‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে জনগণও তাকে ক্ষমা করে দেবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করেছেন, আমরাও ক্ষমা করে দেব। কিন্তু জনগণ কি ক্ষমা করবে? জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। জনগণ এও বিশ্বাস করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে অংশ নেবে না। যারা এখন ক্ষমতায় আছেন গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। একটু ক্ষমা চান। এইদেশ সেইদেশ ঘুরতে হবে না। বাংলাদেশেই থাকতে পারবেন।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। অনুষ্ঠানে কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

গয়েশ্বর আরও বলেন, তারেক রহমানের জন্মদিন উদোপনে যতই বাধা দেয়া হচ্ছে আমাদের অনুভূতি আরও বেগবান হচ্ছে। প্রায় ২ যুগ ধরে তাকে নির্বাসিত করার জন্য তার জীবন ও চরিত্র কলুষিত করার চেষ্টটা করা হয়েছে। তবে সব চেষ্টা অপচেষ্টায় ধুলিস্যাৎ হয়েছে। কারণ যে গাছে ফল হয় সে গাছেই মানুষ ঢিল মারে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান কোথাও কোথাও সমালোচিত হয়েছেন। তবে নিজের কারণে নয়। তাই আমাদেরকে সংযত হতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জন্মদিনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তারেক রহমানকে অনুভব করছি। সাধারণ মানুষও তার জন্মদিন উদযাপন করছে। তিনি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে আসেননি। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন, তারপরও তার উপর মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রতিহিংসার যেন শেষ নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসারের সঞ্চালনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি আবদুল মালেক, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।

সমাবেশ মঞ্চে শেখ হাসিনা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার দুপুরে ২টা ৩৯ মিনিটে তিনি সমাবেশ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

তারেকের জন্মদিনে কেক কাটবেন খালেদা

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেক কেটে একমাত্র ছেলের জন্মদিন উদযাপন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা
শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও পৃথকভাবে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করবে বলে জানা গেছে।

রিকশাচালকের নৌকা প্রেমের গল্প

বাচ্চু মিয়া। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। রাজধানীর বনানী এলাকায় রিকশা চালান। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের সংসারে একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি তিনিই। রিকশা চালিয়েই সংসার চলে তার। বিগত তিন দিনের উপার্জনের দুই হাজার টাকা দিয়ে কাপড়-বাঁশ-রঙিন কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন বাচ্চু মিয়া।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে যখন বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসছেন, তখন বাচ্চু মিয়া মাথায় করে তার বানানো নৌকা নিয়ে একাই এসেছেন সমাবেশস্থলে।

আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা নৌকার লোক। পারিবারিকভাবে আমরা সবাই আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা-আর আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ আমার অন্তরে। আমরা দিন আনি দিন খাই, অভাবের সংসার তবুও আজ রিকশা চালানো বাদ দিয়ে এ সমাবেশে এসেছি।

তিনি বলেন, তিন দিন রিকশা চালিয়ে দুই হাজার টাকা উপার্জন হয়েছে সেই টাকা দিয়ে এ নৌকা বানিয়েছি। আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি বলেই পরিবারের খাওয়ার কথা না ভেবে সব টাকা দিয়েই এ নৌকা বানাতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতি অন্যদের মতো আমারও ভালোবাসা আছে সে কারণে আজ সব কাজ বাদ দিয়ে এ নাগরিক সমাবেশে এসেছি।

আলাপকালে বাচ্চু জানান, জেলা নরসিংদী হলেও বিগত ২৭ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। বনানী এলাকায় রিকশা চালান। পরিবারের ৬ সদস্যর মধ্যে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকা দিয়েই তার সংসার চলে।

অন্যদিকে মার্কা আছে, নৌকা, নৌকা স্লোগানে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ডস হেরিটেজ ডকুমেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টির বাদ্যে মুখরিত হয়ে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর হয়ে জাতীয় চার নেতার মাজার প্রাঙ্গণ সংলগ্ন পুরো এলাকা।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল রংপুর যাচ্ছে রোববার

রংপুর জেলার গঙ্গাছড়া উপজেলায় সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হরকলি ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শনে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

শনিবার দলটির দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, ১৯ নভেম্বর সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হরকলি ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইউনেসকো কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডকুমেন্ট স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক নেতাই অনেক ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণগুলো ছিল লিখিত। একটি মাত্র ভাষণ যার কোনো লিখিত ছিল না। এমনকি নোটও ছিল না। প্রতিটি কথাই তিনি বলে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি জাতিকে তিনি জাগ্রত করেছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামে। সেদিনের ভাষণের কথা মনে হলেই আমার মনে পড়ে আমার মায়ের কথা।

তিনি বলেন, অনেক লিখিত বক্তব্য বাবার হাতে দেয়া হয়েছিল। মা বাবাকে বলেছিলেন, তুমি সেই কথা বলবে, যা তোমার মনের কথা।

বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং জেলহত্যার শিকার ৪ জাতীয় নেতার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে শনিবার দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

এর আগে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যানার নিয়ে সমাবেশে আসতে শুরু করে। দুপুরের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশস্থল ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আদলেই সাজানো হয়।

এসময় বাংলা একাডেমি চত্বরে ঢাকা লিট ফেস্টও চলে সুশৃঙ্খলভাবে। তিন দিন ব্যাপি এ উৎসবের আজ শেষদিন। একদিকে নাগরিক সমাবেশ অন্যদিকে চলে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব।

তা‌রেকের জন্ম‌দি‌নে কেক কাট‌লেন খা‌লেদা

গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৫৩ পাউন্ডের ৭টি কেক কেটে ছেলের জন্মদিন উদযাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার (১৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ কেক কাটা হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা করতালি ও ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ শ্লোগানে তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

২০ নভেম্বর (সোমবার) তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন। ২০০৮ সাল থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন তারেক রহমান। কেক কাটার পর মোবাইলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া। পরে দলের মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

কার্যালয়ের ভেতরে নেতৃবৃন্দ অবস্থান নিলেও কেক কাটার মূল অনুষ্ঠান বাইরে বড় পর্দায় দেখানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের সামনে সহাস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি, মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলের আলাদা আলাদা ছয়টি বড় আকারের কেক টেবিলে রাখা হয়। রাত ১২টায় ১ মিনিটে কেক কাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এর পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কেক কাটেন। এ ছাড়া পরের কেকগুলো পর্যায়ক্রমে অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে কাটা হয়।

জন্মদিনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন কাদের চোধুরী, শওকত মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের রাজিব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ প্ুমূখ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কেক কাটা শেষে তারেক রহমানের আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং কেক ৭টি এতিমখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে তারেকের জন্মদিন উদযাপনে বিএনপি দুইদিনের কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সোমবার (২০ নভেম্বর) সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে তারেকের আশু আরোগ্য ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও পরদিন শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সোমবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করবে।

জন্মদিনে তারেকের সুস্থতা কামনা করে খালেদার টুইট

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার সুস্থতা কামনা করেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক টুইটে তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খালেদা জিয়া তার টুইটে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন তারেক রহমান। তুমি সুস্থ ও সুন্দর থাক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সফল হও -এ দোয়া করি।’

এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তারেক রহমানের জন্মদিনের কেক কাটেন তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কেক কাটার পর মোবাইলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতাকর্মীরা করতালি ও ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ স্লোগানে তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

২০০৮ সাল থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন তারেক রহমান।

গুলশানে উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন খালেদা

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় চেয়াপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান ও জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। ধারাবাহিকভাবে তিনি নির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনী সুনাম বয়ে আনছে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচু মানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সশস্ত্র বাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে সংকট মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোন আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।