রাজধানীতে চলছে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি মেলা

রাজধানীতে চলছে তিন দিনব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি মেলা ও কর্মশালা। রোববার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

মেলায় দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৫টি স্টলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং প্রকল্প প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে এ মেলা।

জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন কেএফডাব্লিউর সহযোগিতায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কম্পানি লিমিটেড (ইডকল) এ মেলা ও কর্মশালা আয়োজন করেছে। সহ-আয়োজক অল্টারনেটিভ এনার্জি প্রমোশন সেন্টার (এইপিসি), নেপাল।

তিন দিনের এ কর্মশালায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, অর্থায়নকারী, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের নিয়ে এ প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ প্রযুক্তির প্রসার, বাজার সৃষ্টি, অর্থায়ন, নীতি-নির্ধারণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করা।

কর্মশালায় ১৫টি দেশের প্রায় ৫০ জন এবং স্থানীয় ৮০ জন যোগ দিচ্ছেন। এতে নবায়নযোগ্য শক্তি সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

টাকার জন্য লাশ আটকে রাখা যাবে না

চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ না করার ব্যর্থতায় মৃত ব্যক্তির লাশ কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি রাখার কোনো সুযোগ নেই মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সারাদেশের সকল হাসপাতালে ও ক্লিনিককে টাকার জন্য লাশ জিম্মি না রাখার বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধে একটি তহবিল গঠন করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নাবিল আহসান।

২০১২ সালের ৮ জুন মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে অসচ্ছ এক ব্যক্তি তার সন্তানকে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সন্তানটি মারা গেলে ২৬ হাজার টাকা বেশি বিল দাবি করে লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে পরে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওই রিটের শুনানিতে রুল জারি করেন আদালত। আজ ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই রায় দেন।

রায়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইলামকে সিটি হাসপাতাল ৫ হাজার টাকা দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।