অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকার অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে। তিনি বলেন, দেশের অনলাইন গণমাধ্যমগুলো অবাধ তথ্যপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং সরকার অনলাইন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে। সদ্যপ্রণীত নীতিমালা এ ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনার কাজ করবে।

রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (বিওএমএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপোর্টালগুলোকে যেমন গণমাধ্যমের পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে, তেমনি সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচার, চরিত্রহনন, গুজব ও উস্কানি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

বিওএমএ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আলতাফ মাহমুদ ও মহাসচিব সৌমিত্র দেব এ সময় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণীত হওয়ায় তথ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ও নীতিমালাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে দ্রুত গেজেট প্রকাশের অনুরোধ করেন।

সভায় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নকালে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ‘বিওএমএ’সহ সব অংশীজনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

বিওএমএ নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আব্দুর রহিম খান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, মো. মাসুদ ও সাজ্জাদ হোসেন আপোষ, যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লুৎফুর রহমান, দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক খান মো. নকিব, সহ-প্রচার সম্পাদক আফরোজা বেগম শিরিন, নির্বাহী সদস্য কুরছিয়া পারভীন জুঁই ও কামরুজ্জামান হিমু মতবিনিময়ে অংশ নেন।

আসিকের মুক্তি দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

ডেইলি অবজারভারের ফটোসাংবাদিক আসিক মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

একই সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহার ও আসিককে মুক্তি না দিলে পল্টন থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়।

আসিককে মুক্তি দেয়া না হলে পুলিশের কর্মসূচি বর্জনের জন্য ফটোসাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফরহাদ ভাইয়ের সন্তান আসিককে নিয়ে পুলিশ নাটক করছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ছাড়া না হয় তাহলে পল্টন থানা ঘেরাও করা হবে। তাকে যদি না ছাড়া হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাবার পেশায় কর্মরত আসিকের মুক্তি দাবি করছি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বনোয়াট।’

তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকার ও আওয়ামী লীগকে হেয় করার জন্য পুলিশ এ কাজ করেছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।’

মধ্যরাতে রাস্তা থেকে আসিককে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমরা এমন ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। যদি এরপরও আসিককে মুক্ত করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে সব কালো আইন বাতিলসহ আসিকের মুক্তি চাই। আমরা জানি এটা সাজানো নাটক। এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি করছি। যদি আসিককে মুক্তি না দেয়া হয় তাহলে সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।’

সম্প্রতি একের পর এক সাংবাদিকদের ৫৭ ধারায় আটক বিষয়ে ডিআরইউ সভাপতি আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী এই আইনটি বাতিলের একটি বিল আনবেন বলেছিলেন, কিন্তু আনেননি।’ আগামী ১২ জুলাই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন তিনি।

ফটোসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘আমরা আসিকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই ও পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করছি।’

সমাবেশে ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানিসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে আবারও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

অন্যদিকে দৈনিক সকালের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার সমালোচনা করে বক্তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

তারুণ্যকে জাগিয়ে জাগো এফএম তৃতীয় বছরে

‘এবার জাগো’স্লোগানকে ধারণ করে তারুণ্যকে জাগাতেই জাগো এফএম ৯৪.৪ এর পথচলা। তারুণ্যদীপ্ত উদ্যম নিয়ে দু’বছর আগে যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা যেন তৃতীয় বছরে পা রেখে পূর্ণতা দিতে পেরেছে। কোটি তরুণের তেজদীপ্ত সঙ্গী আজ জাগো এফএম ৯৪.৪ রেডিও স্টেশনটি।

২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে জাগো এফএম ৯৪.৪। একই সময়ে রেডিওটি পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারেও আসে। জাগো এফএম ৯৪.৪ রেডিও স্টেশন তারুণ্যের আবেগ এবং চাহিদার দিকে গুরুত্ব দিয়ে খেলাধুলা, সমসাময়িক জনপ্রিয় গান ও নানা রকম বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে।

জাগো এফএম ৯৪.৪ এর মূল স্লোগান ‘এবার জাগো’। গত দু’বছরে জাগো এফএম ৯৪.৪ বাংলাদেশের সব খেলাসহ এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো সফলতার সঙ্গে সম্প্রচার করে আসছে। আর এ কারণেই তরুণ শ্রোতাসহ সকলের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় রেডিও স্টেশন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অতিদ্রুত দেশের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একইভাবে ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেশের বাইরের শ্রোতাদের কাছেও। রেডিও স্টেশনটির ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সকল শ্রোতা, বিজ্ঞাপনদাতা এবং শুভানুধ্যায়ীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাগো এফএম ৯৪.৪।

জাগো এফএম ৯৪.৪ রেডিও স্টেশনের ম্যানেজার উদয় চৌধুরী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, শ্রোতারাই আমাদের প্রাণ। আমরা শ্রোতাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই অনুষ্ঠানমালা সাজিয়ে থাকি। এ কারণে অতি অল্প সময়ে শ্রোতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, যাতে আমরা গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, জাগো এফএম ৯৪.৪ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে স্বল্প বিরতি। তারা যাতে বিরক্ত না হন, সেদিক বিবেচনা করেই আমরা বিরতিতে সময় কমিয়ে থাকি। দেশের সীমানা পেরিয়ে বাইরেও সমানতালে জনপ্রিয়তা পাবে আগামীতে- এমন প্রত্যাশা রেখে বলেন, ভিন্ন এবং জীবনঘনিষ্ঠ নানা আয়োজন দিয়েই আমরা শ্রোতাদের কাছে থাকতে চাই।

বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়নি, দাবি আদায়ে কমিটি গঠন

বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক সকালের খবরের সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষের দেয়া সময়সীমার মধ্যে দেনা-পাওনা বুঝে পাননি। চলতি মাসের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধের জন্য র‌্যাংগস কর্তৃপক্ষ ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল।

সোমবার অনেক আশা নিয়ে তারা তেজগাঁওয়ের পত্রিকা কার্যালয়ে যান কিন্তু দিনশেষে মন খারাপ করে ঘরে ফেরেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকালের খবরের একজন সংবাদকর্মী পাওনা না পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর র‌্যাংগস গ্রুপের প্রতিনিধিরা যখন প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ ঘোষণা দেন তখন তারা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য পাওনাদি দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, বেতন ও অন্যান্য দাবি-দাওয়া আদায়ে দৈনিকটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায়কে আহ্বায়ক করে সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কালের কণ্ঠ থেকে চৌধুরী আফতাবুল ইসলামের পদত্যাগ

দৈনিক কালের কণ্ঠ থেকে পদত্যাগ করেছেন চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম। পত্রিকাটির যুগ্ম-সম্পাদক পদ থেকে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি।

চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম পদত্যাগের পরদিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞান লেখক হিসেবে সুপরিচিত চৌধুরী আফতাব কালের কণ্ঠের যাত্রার শুরু থেকেই ছিলেন। তিনি এর আগে দৈনিক আজকের কাগজে প্রধান সহ-সম্পাদক (চিফ সাব-এডিটর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৩ দিন নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল : থানায় জিডি

অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক উৎপল দাস (২৯) ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।

ওই দিন থেকে উৎপল দাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পূর্বপশ্চিম কর্তৃপক্ষ। উৎপল দাস নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার থানাহাটি এলাকার চিত্ত দাসের ছেলে। তিনি রাজধানীর ফকিরাপুল এক নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে কাজ শেষে অফিস থেকে বের হন উৎপল দাস। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবার, সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবের কাছে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন তার স্বজন ও সহকর্মীরা।

উৎপল দাসের সন্ধান চেয়ে আজ মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং-১৬২৫। মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম রব্বানি জানান, সাংবাদিক উৎপল দাসের খোঁজে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তদন্ত করছি। বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ আগামী সপ্তাহে

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এটি বাঙালির সম্পদ, আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ ভাষণই স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল মুক্তিকামী জনতাকে। সেদিন এ ভাষণ নেতৃত্ব দিয়েছিল, কর্তৃত্ব করেছিল, শানিত করেছিল চেতনা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে এ ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার ছিল নিষিদ্ধ। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচার হতো না। মাইকে বাজানোর অপরাধে অনেককেই নিগৃহীত হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নয়। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো একটি নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করাই হবে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সংগ্রামকে উড়িয়ে কোয়ার্টারে জাগো নিউজ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া কাপ ভলিবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম।

সোমবার ভলিবল স্টেডিয়ামে দৈনিক সাংগ্রামকে ২৫-৮ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ আটে স্থান করে নিয়েছে জাগো নিউজ।

 

খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জাগো নিউজ। একতরফা খেলায় একবারের জন্যও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সংগ্রাম। ফলে ফলাফল যা হওয়ার হয়ও তাই। মাত্র ১০ মিনিটেই শেষে হয়ে যায় ম্যাচটি।

 

জাগো নিউজের চিফ রিপোর্টার মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।

 

জাগো নিউজের পক্ষে মাঠে নামেন- মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, ফজলুল হক শাওন, সিরাজুজ্জামান, রানা মাসুদ, মামুন আব্দুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, মুরাদ হুসাইন, মেজবাউল হক এবং সাঈদ শিপন।

জঙ্গিবাদমুক্ত মানবিক ও মননশীল সমাজ গড়বে চলচ্চিত্র

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের আগামী দিনের চলচ্চিত্র জঙ্গিবাদমুক্ত মানবিক ও মননশীল সমাজ গড়তে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার রাজধানীর দারুস সালাম সড়কে শেখ রাসেল মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।

ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. মনজুরুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যসচিব ও ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মরতুজা আহমদ।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট গড়তে ভারতের পুনেতে বাংলাদেশের গবেষক দল পাঠানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বর্তমান ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান।

সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়াকে জাতির জন্য অনন্য গর্ব বলে অভিহিত করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, চলচ্চিত্র আমাদের স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়। রাজাকার-জঙ্গি-তেঁতুল হুজুরদের মোকাবিলায় চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি চর্চা শুধু সাহসী সঙ্গীই নয়, মানবিকতা বজায় রাখারও হাতিয়ার।

রেডিও টুডে চ্যাম্পিয়ন, জিটিভি রানার্স আপ

ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট- ২০১৭ এর ফাইনালে রেডিও টুডে চ্যাম্পিয়ন এবং জিটিভি রানার্স আপ হয়েছে। টুর্নামেন্টের সমাপনী দিন শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলায় রেডিও টুডে ২৫-১৯ ও ২৫-১৮ পয়েন্টে জিটিভিকে পরাজিত করে।

চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি ও ৩০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি এবং রানার্স আপ দল ট্রফি ও ২০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি এবং উভয়দলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত মেডেল লাভ করেন। টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রেডিও টুডের মোসকায়েত মাশরেক, টুর্নামেন্টের সেরা সেটাবার নির্বাচিত হয়েছেন রেডিও টুডের মাকসুদ-উন-নবী এবং টুর্নামেন্টের সেরা ডিফেন্ডার নির্বাচিত হয়েছেন জিটিভির মেহ্দী আজাদ মাসুম। ফেয়ার প্লে ট্রফি লাভ করেন বিডিনিউজ২৪ ডটকম। এ আসরে ২৪টি মিডিয়া হাউস অংশগ্রহণ করে।

ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উভয়দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক    অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব (১) আশিকুর রহমান মিকু ও উপ-মহাসচিব (২) আসাদুজ্জামান কোহিনুর এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।

ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বর্তমান আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম। ভলিবল টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক মল্লিক, ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য কাজী শহীদুল আলম ও সাহাবউদ্দিন সাহাব উপস্থিত ছিলেন।

টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়, সেরা সেটাবার ও সেরা ডিফেন্ডার নির্বাচনে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের কমিটিতে ছিলেন ফজলুল হক, মফিজুল ইসলাম, মেজবা উদ্দিন, বিশ্বজিত ও ইতিলতা। উল্লেখ্য, ফেয়ার প্লে ট্রফি ও টুর্নামেন্টের সেরা আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়, সেরা সেটাবার, সেরা ডিফেন্ডার এর পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক  অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকুর সৌজন্যে।