গুগল অ্যাডসেন্সে বাংলা ভাষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ৪ ডিসেম্বর

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অ্যাড নেটওয়ার্ক ‘গুগল অ্যাডসেন্স’-এ যুক্ত হয়েছে ‘বাংলা ভাষা’। গত ২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে গুগল তাদের নেটওয়ার্কে বাংলা ভাষা যুক্ত করেছে। এবার ঢাকায় বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে গুগল।

২০০৩ সালে চালু হওয়া ‘গুগল অ্যাডসেন্স’র শুরুর পরই বিজ্ঞাপন সুবিধা থেকে পিছিয়ে ছিল বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটগুলো। তবে বাংলা ভাষার সাইটগুলোতে অ্যাডসেন্স চালুর করায় লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর (সোমবার) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে গুগল। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কিছু বিবেচনা গুগল এ অ্যাডসেন্স চালু করে।

বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু হওয়ার ফলে এ সংখ্যায় নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে-ভারতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স চালু করা হয়েছে।

দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশের মানুষের হাতে ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার মোবাইল সিম রয়েছে। যাদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার (মোবাইল সিম) ও ৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার (ইন্টারনেট)।

গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ ১৫ হাজার। যা বেড়ে এ বছর ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮২ হাজারে পৌঁছেছে।

 

অন্যদিকে রবির গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার। চলতি বছর রবি ও এয়ারটেল একীভূত করার পর এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ১১ হাজার।

বাংলালিংকের গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজারে।

সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক ছিল ২৯ লাখ ৮৯ হাজার। যা বেড়ে ৩২ লাখ ৪১ হাজারে পৌঁছেছে।

 

তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ থাকলেও এবার তা কমে ৯০ হাজারে হয়েছে।

এছাড়া আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার। এবছর এই সংখ্যা বেড়ে ৫৩ লাখ ২১ হাজারে পৌঁছেছে।

 

এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে যারা বিগত ৯০ দিনের মধ্যে একবার হলেও সিম চালু করে হলেও ভয়েসকল, ইন্টারনেট কিংবা এসএমএস করেছেন তাদের অন্তর্ভু্ক্ত করা হয়েছে।

প্রতি একমাস পর পর বিটিআরসি দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের সংখ্যার তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু

বাংলাদেশের প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ রেস্টুরেন্টে কোনো মানুষ নয়, কেবল রোবটই কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করছে। রাজধানীর মিরপুর রোডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং আসাদ গেটের কাছে প্রধান সড়কের ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এ রেস্টুরেন্টটির অবস্থান।

বুধবার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অডিটরিয়ামে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাত্রা শুরু উপলক্ষে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে এটিই এ ধরনের প্রথম রেস্টুরেন্ট যেখানে রোবটের মাধ্যমে কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক এবং নতুন দিগন্তের সূচনা করলো। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা করবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।

 

শিশুদের বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েটাররা কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই ক্লান্ত অবস্থায়ই তারা কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রোবট কখনোই ক্লান্ত হবে না। তাই যখন রোবট খাবার সরবরাহ করবে তখন এটি কাস্টমারকে আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। সেটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পরিবেশও তৈরি করবে। বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে যাতে সব শ্রেণির মানুষই এ সেবা নিতে পারেন। শিশুদের জন্য আমাদের বিশেষ কিছু খাবার থাকছে। এবং আমরা খাবারের মান ও পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই বজায় রাখা হবে। যাতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কেউ এখানে খেতে আসতে পারেন।’

যারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকেই রোবটের কার্যক্রম দেখেন। উপস্থিত সবার জন্যই এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।

 

রেস্টুরেন্টটির পরিচালক আরো বলেন, একজন ওয়েটারের পক্ষে সব সময় খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করা ও জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই আমরা রোবট দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছি। রেস্টুরেন্টটিতে প্রাথমিকভাবে দুইটি রোবট কাজ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী, এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ, কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার তানভিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে রোবট ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে কোনো সহযোগিতা করার জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত।

 

যে কারণে এ উদ্যোগ

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুন নবী মজুমদারের দুই সন্তান তাসিন রওনাক নবী এবং রাহিন রাইয়ান নবী বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত অবস্থায় চীন সফরে যান। সেখানে গিয়ে তারা চীনের রোবট দ্বারা খাবার সরবরাহ পদ্ধতি দেখে আকৃষ্ট হন। তারা তখন সংশ্লিষ্ট রোবট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়ার্জ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টে চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশে চালু করা হয়।

সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় আগামী এক মাসের জন্য শিশুদের ‘কিডমিল’ এবং দেশীয় খাবারের সেট ফুড পরিবেশন করা হবে। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকার বেশি হবে না।

নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বাংলালিংক ইনোভেটর

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নতুন প্রজন্মকে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ দিতে বাংলালিংক শুরু করেছে পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা “বাংলালিংক ইনোভেটর”। অভিনব এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা বাংলালিংকের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পাবেন।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মঞ্জুলা মোরশেদ, হেড অব ট্যালেন্ট অ্যাকিউজিশন মোস্তফা রায়হানুল আলম ও কমিউনিকেশন ডিরেক্টর আসিফ আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী প্রতিযোগীদের বিনোদন, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, ক্লাউড কমপিউটিং ও এআই বিষয়ক অভিনব ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। প্রতিভাবান প্রতিযোগীদের বাছাই করে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে “বাংলালিংক ইনোভেটর”। সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত বিজয়ী দল পাবেন ৫ লাখ টাকা পুরস্কারসহ বাংলালিংকের “স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম”-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে সরাসরি যোগদানের সুযোগ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ পাবেন যথাক্রমে ৩ লাখ ও ১ লাখ টাকা।

বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোরর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মঞ্জুলা মোরশেদ বলেন, “দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা সম্ভাবনাময় তরুণদের জন্য একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই যাতে তারা তাদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে পারে এবং ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, সম্ভাবনাময় এই তরুণরা ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম’- এর মাধ্যমে বাংলালিংকের ক্রমন্নোতিতেও অবদান রাখতে পারবে।”

বাংলালিংকের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর আসিফ আহমেদ বলেন, “প্রতিভাবান তরুণদের জন্য অভিনব এই প্ল্যাটফর্ম আনতে পেরে আমরা গর্বিত। তরুণদের অভিনব বিভিন্ন পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তা সমাজের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনযাত্রার পরিবর্তনে বিশ্বাসী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা অতীতেও এ ধরনের অভিনব প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছি। এবারের আয়োজনে আমরা বিপুল সাড়া ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।”

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে www.banglalink.net/en/ennovators ঠিকানায়। রেজিস্ট্রেশন করার সময় ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

গুগল প্লে স্টোরে নেই ইউসি ব্রাউজার!

গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হল ইউসি ব্রাউজার। ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচারের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। অ্যাপটির মালিকানায় ছিল চীনের ইন্টারনেট জায়ান্ট আলিবাবার ইউসিওয়েব।

মূল ব্রাউজারটি সরিয়ে ফেললেও প্লে স্টোরে এখানো ইউসি মিনি ব্রাউজার পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, এই ব্রাউজার গোপনে চীনের সার্ভারে তথ্য পাচার করছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ভারত সরকার। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এনিয়ে গুগলের কাছে অভিযোগ করা হয়। এরপরই প্লে স্টোর থেকে ইউসি ব্রাউজার সরিয়ে ফেলে গুগল।

উল্লেখ্য, ডাউনলোডের দিক দিয়ে গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল ইউসি ব্রাউজার। প্লে স্টোর থেকে ৫০ কোটিরও বেশি বার ব্রাউজারটি ডাউনলোড করেছেন ব্যবহারকারীরা।

আইফোনের ফেস আইডি হ্যাক!

বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা ফিচার হিসেবে টাচ আইডির পরিবর্তে আইফোন ১০-এ ব্যবহার করা হয়েছে ফেস আইডি। তবে এই ফিচার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সহজেই এটি বাইপাস করা সম্ভব। যদিও অ্যাপল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিবারই।

এবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে ভিয়েতনামের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘বিক্যাভ’। প্রতিষ্ঠানটি ১৫০ ডলারেরও কম মূল্যের থ্রিডি প্রিন্টেড মুখোশ ব্যবহার করে খুব সহজেই ফেস আইডি আনলক করে দেখিয়েছে।

পুরো ব্যাপারটি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিক্যাভ। এতে দেখা গেছে, এই মুখোশে চোখের জায়গায় দুটো চোখের ছবি বসানো আছে। একইভাবে আছে নাক ও মুখের ছবি। মুখোশের মাধ্যমে আনলক করার পর প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজের চেহার দিয়েও ফোনটি আনলক করেছেন।

ফেস আইডি হ্যাকিংয় বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, ফোনের সামনে মুখের ছবি ধরে ফেস আইডি আনলক করা সম্ভব নয়। কারণ আনলক করার সময় আইফোন ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করে যা থ্রিডি ইমেজ স্ক্যান করার মাধ্যমে আনলকের কাজটি করে থাকে। থ্রিডি ইমেজ না হলে কোনোভাবেই ফোন আনলক করা সম্ভব নয়।

তবে ফেস আইডি হ্যাকিংয়ে বিক্যাভের পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফোনটির ফেস আইডি যদি শুরুতেই ওই মুখোশ ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হয়ে থাকে, তাহলে মুখোশ দিয়ে আনলক করা যাবে, এমনটাই স্বাভাবিক। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বিক্যাভ।

অন্যদিকে ভিডিওতে প্রথমবারেই মুখোশের মাধ্যমে ফেস আইডি আনলক করার বিষয়টি দেখানো হলেও একবার নাকি একাধিকবার চেষ্টা করে বাইপাস করা সম্ভব হয়েছে কিনা, তাও জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এসব প্রশ্ন থাকলেও পুরো ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, কোন না কোনোভাবে ফেস আইডি হ্যাক করার আরও উন্নত প্রযুক্তি ঠিকই বের করে নেবে সাইবার অপরাধীরা।

বিক্যাভের মতে, সাধারণ ব্যবহারকারীরা নয়, এক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

৯ বছরের অর্জন তুলে ধরা হবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ শুরু হচ্ছে ৬ ডিসেম্বর। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পঞ্চম বারের মত এটি আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ আয়োজনের বিস্তারিত জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতি বছর তিন দিন করে হলেও এবার আইটি সংশ্লিষ্টদের দাবির প্রেক্ষিতে উৎসব চার দিনব্যাপী করা হয়েছে। এছাড়া এবারের উৎসবে গত ৯ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আগতরা জানতে পারবেন আমাদের আইসিটি খাত কতটা উন্নতি করেছে।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ৭০ জন বিদেশি এবং শতাধিক স্পিকার ২৯টি সেশনে অংশ নেবেন। এতে গুগল, ফেসবুক, নুয়ান্স, অ্যাংরিবার্ড, কোয়ালকম এবং মটোরোলাসহ পৃথিবীর শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে কানেকটিভিটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ২৮টি হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। আইসিটি খাতে ২০০৮ সালে রফতানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। নয় বছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়নে। বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে তথ্যপ্রযু্ক্তি সেবা।

৬-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতি দিন সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। এতে প্রবেশের জন্য কোনো ফি লাগবে না। তবে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের স্লোগান ‘রেডি ফর টুমরো’। উৎসবের বাজেট ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

আরও তিন দেশের দায়িত্বে সোনিয়া বশির কবির

নতুন করে আরও তিনটি দেশের দায়িত্ব পেয়েছেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোনিয়া বশির কবির। দেশগুলো হলো নেপাল, ভুটান ও লাওস। এখন থেকে তিনি এই চার দেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার মাইক্রোসফটের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিশ্রুতিময় ও বহুমুখী এই ভূমিকায় আগামী দিনগুলোতে সোনিয়া বশির কবির এই চার দেশে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের লক্ষ্যপূরণ সংক্রান্ত ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মূল লক্ষ্য হলো লোকবল, তথ্য ও পদ্ধতিকে একত্রীকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল জগতে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকা। তিনি এ দায়িত্ব পালনকালে সরকারি, বেসরকারি ও পার্টনার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে আসন্ন প্রযুক্তি বিপ্লব সংক্রান্ত অবকাঠামোভিত্তিক কাজ করবেন।

আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও লাওসের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৭.১, ৬.৯, ৬.৯ ও ৬.৫ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রগতিশীল উৎপাদনকারী খাত স্থানীয় অর্থনীতি অনেকাংশে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পেরেছে, যা আরও বেশি মানুষের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করছে। উল্লিখিত দেশগুলো ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও মাইক্রোসফট ও এর পার্টনাররা প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে, প্রতিটি মানুষকে দক্ষ করে তোলা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও বেশি মুনাফা অর্জনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটসের জেনারেল ম্যানেজার মাইকেল সিমন্স বলেন, ‘ইমার্জিং মার্কেটের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মাইক্রোসফটের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। উল্লিখিত দেশগুলোতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা ব্যাপক যার ফলে দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ইমার্জিং মার্কেটে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সোনিয়া বশির কবিরের অভিজ্ঞতা দারুণভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ ব্যাপারে সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘কয়েকটি দেশের যে নতুন দায়িত্ব আমি পেয়েছি তা নিয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের যাত্রা নিয়ে আমি বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রতিটি মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড ও ইন্টেলিজেন্ট নতুন প্রান্তের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব।’

মাইক্রোসফটে কাজের পাশাপাশি সোনিয়া বশির কবির জাতিসংঘের আওতাভুক্ত টেকনোলজি ব্যাংক ফর ডেভেলপড কান্ট্রিজ (এলডিসিএস)-এর গভর্নিং কাউন্সিল মেম্বর হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি সপ্তাহে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) সংক্রান্ত সেরা ১০ পথিকৃতের একজন হিসেবে সোনিয়া বশির কবিরকে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তিনি ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জয় করেন। বিশ্বব্যাপী মাইক্রোসফটে চাকরিরত প্রায় এক লাখ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ১০ জনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে।

এরিকসন বাংলাদেশের ২০ বছর পূর্তি

কৃষি, স্বাস্থ্য এবং আধুনিক জীবন যাপনে বাংলাদেশ কেমন প্রযুক্তিময় হবে তারই বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখালো এরিকসন বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এরিকসনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এই টেকনোলজিক্যাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

প্রদর্শনীতে এরিকসনের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেন এরিকসনের বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার প্রধান টড এসটন। তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করেছি। আমাদের ধারণা, উদ্ভাবনী তথা বৈপ্লবিক প্রযুক্তিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ফলে দৈনন্দিন জীবন, ব্যবসা ও সমাজের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের পথ উন্মোচিত হয়েছে।’

ফেসবুক ইভেন্টে আলোচনার শীর্ষে বাংলাদেশের কার্নিভাল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ থেকে গত ছয় মাসে যত ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে তার মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে বাইক কার্নিভাল। বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন বিশ্লেষক পাবলিশিং কোম্পানি সোশ্যাল বেকারস সর্বশেষ ১৮০ দিনের সবচেয়ে আলোচিত তিনটি ইভেন্টের নাম প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা বাইক কার্নিভাল ২০১৭ নামের ইভেন্ট সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই ইভেন্টে মোট ৯ লাখ ২১ হাজার ৭৩৩ জন রিচ করেছেন। এর মধ্যে ২১ হাজার ১৯৮ জন রেসপন্স করেছেন। যেখানে একই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইভেন্ট এক তৃতীয়াংশের নিচে অবস্থান করছে।

গত ১০ নভেম্বর থেকে দুইদিনব্যাপী বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাইক কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। বাইকবিডির আয়োজনে ও ইয়ামাহার (এসিআই মটরস) সৌজন্যে এই কার্নিভালে নজর কাড়া বাইক র্যালি, আকর্ষণীয় বাইক গেম শো, কালচারাল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ছিল মন মাতানো কনসার্ট।

অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হিসেবে ছিল ভারত থেকে আগত লেডি বাইকার গ্রুপ, যারা মটরসাইকেল নিয়ে নানা নৈপুণ্য দেখান। কনসার্টে অংশ নিয়েছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড নেমেসিস, এলআরবিসহ আরও অনেকে।