থেকেই অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন।

বুবলী বলেন, ‘আগে ছিলাম অন্য বুবলী। খুব বেশি মানুষ চিনত না। কিন্তু বড় পর্দার অভিনেত্রী হিসেবে এখন সারাদেশ থেকেই ভক্তদের শুভেচ্ছা পাচ্ছি, ভালোবাসায় স্নাত হচ্ছি। ফেসবুক, ফোনের ম্যাসেজ- সবখানেই শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যাচ্ছি। আমি অভিভূত।’

গেল বছরে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢাকাই ছবিতে অভিষেক ঘটে বুবলীর। শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হয়ে এসে চমক দেখান তিনি। আলাদা করে নায়িকা হিসেবে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে শাকিবের বলয় থেকে বের হতে না পারার ত্রুটি রয়েছে বুবলীর, এই দাবি চলচ্চিত্রের মানুষদের। তাদের মতে, একজন নায়িকা কখনো নির্দিষ্ট বলয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাকে সার্বজনীন হয়েই কাজ করতে হয়।

সফল-ব্যর্থতার হিসেব করবে ভবিষ্যত। আপাতত, নিজের ব্যবসা সফল ছবিগুলোকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন বুবলী।