এই ছয় পানীয় আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে

অফিসের ডেস্কে দীর্ঘসময় বসে থেকে কাজ করার জন্য মুটিয়ে গেছেন? বার্গার, পিজার মত ফাস্টফুড প্রিয় হওয়ার কারণে শরীরে মেদ জমেছে! একটু হাটলেই হাপিয়ে ‍ওঠেন। ব্যায়াম করার সময়ও নেই। কিন্তু শরীরকে ফিট রাখার ইচ্ছার কমতি নেই। আপনার জন্যই কার্যকরী হতে পারে এই ছয় পানীয় –

পানি: ওজন কমানোর জন্য পানি বেশ উপকারি। দিনে যত বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন আপনার ওজন ততই কমবে। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে অতি দ্রুত ওজন কমবে। যে কোন ব্যায়ামের শুরুতেও পানি পান করতে পারেন। এটি আপনার মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।

ভেজিটেবল স্যুপ: ভেজিটেবল জুসে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এটি বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। রাতে ঘুমানোর আগে স্যুপ খেলে শরীরে ক্যালোরি জমা হয়।

গ্রিন টি: ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ গ্রিন টি পান করুন। ওজন কমানো ছাড়াও গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ভেজিটেবল জুস: নানা রংয়ের শাকসবজির জুস শরীরের জন্য দারুণ উপকারি। ওজন কমাতে ভারি খাবারের পরিবর্তে শাকসবজির জুস খেতে পারেন।

ব্ল্যাক কফি: ব্ল্যাক কফি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়। ব্ল্যাক কফির ক্যাফেইন বিশ্রামে থাকলেও শরীরকে প্রশান্তি দেয়।

পাস্তুরিত দুধ: পাস্তুরিত দুধে চর্বিহীন প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি ক্যালোরি ছাড়া ভিটামিন পেতে এবং হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

স্বামী হিসেবে কেমন হবেন আপনার প্রেমিক?

প্রেমে পড়তে কারণ লাগে না। প্রেম হতে পারে যখন তখন। হঠাৎ পরিচয়, ভালোলাগা, ভালোবাসা। তারপর দুটি মন স্বপ্ন দেখে হাতে হাত রেখে জীবন পাড়ি দেয়ার। প্রেমে পড়লে মন উড়ুউড়ু, জীবনের জটিল হিসাব-নিকাশ করার সময় তখন কোথায়! একজন ভালো প্রেমিক একজন ভালো স্বামী নাও হতে পারেন! কারণ বিয়ের পর জীবনে আসে নানা পরিবর্তন। মুখোমুখি হতে হয় অনেক চ্যালেঞ্জের। যদি সত্যিই চান মনের মানুষটি সঙ্গী হয়ে সারা জীবন পাশে থাকুক তবে কিছু বিষয়ের দিকে এখনই নজর দিন।

খরচপাতির হিসাব-নিকাশ

কোথাও খেতে গেলে দু’জনের মধ্যে কে বিল পরিশোধ করেন? খরচপাতির জন্য বাবার ওপর নির্ভর করেন নাকি নিজেই আয় করেন? অনেক বেশি খরচ করেন নাকি হাড়কিপটে? প্রেমিক টাকাপয়সা কিভাবে খরচ করেন তা দেখেও বুঝতে পারবেন তিনি ভবিষ্যতে ভালো স্বামী হবেন কি না।

কাছের মানুষেরা কী ভাবেন

প্রেমে পড়লে পুরো দুনিয়াই দেখতে রঙিন লাগে, তবুও প্রেমকে বলা হয় অন্ধ। আপনি যখন কারো প্রেমে পড়বেন, তখন তার কোনো দুর্বলতাই আপনার চোখে পড়বে না। আপনার কাছের মানুষেরা তার সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিরপেক্ষভাবে তারা আপনাকে কিছু বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। এমন নয়- তারা যা বলবেন সেটিই সত্যি। তবে তাদের কথায় কিছু বিষয় হয়তো বুঝতে পারবেন, যা এর আগে ভালোবাসার মোহে এড়িয়ে গিয়েছেন।

ঝগড়া হলে

ঝগড়া ছাড়া প্রেম যেন পানসে লাগে! সব জুটির ভেতরেই ঝগড়া হয়, মনোমালিন্য হয়। কিন্তু আপনার প্রেমিক এই ঝগড়াকে কিভাবে সামাল দেন সেটিই আসল বিষয়। যদি তিনি ঝগড়ার পরে দীর্ঘ সময় রাগ পুষে রাখেন বা কথা বন্ধ রাখেন তবে অদূর ভবিষ্যতে স্বামী হিসেবে তিনি তেমন একটা সুবিধার হবেন না!

আশাবাদী

জীবন অনিশ্চয়তায় ভরপুর। কখনো উথ্থান, কখনো পতন। কোনো মানুষই নিজের সমস্যার কথা কোন হতাশাবাদীর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান না। আপনার প্রেমিক কি অল্পতেই ভেঙে পড়েন কিংবা কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে একা ছেড়ে দেন? তাহলে তার সঙ্গে গাটছড়া বাঁধার আগে অবশ্যই আরেকবার ভেবে দেখুন।

সম্মান

সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকা সবচেয়ে জরুরি। প্রেমিক আপনাকে কতটা সম্মান করেন তার ওপর নির্ভর করে কতদিন আপনাদের সম্পর্ক বেঁচে থাকবে।

মনযোগী শ্রোতা

যদি প্রেমিকের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চান তবে লক্ষ করুন তিনি আপনার কথা শুনতে কতটা আগ্রহী। সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা তিনি আপনার কাছ থেকে কতটা মনযোগ দিয়ে শোনেন? যদি তিনি মনযোগী শ্রোতা হন, তবে নিশ্চিত থাকুন স্বামী হিসেবে ভালো হবেন।

সহযোগী

 

বিভিন্ন সমস্যায় তিনি কতটা সহযোগিতা করেন? ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিসের নানা সমস্যায় তিনি কি পাশে থাকেন? যদি থাকেন, চোখ বন্ধ করে আজীবনের জন্য তার হাতটি ধরতে পারেন।

ত্বকের পরিচর্যায় কিছু টিপস

ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়। সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে দিনের কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখা জরুরি। যে সময়টাতে আপনি একটুখানি যত্ন নিতে পারবেন নিজের। রইলো তেমনই কিছু রূপচর্চার টিপস।

ব্ল্যাকহেডস নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। দারচিনি গুঁড়া হাফ চামচ+১ চামচ ময়দার একটা প্যাক বানিয়ে নাকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এমনি এমনি ব্ল্যাকহেডস বেরিয়ে আসবে।

যাদের স্বাভাবিক অথবা তৈলাক্ত ত্বক তারা মসুর ডাল বাটা+চন্দন+টকদই দিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

যাদের বয়স ২৫ এর উপরে তারা কমলা লেবুর খোসার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কমলা লেবু বয়সের ছাপ দূর করে। ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসও চলে যায়।

যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা নিম পাতার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের নিম পাতার প্যাক পাওয়া যায়। বেছে নিন পছন্দ মতন।

বাইরে থেকে ফিরে মুখের ও হাত পায়ের পোড়া দাগ দূর করার জন্য টক দই লাগিয়ে নিন।

একদিন পরপর বাসায় স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ত্বকের গভীর হতে ময়লা বের হয়ে আসবে। চিনি, লেবু, চালের গুঁড়া সামান্য মধুর সাথে মেশালে খুব ভাল ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করে। সারা শরীরেই ব্যবহার করতে পারবেন।

টমেটো এবং গাজরের রস মুখের বয়সের ছাপ দূর করার জন্য অনেক উপকারী। আবার রোদে পোড়া ভাব কমাতেও কাজে আসে।

চিকেন টমেটো কারি তৈরি করবেন যেভাবে

শীত চলে এসেছে। এ সময় টমেটো বেশ সহজলভ্য। এ টমেটো দিয়ে রান্না করা যায় মজার সব খাবার। তেমনই একটি পদ হলো চিকেন টমেটো কারি। চাইলে তৈরি করতে পারেন আপনিও। রইলো রেসিপি।

উপকরণ : মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৩টি, পেঁয়াজকুচি ২টি, লবঙ্গ ১ চা চামচ, টমেটো কুচি ২টি, তেল ১/৩ কাপ, আদাবাটা ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ স্লাইস ২ টি, হলুদবাটা ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি : চামড়া ছাড়িয়ে হাড় বাদ দিয়ে মুরগি ৪ টুকরা করুন। প্রত্যেক টুকরার হাড় বের করে ছোট চৌকো টুকরা করুন। একটি গামলায় মাংসের সাথে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো বাটা মসলা কাঁচামরিচ, লবণ মেশান। ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে জিরা ছাড়ুন। পেঁয়াজ দিয়ে ভাঁজুন। পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে মাংস দিন। কড়া জ্বালে উল্টেপাল্টে ভাজুন। পানি শুকালে ধনেপাতা দিয়ে নামান।

সিঙ্গাড়া তৈরির সহজ রেসিপি

সিঙ্গাড়া শব্দটি শুনলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রতিদিন শহরের অলিগলিতে অসংখ্য দোকানে দেখা মেলে এই সিঙ্গারার। কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা সিঙ্গাড়া যে অতোটা স্বাস্থ্যকর নয়, তা আমাদের সবারই জানা। তবু সিঙ্গারা বলে কথা! মন তো খেতে চাইতেই পারে। আর সেজন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু সিঙ্গাড়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ:
ময়দা- ২ কাপ, মৌরি- ১/২ চা চামচ, জিরা- ১/২ চা চামচ, মেথি- ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজ ২ টি, কাঁচামরিচ- ৪-৬ টি, আদা ছেঁচা- ২ চা চামচ, জিরা টালা এবং গুঁড়ো- ১ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়ো- ১ চা চামচ, কালজিরা- ১ চা চামচ, আলু- ১/২ কেজি, লবণ- প্রয়োজনমতো।

প্রণালি:
আলু খোসা ছাড়িয়ে মটরের মতো ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তিন টেবিল চামচ তেল গরম করে মৌরি, জিরা ও মেথি একসাথে মিশিয়ে তেলে ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা ও একটি তেজপাতা দিয়ে ভাজুন ও আলু দিন। একটু ভাজা হলে এক চা চামচ লবণ ও তিন টেবিল চামচ পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করুন। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে যেন আলু ভাজা ভাজা হয় এবং একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়। জিরা ও দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

ময়দায় ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান দিন। কালজিরা মেশান। আধা কাপ পানিতে ১ চা চামচ লবণ গুলে এই পানি আন্দাজমতো দিয়ে ময়দা মথে নিন। খামির শক্ত হবে। এক ঘণ্টা রেখে দিন। খামির ভালো করে মথে ১২ ভাগ করে নিন। একভাগ ডিম এর আকারে বেলে ছুরি দিয়ে কেটে দু’ভাগ করে নিন (লম্বায় না কেটে পাশে কাটলে ভালো)। একভাগ দু’হাতে ধরে কোণ বা পানের খিলির মত ভাঁজ করুন। ভিতরে ভর্তি করে ঠেসে আলুর পুর দিন। খোলামুখে পানি লাগিয়ে ভালোভাবে এঁটে দিন প্যকেটের মতো। নীচের সুচালো অংশ একটু মুড়ে দিন। চওড়া মোড়ানো দিক উপরে দিয়ে সিঙ্গাড়া একটি থালায় সাজিয়ে রাখুন। এভাবে সব সিঙ্গাড়া তৈরি করে নিন।

কড়াইয়ে দেড় কাপ তেল মৃদু আঁচে অনেকটা সময় গরম করে নিন। আচ বেশি হলে সিঙ্গাড়া চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। অর্ধেক সিঙ্গাড়া একবারে তেলে ছাড়ুন। মৃদু আঁচে ১৫-২০ মিনিট ভাজুন। হালকা বাদামি ও মচমচে হলে নামিয়ে নিন। জিরা, তেঁতুলের চাটনি, মেয়েনেজ বা টমেটো সসের সাথে গরম সিঙ্গাড়া পরিবেশন করুন।

ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের যে বিষয়গুলো খেয়াল করে

পথ চলতে দেখা হয় কতজনের সঙ্গেই। কিছু দেখা থাকে বিশেষ। একটি ছেলে যখন একটি মেয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যায় তখন দুজনের মধ্যেই কাজ করে চাপা দুশ্চিন্তা। কিভাবে সাজলে ভালো লাগবে, কোন পোশাকে মানাবে সেসব বিষয় তো রয়েছেই। এর বাইরেও থেকে যায় আরো কিছু বিষয়। এমনই সাতটি বিষয়-

হাসি
কখনো কখনো কথার চেয়েও হাসি বেশি কার্যকর। এক্ষেত্রে মেয়েটির ঠোঁটের কোণে এক টুকরো উষ্ণ হাসি দেখলে বুঝতে পারবেন সে কথা বলতে ইচ্ছুক। সে মুখ চেপে হাসছে তার মানে হলো সে আপনাদের মধ্যকার কথপোকথন উপভোগ করছে। তাই প্রথম দেখায় একজন ছেলে আপনার হাসির দিকেই নজরে দেবেন।

আত্মবিশ্বাস
একজন নারীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার আত্মবিশ্বাস। একজন নারী যদি আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী হন, তবে তার এই বৈশিষ্ট্য পুরুষের নজর কাড়বেই।

সেন্স অব স্টাইল
আপনি ছয় ইঞ্চি হিল পরুন, গাঢ় মেকআপ করুন কিংবা হালকা কাজল চোখে একদমই সাদামাটা থাকুন- আপনার নিজস্ব স্টাইল দেখেই কিন্তু একজন ছেলে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পায়। তারা হয়তো পরবর্তীতে মনেও রাখতে পারবেন না আপনি ঠিক কোন কোন ব্রান্ডের পোশাক-অনুষঙ্গ পরেছিলেন। কিন্তু প্রথম দেখায় আপনাকে দেখতে কেমন লাগছিল তারা এটি অবশ্যই মনে রাখবেন।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য
ছেলেরা প্রকৃতিগত ভাবে এভাবেই তৈরি যে প্রথম দেখায় তারা একটি মেয়ের শারীরিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করবেনই। তাই একটি মেয়ে দেখতে কেমন সেটিও একটি বড় বিষয়!

বন্ধু
মেয়েটির বন্ধু কারা, কাদের সঙ্গে সে বেশি আন্তরিক সেদিকেও নজর রাখেন ছেলেরা। আপনার বন্ধুদের মুখে আপনার গল্প শুনতে তিনি পছন্দ করবেন। কারণ সেখান থেকে আপনার সম্পর্কে অনেককিছুই জানা যাবে।

চোখ
চোখকে বলা হয় মনের আয়না। ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের চোখের দিকে অবশ্যই লক্ষ করেন। নিঃসন্দেহে মনের না বলা অনেক কথাই চোখে প্রকাশ পায়। মেয়েটির চোখের ভাষা পড়তে পারলে ছেলেটি তার লুকানো অনেককিছু বুঝতে পারবেন!

ঘ্রাণ
অন্যকিছু মনে থাকুক বা না থাকুক, প্রথম দেখায় মেয়েটির গায়ের গন্ধ ছেলেরা সবসময়ই মনে রাখে। মেয়েটি হয়তো পাশে থাকবে না, কিন্তু অনেকবছর পরও একইরকম ঘ্রাণ নাকে এলে ছেলেটি কিন্তু সবার আগে ওই মেয়েটিকে খুঁজবে।

ভিন্ন স্বাদে চালতার আচার

চালতা এখন শহরেও সহজলভ্য। রাস্তাঘাটে কিনতে পাওয়া যায় চালতার আচার। কিন্তু তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। সুস্বাদু চালতার আচার তৈরি করতে পারেন ঘরেই। রইলো রেসিপি।

উপকরণ: বড় আকারের চালতা ২টি, চিনি ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় ৫০০ গ্রাম, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পাঁচফোড়ন গুঁড়া আধা চা-চামচ, মৌরি টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, সাদা ভিনেগার ১ কাপ ও বিট লবণ ১ চা-চামচ।

প্রণালি: চালতা টুকরা করে গরম পানিতে অল্প ভাব দিয়ে থেঁতলে নিতে হবে। তেল, গুড়, চিনি, লবণ, ভিনেগার একসঙ্গে চুলায় দিতে হবে। গুড় ও চিনি গলে গেলে চালতা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। পর্যায়ক্রমে বাকি উপকরণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। ঠান্ডা হলে বয়ামে ভরে রাখুন।

আপনার সুখের রহস্য কী?

সুখ আসলে কি? টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি থাকা মানেই কি সুখ? মোটেও না। যদি তেমনটা ভেবে থাকেন তবে বড্ড ভুল করছেন। টাকাই সব সুখ এনে দিতে পারে – এমন ভাবনার দিন শেষ।

সুখের জন্য আসলে যা যা দরকার তা সব সময় টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুখের জন্য যে পাঁচটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা আসলে টাকা দিয়ে অর্জন করা সম্ভব না।

অক্সফোর্ডের ইকোনমিকস এবং ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সোস্যাল রিসার্চ সাম্প্রতিক একটি জরিপের আয়োজন করে। সেখানে তারা ৮ হাজার ২৫০ জনকে একটি লিখিত প্রশ্ন দেয়। জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে ভালো থাকা মানে কী?

সেখানে আর্থিক অবস্থা, কাজের নিরাপত্তা, দৈনিক ঘুমের সময়, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে ৬০টি প্রশ্ন করা হয়।

এদের মধ্যে বেশিরভাগের উত্তরই ছিল ঘুম এবং যৌন সম্পর্কের বিষয়গুলোকেই তারা ভালো থাকার মূল উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এরপরেই এসেছে কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং সবচেয়ে কাছের কেউ বা প্রতিবেশীর সঙ্গে গল্প বা আলাপ করে সময় কাটানো।

অবাক হলেও সত্যিই যে কেউ আয় বা অর্থ উপার্জনকে ভালো থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেননি।

ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করার টিপস

ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নানা কারণেই ম্লান হতে পারে। তাই জন্মসূত্রে পাওয়া ফর্সা ত্বকও একটা সময় পর অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত যত্নের। রইলো তেমনই কিছু টিপস-

ত্বকের রং আরও উজ্জ্বল করার জন্য ত্বকে দই লাগিয়ে প্রায় বিশ মিনিট রেখে দিন তারপরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন লাগাবেন।

প্রথমে লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ সম পরিমাণে মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখুন প্রায় বিশ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সুন্দর হবে।

আধা টুকরা করা পাকা কলা নিন এরপর ভালোভাবে চটকে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা শসার রস মেশান। তারপর মুখে লাগিয়ে প্রায় আধাঘণ্টার মতো রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তারা এক চা-চামচ লাল মসুর এর ডাল গুড়া করে রাতভর দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন তারপর মুখে ও গলায় মাখিয়ে প্রায় বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

মেওয়া আর দুধ একসঙ্গে সুন্দর করে বেটে নিন। প্রতিদিন দুই মিনিট করে এই মিশ্রণ মুখে ও গায়ে মাখিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানিতে।

একটানা প্রায় ১৫ দিন এক চিমটে জাফরান ও কাঁচা দুধে মিশিয়ে মুখে লাগান প্রত্যেকদিন তারপর ফলাফল দেখুন।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মুগের ডাল গুড়ো করে সামান্য পানিতে ভিজিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে মুখ স্ক্রাব করুন কারণ ত্বকের উপরে মরে যাওয়া কোষের পরত জমে মুখের ত্বক অনেক কালো দেখায়।

তৈলাক্ত ত্বক হলে এক চা-চামচ কমলালেবুর শুকনো খোসা গুড়ো, এক চা-চামচ মেথি গুড়ো ও কমলালেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মুখে মাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

মধুর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন প্রায় পনেরো মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। মধু আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে এবং লেবু প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচিং করবে।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে চন্দন, মালাই আর সামান্য হলুদ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। তাতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

এসি যেভাবে আপনার শরীরের ক্ষতি করছে!

ঘরের ভেতরের পরিবেশ শীতল রাখতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালে দরকার না পড়লেও বছরের অন্যান্য সময় এসি ছাড়া চলা মুশকিল। বিশেষ করে অফিসে কিংবা গাড়িতে এসি ছাড়া এক মুহূর্তও কাটানো সম্ভব নয়। কিন্তু জানেন কি এই এসিই হতে পারে আপনার অনেকগুলো শারীরিক অসুস্থতার কারণ?

রুক্ষ ত্বক ও চুল
তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় এবং তা রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। ফুলে খুশকি, স্ক্যাল্পে চুলকানিসহ চুলেরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হচ্ছে এসির কারণে ঘরের ভেতর একরকম তাপমাত্রা, বাইরে আরেকরকম। আর এর সম্পূর্ণ প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চুলে।

ডিহাইড্রেশন
অতিরিক্ত সময় এসির মধ্যে থাকলে তা অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্দি-কাশি
আপনার যদি ইতিমধ্যেই সর্দি-কাশি লেগে থাকে, তবে এসির কারণে তা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। এসির ঠান্ডা বাতাস আমাদের শরীরের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে সাধারণ অসুখগুলোকেও দীর্ঘ সময় ধরে ভালো হতে দেয় না।

অলস
শরীরের জন্য দরকার সতেজ বাতাস। শরীরে সঠিকভাবে বিপাকের জন্যও দরকার সতেজ আলো-বাতাস। কিন্তু এসির কৃত্রিম ঠান্ডা বাতাসে তা সম্ভব নয়। তাই যারা দীর্ঘ সময় এসির ভেতরে থাকেন তারা অনেকটাই অলস হয়ে পড়েন।

ড্রাই আই
অতিরিক্ত সময় এসির ভেতরে থাকার আরেকটি ফল হতে পারে ডাই আই বা চোখের শুষ্কতা। দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারণেও এটি হতে পারে।

মাথাব্যথা
যদি আপনি প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে সেজন্য এসিকে দায়ী করতে পারেন।