রাবির ‘অপহৃত’ ছাত্রীকে ঢাকায় উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সামনে থেকে অপহৃত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীকে ঢাকায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

তাদেরকে রাজশাহীতে আনা হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।

গতকাল শুক্রবার সকালে পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে তাপসী রাবেয়া হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। পরে তার সাবেক স্বামীসহ কয়েকজন তকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়।

ওইদিন সন্ধ্যায় নগরীর মতিহার থানায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই ছাত্রীর সাবেক স্বামীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে রাতে তার সাবেক স্বামীর বাবাকে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে জানান, উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় শাবি প্রেস ক্লাবের নিন্দা

রাজশাহীতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব’।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসান আদিব, এসএ টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি জিয়াউল গণি সেলিম এবং এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন আবু সাঈদের ওপর থেকে অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান শাবি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।

শনিবার শাহজালাল বিশবিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৯ নভেম্বর এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন এবং ১০ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘রাবি ও রুয়েটে ইয়াবা ব্যবসায় ৪৪ শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মচারী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ।

কিন্তু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কিংবা সত্যতা চ্যালেঞ্জ না করে সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়েরের ঘটনাই প্রমাণ করে মামলার বাদীরা নৈতিকভাবে কতটা দুর্বল।

মূলত সাংবাদিকদের হয়রানি এবং আইনের আশ্রয় নিয়ে সম্ভাব্য শাস্তি এড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশর স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও স্বাধীকার আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পদধারী দু’জন নেতার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিশাখার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও এসব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা না নেয়াটা আরও দুঃখজনক।

অবিলম্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা প্রত্যাহার করা এবং নিকৃষ্ট ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে দেশকে মাদকমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

সাংবাদিককে মারধরকারী সেই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সাংবাদিক মারধর এবং পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটকের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন।

সাব্বিরকে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হওয়ায় এবং কাননকে সাংবাদিক মারধরের দায়ে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন-এর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত আর কোনো কাজ করবে না বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত দুজনের মধ্যে অন্যজনের বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাস ভাঙচুরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধরের শিকার হন ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি আরাফাত রহমান। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক মারধরের দায়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে বহিষ্কার করা হয়।

অন্যদিকে, ১৮ জুলাই রাজশাহীর মোহনপুরে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। ওই ঘটনায় তিনদিন পর ২১ জুলাই সাব্বির হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ঢাবিতে বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন

‘টয়লেট ডে ২০১৭-এ আমাদের অঙ্গীকার, পারফেক্ট হোক টয়লেট ব্যবহার’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালিত হলো বিশ্ব টয়লেট দিবস। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

প্রাত্যহিক জীবনে পরিচ্ছন্ন টয়লেটের ব্যবহার, সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কানের প্রয়োজনীয়তা এবং সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করে হারপুন লিকুইড টয়লেট ক্লিনার। এতে অংশগ্রহণকারীরা টয়লেট ব্যবহারে সচেতনতার জন্য ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, টিএসসি পরিচালক মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, কাজী এন্টারপ্রাইজের হেড অব সেলস সোহেল হাওলাদার এবং ব্রান্ড ম্যানেজার সাজফিনা সিরাজ প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান দিবসটির গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০০১ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে জাতিসংঘ এ দিবসটিকে ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ র্যালিটির মুখ্য উদ্দেশ্য হলো টয়লেট ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করে তোলা, টয়লেটের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের মধ্যদিয়ে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে মানুষ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে। একই সঙ্গে মানুষ সচেতন হয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। সভ্যসমাজে একজন মানুষের বাসার টয়লেটের অবস্থা দেখে খুব সহজেই তার ভদ্রতাজ্ঞান, সভ্যতাজ্ঞান যাচাই করা যায়।

ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ছাত্রীদের কমনরুম উদ্বোধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ৬ষ্ঠ তলা থেকে ১২তম তলা সম্প্রসারণের নির্মাণকাজ এবং এই ভবনে ছাত্রীদের কমনরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার এ নির্মাণ কাজ ও ছাত্রীদের কমনরুম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এ উপলক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ সময় অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ভবন সম্প্রসারণের অংশে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনায় ডিনকে ধন্যবাদ জানান।

নারীশিক্ষার প্রাচীন অবস্থার সঙ্গে সমসাময়িক বাস্তবতার তুলনা করে উপাচার্য বলেন, নারীরা বিভিন্ন সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে সত্য সুন্দরের দর্শনে জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে নারী জাগরণের বিভিন্ন বার্তা রয়েছে এবং এটি অনুপ্রেরণামূলক।

সত্যের জয় প্রসঙ্গে উপাচার্য সাম্প্রতিক ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি প্রদানের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজও সকল মানুষকে অনুপ্রাণিত করে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ।

পরে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে কবিতা আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য ও সংগীত পরিবেশিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে।

রাজশাহীর তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, চবিসাসের নিন্দা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আদিব হাসানসহ রাজশাহীর তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

রোববার চবিসাস সভাপতি আশহাবুর রহমান শোয়েব ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর হাসান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

তারা বলেন, গত ৯ নভেম্বর এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন এবং ১০ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘রাবি ও রুয়েটে ইয়াবা ব্যবসায় ৪৪ শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মচারী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ছিল যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ। কিন্তু এরপরেও শুধুমাত্র সাংবাদিকদের হয়রানি এবং আইনের আশ্রয় নিয়ে সম্ভাব্য শাস্তি এড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা করা হয়।

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পদধারী দু’জন নেতার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক জানিয়ে তারা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিশাখার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা না নেয়াতে আমরা হতবাক।

এ সময় তারা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। পাশাপাশি নিকৃষ্ট ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় এনে দেশকে মাদকমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানাচ্ছে চবিসাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে নর্থ সাউথের বিতর্ক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ)। এতে পুরনো তথ্য-উপাত্তসহ নানা ধরনের ক্রটি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও আনা হয়েছে। এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

রোববার এনএসইউর নিজস্ব ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাংকিংয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে র‌্যাংকিংয়ের কাজে বিভিন্ন সূচকে দেয়া নম্বর বিশ্লেষণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এনএসইউর তুলনা করা হয়।
বলা হয়, বাস্তবভিত্তিক তথ্যের বিভিন্ন মানদণ্ডে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নম্বর প্রদানে বৈষম্য করা হয়েছে। গবেষণায় ব্যবহƒত বাস্তবভিত্তিক তথ্য ২০১২ সালের। পুরানো এ তথ্যে ৬০ শতাংশ নম্বর দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ধারণাগত দিকে ২০১৭ সালের পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়েছে। এটা গবেষণার পদ্ধতিগত ভুল।

কেননা ২০১২ সালের তথ্যের সঙ্গে বর্তমানের কোনো মিলই নেই। গবেষণা কর্মে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন না। যে কারণে গাণিতিক বিশ্লেষণে ভুল হয়েছে।

দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড প্রায় একবছর ধরে র‌্যাংকিং তৈরির কাজ পরিচালনা করে। দেশের খ্যাতিমান এক শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের একটি উপদেষ্টা কমিটি গবেষণার সূচক নির্ধারণ করেন। সে আলোকে র‌্যাংকিং তালিকা গত ১০ নভেম্বর প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় বিবেচ্য সব ধরনের সূচক পূরণ করে এমন ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে র‌্যাংকিং করা হয়। সে অনুযায়ী র‌্যাংকিংয়ে প্রথমে স্থান পায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তৃতীয় স্থানে ইন্ডিপেনডেন্ট, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রয়েছে।

গবেষণায় ধারণাগত ও বাস্তবভিত্তিক নামে প্রধান দুটি সূচক ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে ধারণাগত স্কোরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি শীর্ষে অবস্থান করে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।

অপরদিকে বাস্তবভিত্তিক স্কোরে শীর্ষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট, তৃতীয় স্থানে নর্থ সাউথ। ধারণাগত স্কোরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি (এনএসইউ) অবশ্য কোনো আপত্তি জানায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাংকিংয়ের বিভিন্ন দিকের পর্যালোচনা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্টাডিজ দফতরের পরিচালক অধ্যাপক শরীফ নুরুল আহকাম। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ডিন আবদুর রব খান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক বেলাল আহমেদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক ইসলাম বলেন, আমরা এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছি না। এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ইচ্ছাও নেই। দেশে ভালো র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে ওআরজি কোয়েস্ট যে গবেষণা করেছে সে জন্য অভিনন্দন জানাই। এতে ইতিবাচক প্রতিযোগিতার পথ সুগম হবে। কিন্তু যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তাতে ক্রটি আছে। বিভিন্ন সূচকে যে নম্বর প্রদান করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই এই র‌্যাংকিংয়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার অধিকার আমাদের আছে।

তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। তারা ভালো করলে আমরা অভিনন্দন জানাব। কারো পা কেটে আমরা লম্বা হতে চাই না। বরং আমার ক্রটি দূর করেই বড় হতে চাই।

জবিতে ভর্তি শুরু ২১ নভেম্বর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তি ২১ নভেম্বর শুরু হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে জবির ‘এ’, ‘বি’ ও ‘ই’ ইউনিটে ১ম, ২য়, ৩য় ও চতুর্থ মেধাক্রম অনুযায়ী স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তির জন্য ‘শিওর ক্যাশ’ এর মাধ্যমে আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ বিভাগে টাকা এবং প্রয়োজনীয় সনদপত্রাদি জমা দিতে হবে।

একইভাবে ‘সি’ ইউনিটের বিবিএতে ভর্তির জন্য আগামী ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এবং ‘ডি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ বিভাগে টাকা ও সনদপত্রাদি জমা দিতে হবে।

ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (jnu.ac.bd এবং admissionjnu.info) পাওয়া যাবে।

ইবিতে আসন প্রতি লড়াই ৩৯ জনের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন ভর্তিচ্ছু ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

এ বছর মোট ২২৭৫টি আসনের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সূত্রে আরও জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ গত ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গতকাল ১৯ নভেম্বর শেষ হয়।

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া ইউনিট ভিত্তিক হিসেবে দেখা গেছে ‘এ’ ইউনিটে ২৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০৮২ জন।

‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৯ জন। ‘বি’ ইউনিটে ৪২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৪ হাজার ৩৯৮ জন। ‘বি’ ইউনিটে একটি আসনের জন্য লড়বে ৩৬ জন ভর্তিচ্ছু।

‘সি’ ইউনিটে ৩৭৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৪৩৫জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবে ৪৭ জন শিক্ষার্থী। ‘ডি’ ইউনিটে ২৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৬ হাজার ৬৪৬ জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনের জন্য লড়বে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৭ জন শিক্ষার্থী।

‘ই’ ইউনিটে ২০০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১২ হাজার ৯৬৬ জন। প্রতি আসনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবেন এই ইউনিট থেকে।

‘এফ’ ইউনিটে ১০০ আসনের বিপরীতে ৩ হাজর ৭৫৯ জন আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

‘জি’ ইউনিটে ৪৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯ হাজার ১১৮ জন। এতে প্রতি আসনে লড়বে ২১ জন ভর্তিচ্ছু। ‘এইচ’ ইউনিটে ২৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১০ হাজার ৭৩১ জন ভর্তিচ্ছু। এইচ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবেন ৪৫ জন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্য দিয়ে দেশসেরা মেধাবীদের ভর্তির মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

পুলিশ প্রশাসনকে শাবি কর্তৃপক্ষের কৃতজ্ঞতা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় ভর্তি কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবাবের সকল সদস্য, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভুল বোঝাবুঝিকে পুঁজি করে কোনো মহল যাতে হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সজাগ রয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন দু-একটি সেন্টারে যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল তা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। তবে প্রচলিত বিধি অনুসারে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্র প্রধানকে অবহিত করে দায়িত্ব পালনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যথাযথভাবে পালন করা হলে এই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে।

ভর্তি পরীক্ষার মূল কার্যপরিধির বাইরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুম মুনিরা নগরের মেজরটিলা আল আমীন ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গেলে কর্তব্যরত শিক্ষকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা এবং পুলিশ প্রশাসন সবাই সরকারের লোক। ভর্তি পরীক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেন।